কলকাতা, 16 সেপ্টেম্বর: আই লিগের ধাক্কা কলকাতা ফুটবল লিগে। তিন প্রধান ছাড়া বাকি দলগুলোর সিংহভাগ ফুটবলার আই লিগের দলে খেলতে ভিন রাজ্যের ক্লাবে সই করেছেন। ফলে রবিবার থেকে কলকাতা লিগের সুপার সিক্সের পর্ব শুরু হলেও সেখানে অংশগ্রহণই এখন কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে খিদিরপুরের মত ছোট ক্লাবের। মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে কলকাতা লিগের সুপার সিক্সের ম্যাচে রবিবার খিদিরপুর খেলতে নামছে।
এই ম্যাচটির টিকিট মূল্য 50 টাকা ধার্য করা হয়েছে ৷ টিকিট বিক্রির পুরো অর্থ আইএফএ এবং মহামেডানের তরফে প্রয়াত মহামেডান সমর্থক শেখ সিরাজ ছেলের হাতে তুলে দেওয়া হবে ৷ পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফেও সাহায্য করা হবে। ম্যাচের মানবিক দিক ছাপিয়ে সামনে এসেছে ময়দানের ছোট ক্লাবের ফুটবলার না-থাকার সমস্যা। খিদিরপুর ক্লাবের 13 জন ফুটবলার নেরোকা এফসি, আইজল এফসির মতো আই লিগের দলগুলোতে খেলতে চলে গিয়েছে। এর ফলে 18 জনের দল নামাতে গিয়ে সমস্যায় খিদিরপুর।
মরশুম শুরুতে তিরিশ জন ফুটবলার সই করানো হয়েছিল। কিন্তু 13 জন চলে যাওয়ায় রয়েছেন 17 জন। অবস্থা সামাল দিতে যেসব জুনিয়র ফুটবলারদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের ডেকে নিয়ে কোচ সায়ন্তন দাস অনুশীলন করিয়েছেন। খিদিরপুর ক্লাবের কর্তা অমিতাভ টুলু বিশ্বাস জানিয়েছেন,"ময়দান জুড়ে ছোট ক্লাবগুলোর একই সমস্যা। আমরা সুপার সিক্সে খেলার জন্য নামব। তার বেশি কিছু নয়। আই লিগের ধাক্কায় আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্থ। কলকাতা লিগ এতদিন পর্যন্ত চলায় ক্ষতির মুখে আমরা পড়লাম। আইএফএ চেষ্টা করেছিল দ্রুত শেষ করার কিন্তু বড় ক্লাবের বায়নাক্কায় হল না। আগামী সপ্তাহ থেকে আই লিগ শুরু। ফলে অংশগ্রহনকারী ক্লাবগুলো বাংলা থেকে নেওয়া ফুটবলারদের ছাড়ছে না। 31 অগস্টের মধ্যে ওদের দল গোছাতে হয়েছে। ফুটবলাররা আই লিগের ক্লাবে বেশি টাকা পাচ্ছে। আমরা তাই আটকে রাখতে পারি না। তাই জোড়াতালি মেরে খেলে দেব, ব্যস ৷"
আরও পড়ুন: ডাগ-আউটে নেই বাস্তব, ফিরছেন সুহেলরা, রবিবার বাগানের সামনে সুপার সিক্স নিশ্চিতের লড়াই
এদিকে সুপার সিক্সে মহমেডান স্পোর্টিং ভালোভাবে শুরু করতে চাইছে। তবে চোট-আঘাতের সমস্যা মাথা ব্যথার বড় কারণ ৷ অভিষেক হালদার এবং ব্যারেটো চোটের জন্য খিদিরপুর ম্যাচে নেই। তবে সাদা কালো আক্রমণে ভরসার নাম ডেভিড। 13টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌড়ে সবার আগে রয়েছেন। ডুরাণ্ড কাপের পরে কলকাতা লিগেও তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পান কি না দেখার। কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ বলেছেন, সুপার সিক্সে প্রতিটি ম্যাচ ধরে এগোতে চান। খিদিরপুর দল হিসেবে ভালো। বেশ কয়েকজন সিনিয়র ফুটবলার রয়েছেন যারা ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন । তাই পুরো পয়েন্ট পাখির চোখ হলেও সতর্ক থেকে জয় তুলে নেওয়াই লক্ষ্য ।