কলকাতা, 15 জুলাই: 'এসে দেখুন বদলে গিয়েছে।' এই মরশুমে মহামেডান স্পোর্টিংয়ের ট্যাগ লাইন হতে পারে এই চারটে শব্দ। রেড রোডের ধারের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবে এখন বদলের হওয়া। ক্লাব টেন্ট থেকে, মাঠ, ফুটবলারদের দাপুটে পারফরম্যান্সে ডাক, 'চলো পালটাই'। প্রথম ম্যাচে সাত গোলের পর দ্বিতীয় ম্যাচে এক গোলে জিতলেও ছন্দেই 'ব্ল্যাক প্যান্থার্স' ৷ ফের গোল করলেন ডেভিড। যা ভাবগতি, তাতে লিগ জয়ের দৌড়ে সাদা-কালো শিবির জাঁকিয়ে বসতে চায়।
লিগের প্রথম ম্যাচে দুর্বল সিএফসিকে 7 গোলে হারিয়েছিল মহামেডান। বড় ব্যবধানে জেতার পরও প্রশ্ন ছিল, শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে মেহেরাজউদ্দিনের ছেলেরা কি দাপট দেখাতে পারবে। শনিবার সেই প্রশ্নর উত্তর মিলল 1-0 গোলে জয়ে। 90 মিনিট দাপটের সঙ্গে খেলে দ্বিতীয় ম্যাচেও জিতল মহামেডান স্পোর্টিং। মহামেডানে ম্যাচ মানেই ময়দানে প্রাণ ফেরে। গ্যালারি ভরতি মাঠ, গোলের জন্য চিৎকার প্রমাণ করে কলকাতা ফুটবল আছে কলকাতাতেই। বিদেশিহীন লিগে ইউনাইটেড স্পোর্টস এবছর শক্তিশালী দল।
পুরো ম্য়াচে তাঁদের কোণঠাসা করে রেখে দিল মহামেডান। এক গোলে জয় এসেছে। গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে অন্তত তিন গোলে জিততে পারত মেহেরাজউদ্দিনের ছেলেরা। প্রথম থেকেই মাঝমাঠ দখল নিয়ে দু'টি প্রান্তকে চমৎকার ব্যবহার করে গেল মহামেডান। ছোট ছোট পাস খেলতে খেলতে হঠাৎ জায়গা বদল করে সাদা-কালো ফুটবলাররা হানা দিচ্ছিল ইউনাইটেডের বক্সে। প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেও প্রথমার্ধে গোল পায়নি সাদা-কালো শিবির। মুহুর্মুহু আক্রমণ করেও গোল অধরা। ম্যাচ শেষের দিকে এগোচ্ছে এমন পরিস্থিতিতে 74 মিনিটের মাথায় জয়সূচক গোলটি করেন মিজোরামের ছেলে ডেভিড।
প্রথম ম্যাচে সিএফসির বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও গোল করে মহামেডানকে জয় এনে দিলেন। সাদা-কালো কোচ মেহেরাজউদ্দিন বলছেন, "আমরা আরও বেশি গোলে জিততে পারতাম। অনেক গোলের সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারিনি। তবুও দিনের শেষে জয় পেয়েছি। এবার পরের ম্যাচ নিয়েই ভাবতে চাই।" পেনাল্টি থেকে আপনারা বঞ্চিত দল? "আমি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেখান থেকে আমার মনে হয়েছে ডেভিডকে পিছন থেকে ধাক্কা মেরেছে। তবে বলের কাছে ছিলেন রেফারি। তিনি নিশ্চয় কাছ থেকে দেখে হয়তো সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।" সাবধানী উত্তর মহামেডান কোচ মেহেরাজউদ্দিনের।
আরও পড়ুন: প্রীতমকে ছেড়ে সামাদকে সই করাল মোহনবাগান