লুসেইল, 18 ডিসেম্বর: আট বছর পর ফের স্বপ্ন ছোঁয়ার হাতছানি লিও মেসি'র সামনে । আধুনিক ফুটবলের ঈশ্বরের ট্রফি ক্যাবিনেটে সব আছে, বিশ্বকাপ ছাড়া । এদিন সেই আক্ষেপ মেটাতে মরিয়া থাকবেন মেসি । অন্যদিকে, মাত্র 19 বছর বয়সেই বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছেন । ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপের কাছে এদিন সেই সংখ্যাটা আরেকটা বাড়ানোর দিকে নজর থাকবে (FIFA World Cup 2022) ।
দু'দলেই একাধিক তারকা খেলোয়াড়ের ভিড় । ডি মারিয়া, আলভারেজ কিংবা জিরু, গ্রিজম্যান । নিজেদের দিনে যে কেউ ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন । কিন্তু কাতারের লুসেইল স্টেডিয়ামে মহারণ শুরুর আগে ফোকাসে সেই দুই তারকাই । মেসি এবং এমবাপে । চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত পাঁচটি করে গোল করে ফেলেছেন দু'জনেই । যদিও গোলমুখী আক্রমণ এবং অ্যাসিস্ট, দু'ক্ষেত্রেই টেক্কা দিয়েছেন মেসি । অন্যদিকে, পরিসংখ্যান বলছে, মাঝমাঠে বল ধরে খেলা এবং ডিফেন্স লাইন-মিডফিল্ডের মাঝে নড়াচড়ায় এগিয়ে রয়েছেন এমবাপে ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজের খেলাটাই বদলে ফেলেছেন মেসি । প্রথম কোয়ার্টারে মাঠে কার্যত 'মর্নিং ওয়াক' করছেন । মেপে নিচ্ছেন প্রতিপক্ষকে । তারপর হঠাৎ করেই আক্রমণ শানাচ্ছেন । তাঁকে জোনাল মার্কিং করেও লাভ হচ্ছে না, কারণ বল পায়েই রাখছেন না আর্জেন্তিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা । 2014 বিশ্বকাপে মেসি'কে ডুবিয়েছিলেন গঞ্জালো হিগুয়াইন । অন্যদিকে, চলতি বিশ্বকাপে লউতারো মার্টিনেজে হিগুয়াইনের ছায়া দেখা গেলেও দলকে ভরসা যোগাচ্ছেন জুলিয়ান আলভারেজ । তাঁর কনভার্শন রেট স্বস্তি দিচ্ছে মেসি'কেও ।
অন্যদিকে, ফরাসিদের বড় ভরসা এমবাপের ছিলে-ছেঁড়া দৌড় । যা কার্যত প্রতিপক্ষ ডিফেন্সকে নাড়িয়ে দেয় । চলতি বিশ্বকাপে শুধু নিজে ফিনিশ করছেন না, সতীর্থদের ঠিকানা লেখা পাসও বাড়াচ্ছেন । যা ফরাসি তারকার ধার আরও বাড়িয়ে তুলেছে ।
আরও পড়ুন: কী বলছে আর্জেন্তিনা-ফ্রান্সের রেকর্ড বুক ? রবিবাসরীয় মহারণের আগে চোখ রাখুন পরিসংখ্য়ানে
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত দেশ ! লিও'র জাদুতেই বিপদ কাটানোর স্বপ্নে বুঁদ আর্জেন্তাইনরা
মেসি-এমবাপে ছাড়াও অ্যাটাকিং থার্ডে দু'দলের ভরসা আলভারেজ-জিরু । দু'জনেই ইতিমধ্যে 4টি করে গোল করেছেন । এদিন লিও-কিলিয়ানকে টপকে গোল্ডেন বুটের দাবিদার হতে পারেন তারাও । মাঝমাঠে ফ্রান্সের ভরসা গ্রিজম্যান । পোগবা-কন্তের জায়গা একাই পূরণ করে দিয়েছেন ফরাসি তারকা । অন্যদিকে, শোনা যাচ্ছে এদিন শুরু থেকেই মাঠে নামবেন দি মারিয়া । ফিট অবস্থায় পাওয়ার ফাইনালে জন্যই তাঁকে সেমি'তে নামাননি স্কালোনি । তিনি থাকলে শুধু মিডফিল্ড-ই নয়, ফিনিশের ক্ষেত্রেও ভরসা পাবে দল । বড় ম্যাচ প্লেয়ার বলা হয় মারিয়াকে । কোপা ফাইনাল কিংবা ফাইনালিসিমায় তাঁর পারফর্ম্যান্সেই বাজিমাত করেছিল অ্যালবেসেলেস্তা । ফলে তিনি মাঠে থাকলে চাপে থাকবে প্রতিপক্ষ ।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স শিবিরে ভাইরাস সংক্রমণ, জ্বরের উপসর্গ ভারান-কনাতে’র