জলপাইগুড়ি, 1 সেপ্টেম্বর : এখনই বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে অবস্থিত অস্থায়ী কোভিড হাসপাতাল তুলে নেওয়া হচ্ছে না। আগে মানুষ বাঁচুক তারপর খেলাধুলো হবে বলে জানালেন উত্তরবঙ্গের জন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওএসডি চিকিৎসক সুশান্ত রায় ৷ স্বাস্থ্য দফতরের এই সিদ্ধান্তে এবার বিপত্তিতে স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা সাই (SAI) কর্তৃপক্ষ ।
গতবছর এপ্রিল মাস থেকে বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে অবস্থিত সাই সেন্টারটিকে রাজ্য সরকার কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছে । জেলার একটি মাত্র কোভিড হাসপাতালে প্রায় ছয় হাজারের বেশি রোগী চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন । এর পর থেকেই স্টেডিয়ামের একাংশে কোভিড হাসপাতাল ও কর্মীদের থাকার অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ।অভিযোগ কোভিড হাসপাতালে সুইমিং পুলে এবং আশেপাশের এলাকায় হাসপাতালের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ যার জেরে সাই সেন্টারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে ৷
স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার জলপাইগুড়ির সেন্টার ইনচার্জ ওয়াসিম আহমেদ জানান, ‘‘যতক্ষণ না কোভিড হাসপাতাল উঠে যাচ্ছে, ততক্ষণ কিছুই করার নেই । দীর্ঘদিন ধরে জলপাইগুড়ি সাই সেন্টারে অস্থায়ীভাবে কোভিড হাসপাতাল খোলা হয়েছে । ফলে আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের ট্রেনিং করাতে পারছি না । এই বিষয়ে আমরা সরকারের পরামর্শ ও নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি ৷ রাজ্য সরকার কোভিড হাসপাতাল গড়ার জন্য আমাদের থেকে স্টেডিয়ামটি নিয়েছে । তাই আমাদের আবাসিক ছেলেমেয়েদের গত বছর মার্চ মাস থেকে তাঁদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । কিন্তু, আমাদের ছেলেমেয়েদের মাঠে আমরা পাচ্ছি না । কারণ, আমাদের এখানে কোভিড হাসপাতাল হয়েছে । আমরা এখন বিভিন্ন গ্রুপ করে অনলাইনের মাধ্যমে তাঁদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি । এতে করে আমরা আমাদের পরিকাঠামো গত উন্নয়নের কাজও করতে পারছি না । আর কোভিড হাসপাতাল থাকার কারণে বাচ্চাদের ডেকে নিয়ে এসে ট্রেনিং করানো যাচ্ছে না ৷
আরও পড়ুন : জলপাইগুড়ির সাই সেন্টারেই ফেলা হচ্ছে কোভিড হাসপাতালের বর্জ্য
উত্তরবঙ্গ জন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওএসডি চিকিৎসক সুশান্ত রায় জানান, এখনই কোভিড হাসপাতাল তুলে নেওয়ার কোন চিন্তাভাবনা নেই স্বাস্থ্য দফতরের । এই কোভিড হাসপাতাল ছিল বলেই 6 হাজারের বেশি মানুষ প্রাণে বেঁচেছে । আগে মানুষ বাঁচুক তার পর খেলাধুলো হবে ৷