জলপাইগুড়ি, 13 জুলাই : এশিয়াডে সোনাজয়ী স্বপ্না বর্মণের নির্মীয়মাণ বাড়িতে বনবিভাগের অভিযান । স্বপ্নার বাড়ি থেকে উদ্ধার বেআইনি কাঠের লগ । উত্তরবঙ্গের বনবিভাগের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বপ্নার ধিম পাড়ার বাড়িতে অভিযান চালানো হয় । স্বপ্নার বাড়িতে শাল কাঠ চেরাই হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে ।
স্বপ্নার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় বড় গাছের লগ । কাঠের কাগজ দেখানোর জন্য স্বপ্নাকে 30 দিনের সময় দিয়েছে বনবিভাগ ৷ আজ বনবিভাগের অভিযানে স্বপ্না বাধা দেন বলে অভিযোগ ওঠে ৷ স্বপ্নাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ আমরা কোনও চুরি করিনি, টাকা দিয়ে কিনেছি ৷"
তবে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, তিনি বনবিভাগের কর্মীদের কাছে স্বীকার করেছেন টাকা পয়সা কম ছিল তাই এমন করেছেন । অন্যদিকে স্বপ্নার ভাই অসীত বর্মণ বলেন, ‘‘আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে ৷’’
আজ দুপুরে বনবিভাগের উত্তরবঙ্গের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্ত নেতৃত্বে স্বপ্নার বাড়িতে অভিযান চালানো হয় ৷ সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে স্বপ্নার বাড়িতে আসেন তাঁরা । তল্লাশি চালিয়ে বড় বড় শাল গাছের লগ স্বপ্নার নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৷ এরপরই স্বপ্না বনবিভাগের কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ।
স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্ত জানান, ‘‘আমাদের কাছে খবর আসে স্বপ্না বর্মণের বাড়িতে অবৈধ কাঠ আছে । আমরা সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে তাঁর বাড়িতে সার্চ করে দেখি কাঠের বড় লগ রয়েছে । স্বপ্নার কাছে কাগজ চাওয়া হয় ৷ কাগজ দেখাতে পারেননি ৷"
আগামী 30 দিনের মধ্যে কাঠের কাগজ দেখানোর জন্য তাঁকে নোটিস দেওয়া হয়েছে । তিনি জানিয়েছেন, নদী থেকে ভেসে আসা কাঠ উদ্ধার হয়েছিল সেই কাঠ তিনি কিনেছেন ।
ঘটনার পরেই স্বপ্নার বাড়িতে আসেন পাতকাটা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান প্রধান হেমব্রম । তিনি জানান, ‘‘আমার কাছে খবর আসে স্বপ্নার বাড়িতে অবৈধ কাঠ উদ্ধার হয়েছে । বনবিভাগ অভিযানে এসেছে । এখানে এসে শুনি নদীতে ভেসে আসা কাঠ তাঁর বাড়িতে পাওয়া গেছে ।’’ যদিও স্বপ্নার পরিবারের কেউ সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ।