কলকাতা, 9 মার্চ : বসুন্ধরা গ্রুপের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে কর্তারা কবে প্রতিবেশী দেশে যাচ্ছেন, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি (East Bengal club got invitation from Bangladesh Football Club Sheikh Russel KC) ৷ তবে লাল-হলুদ তাঁবুতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে চুক্তিপত্রের একটা প্রাথমিক খসড়া সাজিয়ে আঁটঘাট বেঁধেই বাংলাদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ৷ যদিও পূর্ব অভিজ্ঞতা থেক শিক্ষা নিয়ে এ ব্যাপারে ধীরে চল নীতি এবং গোপনীয়তার রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর দেবব্রত সরকাররা।
গত দু'টি মরশুমের লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে ক্লাবের সম্পর্ক এখন তলানিতে। দলের পারফরম্যান্সের কাটাছেঁড়া করতে গিয়ে কর্তা বনাম লগ্নিকারী সংস্থার একে অপরকে দোষোরোপের পালা চলছেই। সব ভুলে নতুন মরশুমে কোনপথে শুরু করা হবে, সেদিকেই তাকাচ্ছে লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ক্লাব । শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সেরে নেওয়া যখন সময়ের অপেক্ষা ঠিক তখনই বসুন্ধরা কিংসের কর্ণধার সায়েম সোবহানকে ক্লাবে সংবর্ধনা দেওয়ার ঘটনা নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত দেয়। সোবহান নিজেও নতুন মরশুমে লাল-হলুদের পাশে থাকার কথা বলেছেন। কলকাতা ছাড়ার আগে ক্লাব-কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায়ও বসেছিলেন তিনি।
কিন্তু মজার বিষয়, এখনও পর্যন্ত স্পোর্টিং রাইটস বা ক্রীড়াসত্ত্ব ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হাতে নেই। বিনিয়োগকারী সংস্থা স্পোর্টিং রাইটস না-ফেরালে নতুন কোনও ভাবনাই ভাবতে পারবে না লাল-হলুদ। এমতাবস্থায় শ্রী সিমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরিমোহন বাঙ্গুরকে জিজ্ঞেস করা হলে প্রথমে কিছুটা থমকে গেলেন তিনি ৷ তারপর বললেন, "এখনও পরিস্থিতি বদলায়নি। পুনরায় দু'পক্ষের আলোচনা হতেই পারে (Hari Mohan Bangur keeps open the way to discuss with East Bengal again)৷ তবে এখন কোনও মন্তব্য করব না।" মুখ্যমন্ত্রীকে পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁরা জানিয়েছেন কি না, এই প্রশ্নে মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের আমন্ত্রণ লাল-হলুদকে, আরও জোরাল বিনিয়োগের সম্ভাবনা
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পদাধিকারীদের একাংশ আবার এ ব্যাপারে জানাচ্ছেন, যদি শ্রী সিমেন্ট পুনরায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী থাকে তবে ক্লাবের দেওয়া শর্তাবলী মেনে নিক। নতুন মরশুমে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ধারাবাহিক ব্যর্থতা বন্ধ করতে মরিয়া তা স্পষ্ট কর্তাদের হাবেভাবে। শ্রীসিমেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে ধরে নিয়েই চলছে ঘুঁটি সাজানো। এই অবস্থায় হরি মোহন বাঙ্গুরের আলোচনার বসে সমাধানের ইঙ্গিত যে ফের ধোঁয়াশা তৈরি করল, সেটা বলাই বাহুল্য ৷