আল খোর, 11 ডিসেম্বর: খেলল ইংল্যান্ড, জিতল ফ্রান্স। বিশ্বকাপের শেষ আটের লড়াইয়ে ফ্রান্স বনাম ইংল্যান্ডের দ্বৈরথকে এক লাইনে ব্যাখ্যা করতে হলে এটাই লিখতে হয়। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে যদি কোনও ম্যাচে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায় তা এবারই। স্কোরবোর্ড বলছে ম্যাচের ফল 2-1, ফ্রান্সের পক্ষে। কিন্তু স্কোরবোর্ড কবে সত্যি ছবিটা তুলে ধরে! ফ্রান্সের গোলদাতা চৌমেনি,জিরু। ইংল্যান্ডের হয়ে গোল হ্যারি কেনের।
82 মিনিটে হ্যারি কেন পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন (Harry Kane missed penalty in a crucial moment )। ইংল্যান্ড অধিনায়ক বল উড়িয়ে দেন অনেক উপর দিয়ে। দলনেতার এই ব্যর্থতার সঙ্গেই ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপে টিকে থাকার আশা শেষ হয়ে যায়। অথচ 54 মিনিটে তিনিই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়ে ছিলেন। এই গোল তাঁকে ওয়েন রুনির সঙ্গে গোল করার সংখ্যায় এক আসনে বসিয়ে দিয়েছিল। দ্বিতীয়বার পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারলে রুনিকে পেছনে ফেলতেন। ব্যক্তিগত রেকর্ড এবং দলের সাফল্য তার পায়েই শেষ হয়ে গেল।
চলতি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিল। 17 মিনিটে চৌমেনির বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে ফ্রান্স এগিয়ে যায়। এই সময় মনে হয়েছিল এই ম্যাচেও ফরাসিরা দাপট দেখাবে। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ইংলিশ ফুটবলারদের প্রেসিং ফুটবলের সামনে এমবাপে,গ্রিজম্যান,জিরু,ডেম্বেলেদের খানিক দিশাহারাই লেগেছে । এমবাপে তো তাঁর বিখ্যাত দৌড় শুরু করার জায়গাও পাননি। যদিও দলের প্রথম গোলের বল তাঁর এবং গ্রিজম্যানের সৌজন্যেই পেয়েছিলেন চৌমেনি। এর পরই খেলার রাশ ইংল্যান্ড তুলে নেয়। সাকা, রাশফোর্ড, ফডেন, হ্যারিকেন এবং বেলিংহ্যামের দাপটে ফ্রান্স নিজেদের অর্ধে ঢুকে পড়তে বাধ্য হয়েছিল। 54 মিনিটে ইংল্যান্ডের পেনাল্টি পাওয়া দাপুটে ফুটবলের কারণেই। সাকাকে বক্সের মধ্যে ল্যাং মারেন চৌমেনি। রেফারি পেনাল্টি দিতে দ্বিধা করেননি। গোল করেন হ্যারি কেন।
আরও পড়ুন: স্বপ্নভঙ্গ রোনাল্ডোর, আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের শেষ চারে মরক্কো
78 মিনিটে খেলার গতির বিপরীতে জয়সূচক গোল জিঁরুর। গ্রিজম্যানের সেন্টারে মাথা ছুঁইয়ে গোল পান ফরাসি স্ট্রাইকার। এরপরই পেনাল্টি থেকে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল ব্রিটিশরা। ভারের সাহায্য নিয়ে রেফারি পেনাল্টি দিয়েছিলেন। কিন্তু ইংল্যান্ড অধিনায়ক ব্যর্থ হওয়ার সঙ্গেই তাদের দেশে ফেরার টিকিট কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। ভালো খেলেও ইংল্যান্ড পরাজিত। গোলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে শেষচারে মরক্কোর সামনে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।