কলকাতা, 4 মে : ক্রীড়া জগতে রাজনৈতিক নেতাদের প্রবেশ বন্ধে জোরালো সওয়াল করলেন প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (prasun banerjee) । বুধবার কলকাতার ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ফুটবলার তথা হাওড়ার সাংসদ বলেন, "রাজনীতির লোকেদের প্রবেশেই খেলাধুলার হাল খারাপ হচ্ছে । রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ক্লাব প্রশাসনে না আসাই ভাল (politics in sports) ৷"
প্রসঙ্গত, মোহনবাগানের নব্য নির্বাচিত কার্যকরী কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের অনেকেই রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত ৷ সহ-সভাপতি হয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং রাজ্যের দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক ও অরূপ রায় ৷ বলা হচ্ছে, নেপথ্যে এই শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ যা দেখে দলের সমর্থকদের মধ্যেই ক্ষোভ শুরু হয়েছে ৷ পাশাপাশি বিভিন্ন খেলার প্রশাসনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা পদাধিকারী হচ্ছেন। ক্রীড়াক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতাদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে প্রতিবাদ করলেও, কলকাতা ময়দানের ক্লাব প্রশাসনে এ রাজ্যের রাজনৈতিক নেতাদের ঢুকে পড়া নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে চাননি প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
এই বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, "নির্বাচন জিতে ওনারা পদাধিকারী হয়েছেন । দিদি-র ভাই বা দিদি-র বোন যেই আসুক, ভোটে জিতে আসলে অসুবিধা নেই ৷ কারণ তাঁদের তাড়ানো সম্ভব নয় ৷ বিসিসিআই-তে অমিত শাহর ছেলে পদে বসে নেই । মুখ খুললে ইতিহাস হয়ে যাবে ।" মোহনবাগান ক্লাবের সভাপতি এখনও পর্যন্ত ঠিক করা যায়নি । যা মেনে নিতে পারছেন না সাংসদ ফুটবলার । "মোহনবাগান ক্লাবের প্রতি টুটু বসুর অবদান অস্বীকার করা যাবে না । সৃঞ্জয় দায়িত্ব থাকাকালীন ভাল কাজ করেছিল । ওর চলে যাওয়াও ভাল ছবি নয় । মোহনবাগানের সভাপতি হিসেবে সুব্রত ভট্টাচার্য যোগ্য ব্যক্তি । ওকে অবিলম্বে দায়িত্ব দেওয়া উচিত," বলছেন প্রসূন ।
আরও পড়ুন : Santosh Trophy 2022 : সন্তোষে লড়াকু পারফরম্যান্সে প্রাপ্তি শুধু সান্ত্বনা, শহরে ফিরল বাংলা দল
প্রায় একই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের পদাধিকারীদের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিৎ । তার পরিবর্তে সুব্রত ভট্টাচার্য, শ্যাম থাপাদের মতো প্রাক্তনদের হাতে দায়িত্ব দেওয়া উচিত । তিনি বলেন, "সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যদি বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হতে পারেন তাহলে দেশের খ্যাতনামা ফুটবলাররা কেন ফেডারেশন চালাতে পারবেন না ৷ ফেডারেশনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট কিছুই করছেন না । তাই তাঁর দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাওয়াই ফুটবলের পক্ষে ভাল হবে ।" প্রসঙ্গত, ফুটবল ফেডারেশনের প্রশাসনিক অস্থিরতা সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসতে শুরু করেছে । সেদিক থেকে তাঁর এই মন্তব্য বাড়তি মাত্রা যোগ করবে ।