ETV Bharat / sports

প্রতিভাবান শুটারের ক্যানসার চিকিৎসায় অর্থ সাহায্যের আবেদন মায়ের - ঋতিকা কর্মকার

ভাল নেই বাংলার অন্যতম প্রতিভাবান রাইফেল শুটার ঋতিকা কর্মকার । কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি । মারণ ভাইরাস কোভিড তাঁকে স্পর্শ করেনি । ঋতিকা লড়াই করছেন কালান্তক ক্যানসারের সঙ্গে । ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি ।

Ritika karmakar
প্রতিভাবান শুটারকে বাচাতে অর্থ সাহায্যের আবেদন মায়ের
author img

By

Published : Jun 8, 2021, 6:51 PM IST

কলকাতা, ৮ জুন: ভাল নেই বাংলার অন্যতম প্রতিভাবান রাইফেল শুটার ঋতিকা কর্মকার । কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি । মারণ ভাইরাস করোনা তাঁকে স্পর্শ করেনি । ঋতিকা লড়াই করছে কালান্তক ক্যানসারের সঙ্গে । ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি । ঠিক একবছর আগে লকডাউনের প্রথমপর্বে ক্যানসারকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি ।

সেদিনের সেই উচ্ছ্বল তরুণীর চোখে ছিল জীবনকে নতুনভাবে জয় করার প্রতিজ্ঞা । কিন্তু সব প্রতিজ্ঞা পূরণ হয়তো কঠিন হয় । যে ব্লাড ক্যানসারকে হারানো সম্ভব হয়েছিল বলে চিকিৎসক এবং সকলে মনে করেছিল তারা সকলেই ভুল প্রমাণিত হয়েছে । ফের অসুস্থ হয়ে টাটা ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অলিম্পিয়ান জয়দীপ কর্মকারের ছাত্রী ঋতিকা । জাতীয় স্কুল গেমস এবং রাজ্য শুটিংয়ের আসরে নজরকাড়া তাঁর পারফরম্যান্স উজ্বল ভবিষ্যতের আশা দেখিয়েছে । কোচ জয়দীপ কর্মকার বলছেন,"মেয়েটির মধ্যে হার না মানা মনোভাব রয়েছে । যেকোনও জিনিস দ্রুত শিখে নিতে পারে । আবার অসুস্থ হয়ে পড়ার খবরে সত্যিই খারাপ লাগছে । চিকিৎসা চালাতে বিপুল খরচ । এখন বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে । সবাই মিলে চেষ্টা করতে হবে এই প্রতিভাবান শুটারকে সুস্থ করার জন্য।" সদা প্রাণচঞ্চল সতীর্থকে নিয়ে চিন্তায় ভারতের অন্যতম সেরা শুটার মেহুলি ঘোষেরও । তিনি বলছেন, "আশা করব লড়াইটা জিতে দ্রুত শুটিং রেঞ্জে ফিরবে ঋতিকা ।

আরও পড়ুন: বকেয়া না মেটানোয় ফিফার নিষেধাজ্ঞার মুখে ইস্টবেঙ্গল

প্রথমবার সুস্থ হওয়ার পরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল ঋতিকার পরিবার । মায়ের চোখে ছিল যুদ্ধ জয়ের আনন্দ অশ্রু । কয়েক মাস আগেই বলেছিলেন, "ফের ক্যানসার ফিরলেও ঋতিকা ভালো আছে । দ্রুত ফিরবে ।" মাঝের সময়ে অবস্থা ভাল হওয়ার বদলে অবনতি হয়েছে । বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন জরুরি ভিত্তিতে করতে হবে । পুরো চিকিৎসার জন্য তিরিশ লক্ষ টাকা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন । ঋতিকার মা সুমনা কর্মকার বলেছেন, "আমার 19 বছরের মেয়েটি জাতীয় স্তরের শুটার । তার চিকিৎসার জন্য তিরিশ লক্ষ টাকা দরকার । ব্লাড ক্যানসারে ভুগছে । এখন অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করতে হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন । তাহলেই ভাল কিছু আশা করা যেতে পারে । সবার কাছ থেকে সাহায্য চাইছি আমরা । এই বিপুল আর্থিক দায় বহন আমাদের কাছে কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে ।"

কলকাতা, ৮ জুন: ভাল নেই বাংলার অন্যতম প্রতিভাবান রাইফেল শুটার ঋতিকা কর্মকার । কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি । মারণ ভাইরাস করোনা তাঁকে স্পর্শ করেনি । ঋতিকা লড়াই করছে কালান্তক ক্যানসারের সঙ্গে । ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি । ঠিক একবছর আগে লকডাউনের প্রথমপর্বে ক্যানসারকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি ।

সেদিনের সেই উচ্ছ্বল তরুণীর চোখে ছিল জীবনকে নতুনভাবে জয় করার প্রতিজ্ঞা । কিন্তু সব প্রতিজ্ঞা পূরণ হয়তো কঠিন হয় । যে ব্লাড ক্যানসারকে হারানো সম্ভব হয়েছিল বলে চিকিৎসক এবং সকলে মনে করেছিল তারা সকলেই ভুল প্রমাণিত হয়েছে । ফের অসুস্থ হয়ে টাটা ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অলিম্পিয়ান জয়দীপ কর্মকারের ছাত্রী ঋতিকা । জাতীয় স্কুল গেমস এবং রাজ্য শুটিংয়ের আসরে নজরকাড়া তাঁর পারফরম্যান্স উজ্বল ভবিষ্যতের আশা দেখিয়েছে । কোচ জয়দীপ কর্মকার বলছেন,"মেয়েটির মধ্যে হার না মানা মনোভাব রয়েছে । যেকোনও জিনিস দ্রুত শিখে নিতে পারে । আবার অসুস্থ হয়ে পড়ার খবরে সত্যিই খারাপ লাগছে । চিকিৎসা চালাতে বিপুল খরচ । এখন বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে । সবাই মিলে চেষ্টা করতে হবে এই প্রতিভাবান শুটারকে সুস্থ করার জন্য।" সদা প্রাণচঞ্চল সতীর্থকে নিয়ে চিন্তায় ভারতের অন্যতম সেরা শুটার মেহুলি ঘোষেরও । তিনি বলছেন, "আশা করব লড়াইটা জিতে দ্রুত শুটিং রেঞ্জে ফিরবে ঋতিকা ।

আরও পড়ুন: বকেয়া না মেটানোয় ফিফার নিষেধাজ্ঞার মুখে ইস্টবেঙ্গল

প্রথমবার সুস্থ হওয়ার পরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল ঋতিকার পরিবার । মায়ের চোখে ছিল যুদ্ধ জয়ের আনন্দ অশ্রু । কয়েক মাস আগেই বলেছিলেন, "ফের ক্যানসার ফিরলেও ঋতিকা ভালো আছে । দ্রুত ফিরবে ।" মাঝের সময়ে অবস্থা ভাল হওয়ার বদলে অবনতি হয়েছে । বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন জরুরি ভিত্তিতে করতে হবে । পুরো চিকিৎসার জন্য তিরিশ লক্ষ টাকা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন । ঋতিকার মা সুমনা কর্মকার বলেছেন, "আমার 19 বছরের মেয়েটি জাতীয় স্তরের শুটার । তার চিকিৎসার জন্য তিরিশ লক্ষ টাকা দরকার । ব্লাড ক্যানসারে ভুগছে । এখন অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করতে হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন । তাহলেই ভাল কিছু আশা করা যেতে পারে । সবার কাছ থেকে সাহায্য চাইছি আমরা । এই বিপুল আর্থিক দায় বহন আমাদের কাছে কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.