দোহা, 21 নভেম্বর: কাতার বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) প্রথম গোলই অবৈধ ঘোষিত হল ৷ আর সেটাও ভিএআর (VAR) অর্থাৎ, ‘ভিডিয়ো অ্যাসিসটেন্ট রেফারি’ (Video Assistant Referee) প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৷ ম্যাচের 3 মিনিটে ইকুয়েডর অধিনায়ক ইনার ভ্যালেনসিয়া (Enner Valencia) হেডারে গোল করেন ৷ কিন্তু, লেফ উইং থেকে বল ভেসে আসার সময় ইকুয়েডরের এক ফুটবলার অফসাইড পজিশনে চলে যান (Ecuador Goal Cancelled Due to Advanced VAR Technology) ৷ তাও খুবই সূক্ষ্ম ৷ যা লাইন্সম্যানের নজরে পড়া কার্যত অসম্ভব ৷
ভিএআর প্রযুক্তিতে দেখা যায়, লেফ উইং থেকে ইকুয়েডরের খেলোয়াড় বল বাড়ানোর সময় রিসিভিং এন্ডের প্লেয়ারের ডান পা কাতারের ডিফেন্ডারের বডি লাইনের বাইরে ৷ এই অতি সূক্ষ্ম অফসাউড ধরা পড়ে ভিএআর প্রযুক্তিতে ৷ 2018 রাশিয়া বিশ্বকাপেও ভিএআর ব্যবহার হয়েছিল ৷ কিন্তু, সেখানে মাঠের রেফারিকে সিদ্ধান্ত নিতে হত কোনটি অফসাইড বা কোনটি পেনাল্টি ৷ কিন্তু, কাতার বিশ্বকাপে পুরোটাই ঠিক করে দিচ্ছে প্রযুক্তি ৷ আর সেটা করছে ম্যাচে ব্যবহার হওয়া বিশ্বকাপের বল ‘আল রিহলা’র মধ্যে থাকা ‘ইউনিট মোশন সেন্সর’ এবং স্টেডিয়ামের ছাদে লাগানো 12টি ক্যামেরা ৷ যা সরাসরি বলের ‘ইউনিট মোশন সেন্সর’ এর সঙ্গে যুক্ত ৷
আরও পড়ুন: সাদিয়ো মানেকে ছাড়াই ডাচদের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযানে সেনেগাল
‘ইউনিট মোশন সেন্সর’ বা আইএমইউ’র সাহায্যে স্টেডিয়ামের বিশেষ 12টি ক্যামেরা বল ও ফুটবলারের অবস্থান নির্ধারণ করে মুহূর্তের মধ্যে জানিয়ে দিচ্ছে কোন খেলোয়াড় অফসাইউ পজিশনে যাচ্ছেন ৷ আর কোনটি বৈধ গোল ৷ কোনদিকে বল যাচ্ছে, তার গতি সবই 500 হার্ৎজ প্রতি সেকেন্ডে 500 ফ্রেমে রেকর্ড করছে স্টেডিয়ামের ওই 12টি ক্যামেরা ৷ সেই সঙ্গে মাঠের 22 জন ফুটবলারকে প্রতি সেকেন্ডে 50টি ফ্রেমে বন্দি করা হচ্ছে ৷ আর সেই পুরো তথ্য ‘ভিডিয়ো অপারেশন রুমে’, ‘ভিডিয়ো অ্যাসেসটেন্ট রেফারি’ এর কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ৷ এই অ্যাডভান্স প্রযুক্তির দৌলতে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের প্রথম গোল অবৈধ ঘোষণা করলেন রেফারি ৷