কলকাতা, 6 জুলাই: লগ্নিকারী সংস্থা ইমামি গ্রুপের তরফে পরিমার্জিত চুক্তিপত্র ক্লাবে পৌঁছেছে দিনদু'য়েক হল ৷ কিন্তু তা খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত চুক্তির জন্য ইস্টবেঙ্গল কর্তারা নাকি এখনও ফিরিয়ে দেননি লগ্নিকারী সংস্থাকে ৷ ফলে ধরেই নেওয়া যায় চুক্তিজট কেটেছে বলে যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে, তা মোটেই সত্যি নয়। বরং বিষয়টি আরও জটিলতার দিকেই এগোচ্ছে ৷ বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, সোমবার রাতে চুক্তিপত্র লগ্নিকারীর দফতর থেকে ক্লাবে পৌঁছে যায়। তারপর দ্রুত তা খতিয়ে দেখার পর চূড়ান্ত রূপায়নের জন্য লগ্নিকারীর দফতরে পৌঁছবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার বিকেল পর্যন্ত তা ইমামির দফতরে পৌছয়নি বলেই খবর।
যেটুকু সংশোধন চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে রাখা হয়েছে, তা মেনে না-নেওয়ার কোনও কারণ নেই বলে মনে করছে লগ্নিকারী সংস্থা ৷ ফলে চুক্তির চূড়ান্ত বাস্তবায়নের বিষয়টি এখন ক্লাবেরই কোর্টে। অন্তত লগ্নিকারী সংস্থার তরফে সেকথাই বলা হচ্ছে (Emami official says final agreement is now to East Bengal court) ৷ ইমামি গ্রুপের কর্ণধার আদিত্য আগরওয়াল বলেন, "সোমবার আমরা সংশোধিত চুক্তিপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তারপর সেটা দেখে ক্লাব আমাদের কাছে তা পাঠিয়েছে বলে কোনও খবর নেই। কবে পাঠাবে সেটা ক্লাবই বলতে পারবে ৷" অথচ দু'পক্ষের মুখোমুখি বৈঠকের পরে ইতিবাচক দিকেই সবকিছু দ্রুত এগোবে বলে মনে করা হয়েছিল। আলোচনায় যেটুকু পরিমার্জন চুক্তিপত্রে করার প্রয়োজন দরকার বলে জানানো হয়েছিল, তা করে পাঠানো হয়েছে। তারপরও ক্লাবের কেন এ বিষয়ে গড়িমসি করছে তা লগ্নিকারী বুঝতে পারছে না।
আরও পড়ুন : ইস্টবেঙ্গলে ক্রিকেট পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে, তাই সবুজ-মেরুনে প্রণব
রিলায়েন্সের কর্তা তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা নাকি দেশে ফিরেছেন। তাঁর উপস্থিতিতেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা। কিন্তু যে কথা আদিত্য আগরওয়াল বলছেন তা মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। এদিকে দলবদলের বাজারে প্রতিদিনই অংশগ্রহনকারী দলগুলো তাদের নয়া ফুটবলার অন্তর্ভুক্তির খবর প্রকাশ করছে। সেখানে ইস্টবেঙ্গল থেকে ফুটবলার চলে যাওয়ার খবরে আশাহত হচ্ছে লাল-হলুদ জনতা ৷ এই অবস্থায় কর্তারা অবশ্য কলকাতা লিগ, ডুরান্ড-সহ সব টুর্নামেন্ট খেলার কথা বলছেন। পরিস্থিতি যা তাতে দল হয়তো অংশগ্রহণ হয়তো করবে কিন্তু সাফল্য অধরাই রয়ে যাবে, শঙ্কা লাল হলুদ জনতার মনে।