কলকাতা, 14 অগস্ট: ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার ফোর্সে চাকরি পেয়েছেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার শুভেন্দু মাণ্ডি। সেই কারণেই লাল-হলুদ জার্সি ছেড়ে সীমান্ত পাহারায় চলে যেতে পারে। বাঁকুড়া জেলার ওন্দা ব্লকের দিন আনা-দিন খাওয়া পরিবারের ছেলে শুভেন্দু। ফুটবলকে সঙ্গী করে জীবনের রাজপথে দৌড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিবারের অনটন শুভেন্দুকে থামিয়ে দিতে চলেছে। পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন সরিয়ে অফিসের আন্তঃবিভাগীয় ফুটবলে হয়তো নামবেন। 20 অগস্ট কাজে যোগ দিতে হবে তাঁকে। তাই ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কাছ থেকে রিলিজ চেয়েছেন লাল-হলুদের যুব দলের অধিনায়ক ৷
2019 সালে চুঁচুড়ার নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন। আর এ বছর লাল-হলুদের যুব দলের হয়ে রক্ষণের স্তম্ভ হয়ে উঠছিলেন। হয়তো আগামীতে কুয়াদ্রাতের সিনিয়র দলে ডাক পেতেন। কিন্তু আগামীতে কী হতে চলেছে তা কে বলতে পারে। তাই পরিবারের আর্থিক অনটনের বিষয়টি চিন্তা করে শুভেন্দু ইস্টবেঙ্গল এবং পেশাদারি ফুটবল ছাড়বেন কি না, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। অন্যদিকে, ইমামি কর্তারা শুভেন্দুকে ছাড়তে নারাজ ৷ জুনিয়র দলের ক্যাপ্টেনকে চাকরির প্রস্তাব দিয়ে যে কোনও মূল্যে রাখতে রাজি তাঁরা ৷
তাই শুভেন্দুর ইস্টবেঙ্গল ছাড়ার বিষয়টি একশো শতাংশ নিশ্চিত সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না ৷ প্রাক্তন ফুটবলার অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, "এটাই দুর্ভাগ্যের। খেলোয়াড়ি জীবন অনিশ্চয়তায় ভরা। একটা চাকরি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারকে নিশ্চিন্ত করে। আমাদের সময়ে খেলোয়াড়ি কোটায় চাকরি পাওয়া যেত। এখন সেই সুযোগ কমেছে। সবাই আইএসএলে সুযোগ পায় না। ফলে শুভেন্দুর সমস্যাটা সত্যিই খারাপ লাগার মতো। আমি ওর খেলা দেখেছি। ভালো ছেলে। লেগে থাকতে পারলে হত। কিন্তু ঝুকিটা কীভাবে নেবে।"
পেশাদারি ফুটবল ছাড়ার আক্ষেপ শুভেন্দুর গলায়। বলছেন, "বয়সটা চলে যাচ্ছে। তাই ঝুঁকি নিতে পারছি না।" অতনু ভট্টাচার্যও বলছেন, "খেলোয়াড়দের সুযোগটা কমে গিয়েছে। আমাদের গুছিয়ে নেওয়ার সময়টা কম। তার মধ্যেই যা কিছু করতে হয়। কবে সিনিয়র দলে ডাক পাবে এই আশায় বসে থাকা গরীব ঘর থেকে খেলতে আসা ছেলেমেয়েদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই শুভেন্দুর দিক থেকে সিদ্ধান্ত সঠিক ৷"
আরও পড়ুন: ডার্বির নায়ককে নিয়ে উৎসব খাবরা-সিলভার, কুয়াদ্রাতের পরের টার্গেট পঞ্জাব এফসি