ETV Bharat / sports

ঘরের মাঠে দুর্গ রক্ষা লাল-হলুদের, গোলশূন্য শেষ হল ওড়িশা-ইস্টবেঙ্গল লড়াই - ওড়িশা এফসি ও ইস্টবেঙ্গলের লড়াই

East Bengal vs Odisha Match: গোলশূন্য শেষ হল ওড়িশা এফসি ও ইস্টবেঙ্গলের লড়াই ৷ যুবভারতীতে জয় না পেলেও দুর্গরক্ষা করল লাল-হলুদ ৷

east-bengal-vs-odisha-match-ends-in-a-draw
গোলশূন্য শেষ হল ওড়িশা-ইস্টবেঙ্গল লড়াই
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 22, 2023, 10:30 PM IST

কলকাতা, 22 ডিসেম্বর: ইস্টবেঙ্গল বনাম ওড়িশা এফসির আইএসএলের গত তিন বছরের স্কোরকার্ড দেখলে মনে হতে পারে টেনিস ম্যাচের স্কোরবোর্ড । গোলের উৎসবের সাক্ষ্য বহন করে সেইসব ম্যাচের স্কোর কার্ড । চলতি আইএসএল-এ ছবিটা বদলে গেল । ম্যাচ শেষ গোলশূন্য অবস্থায় । হারের হ্যাটট্রিকের পরে শেষ পাঁচ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল অপরাজিত । শেষ চার ম্যাচে লাল-হলুদ রক্ষণ অক্ষত। ক্লিন শিট রেখে মাঠ ছাড়লেন প্রোভসুখন গিল । 10 ম্যাচে 11 পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল রইল 7 নম্বরে । অন্যদিকে 10 ম্যাচে 18 পয়েন্ট নিয়ে ওড়িশা 5 নম্বরে।

প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের বার্তা নিয়েই শুরু হয়েছিল ম্যাচ । শুক্রবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের প্রথমার্ধের পারফরম্যান্সের এটাই ছিল নির্যাস । ক্লেটন সিলভা এবং নন্দকুমার তৎপর হলে ছবিটা আরও উজ্জ্বল হতে পারত । সের্জিও লোবেরো ম্যাচের আগের দিন ইস্টবেঙ্গলের থেকে ব্যবধান 10 পয়েন্ট বাড়িয়ে নেওয়ার কথা বলেছিলেন । যা ছিল কলকাতার ফুটবল দলের প্রতি হুংকার ।

পালটা হিসেবে লাল-হলুদ সাজঘর থেকে গরম বিবৃতি আসেনি । বরং প্রতিপক্ষকে সমীহ করে লড়াইয়ের বার্তা দেওয়া হয়েছিল । যেকোনও প্রতিপক্ষকে হারানোর ক্ষমতার কথাও শুনিয়েছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত । সেটা যে কেবলই কথা ছিল না তা প্রথমার্ধের পারফরম্যান্সে প্রমাণিত । রয় কৃষ্ণ, মোর্তাদা ফল, আহমেদ জাহু, লেনি রডরিগেজ, জেরিরা চলতি মরশুমে কলকাতাকে হ্যাপি হান্টিং গ্রাউন্ড বানিয়ে ফেলেছে ।

মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে তাদের সাফল্যই বোধহয় লোবেরোকে সাহসী কড়েছে । অন্যদিকে বার্সেলোনার একদা সহকর্মীকে বহুদিন ধরে চেনেন কুয়াদ্রাত । সামর্থ অনুযায়ী দল সাজিয়েছিলেন । এভাবেই গত 4 ম্যাচে প্রতিপক্ষকে মেপে সাফল্যের অঙ্ক কষেছেন । কখন আক্রমণের বৈচিত্র্যে আবার কখনও রক্ষণভাগের পরিকল্পনামাফিক ফুটবলে পয়েন্ট কুড়িয়েছেন ।

শুক্রবার যুবভারতী একই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন । লোবেরো প্রতিআক্রমণে গোলের পথ খুলতে চেয়েছিলেন । কিন্তু মাঝমাঠে শৌভিক, রক্ষণে হিজাজি মাহের-লালচুংনুঙ্গার দৃঢ়তায় ওড়িশা গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ । ফলে প্রথমার্ধে দুই দলের আক্রমণ প্রতি আক্রমণে উপভোগ্য ম্যাচ হলেও গোল হয়নি । বিরতির পরে শুরুতেই ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টির আবেদন নাকচ করেন রেফারি। বক্সের মধ্যে ওড়িশার ফুটবলারের হাতে বল লাগলেও পেনাল্টি দেননি তিনি ৷ বদলে তিনি দেন কর্নার ।

প্রথমার্ধে দুই দলের তুল্যমুল্য লড়াই হলেও দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম থেকে নিয়ন্ত্রক ওড়িশা । একের পর এক আক্রমণে লাল-হলুদ রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা চালাতে থাকে তারা ৷ নেতৃত্বে ছিলেন রয় কৃষ্ণ। ফিজিয়ান স্ট্রাইকার প্রান্ত বদল করে ইস্টবেঙ্গলকে অস্বস্তিতে ফেলার যথেষ্ট চেষ্টা করেন । রক্ষণে লোক বাড়িয়ে অবস্থা সামাল দেয় কুয়াদ্রাতের ছেলেরা । ধীরে ধীরে ইস্টবেঙ্গলও প্রতিআক্রমণের হাত ধরে খেলায় ফিরতে থাকে । 82 মিনিটে ক্লেইটন সিলভার হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। 85 মিনিটে পিভি বিষ্ণুও সুযোগের সদব্যবহার করতে ব্যর্থ হয় । ফলে দুই কোচের ফুটবল বুদ্ধির ট্যাকটিকাল লড়াই শেষ হল গোল শূন্য ড্র তে।

মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের পরে এবার খারাপ রেফারিংয়ের শিকার ইস্টবেঙ্গল এফসি । নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করলেন রেফারি । কার্যত রেফারির বদান্যতায় ওড়িশা অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারল । তবে রেফারির বঞ্চনা ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে চলতি আইএসএলে বেঙ্গালুরু ম্যাচেও হয়েছিল । সেবারও পেনাল্টি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছিল কুয়াদ্রাতের ছেলেদের।

আরও পড়ুন:

  1. 'আপনার বজরং, একজন অসম্মানিত কুস্তিগীর', পদ্মশ্রী ফিরিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি অলিম্পিকজয়ীর
  2. ব্রিজ ভূষণের অনুগামী ডব্লিউএফআই প্রধান, প্রতিবাদে কুস্তি ছেড়ে দিলেন সাক্ষী
  3. আইএসএল ছেড়ে ময়দানে ফুটবল ফেরানোর ডাক ক্রীড়ামন্ত্রীর, উলটো সুর সৌরভের

কলকাতা, 22 ডিসেম্বর: ইস্টবেঙ্গল বনাম ওড়িশা এফসির আইএসএলের গত তিন বছরের স্কোরকার্ড দেখলে মনে হতে পারে টেনিস ম্যাচের স্কোরবোর্ড । গোলের উৎসবের সাক্ষ্য বহন করে সেইসব ম্যাচের স্কোর কার্ড । চলতি আইএসএল-এ ছবিটা বদলে গেল । ম্যাচ শেষ গোলশূন্য অবস্থায় । হারের হ্যাটট্রিকের পরে শেষ পাঁচ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল অপরাজিত । শেষ চার ম্যাচে লাল-হলুদ রক্ষণ অক্ষত। ক্লিন শিট রেখে মাঠ ছাড়লেন প্রোভসুখন গিল । 10 ম্যাচে 11 পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল রইল 7 নম্বরে । অন্যদিকে 10 ম্যাচে 18 পয়েন্ট নিয়ে ওড়িশা 5 নম্বরে।

প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের বার্তা নিয়েই শুরু হয়েছিল ম্যাচ । শুক্রবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের প্রথমার্ধের পারফরম্যান্সের এটাই ছিল নির্যাস । ক্লেটন সিলভা এবং নন্দকুমার তৎপর হলে ছবিটা আরও উজ্জ্বল হতে পারত । সের্জিও লোবেরো ম্যাচের আগের দিন ইস্টবেঙ্গলের থেকে ব্যবধান 10 পয়েন্ট বাড়িয়ে নেওয়ার কথা বলেছিলেন । যা ছিল কলকাতার ফুটবল দলের প্রতি হুংকার ।

পালটা হিসেবে লাল-হলুদ সাজঘর থেকে গরম বিবৃতি আসেনি । বরং প্রতিপক্ষকে সমীহ করে লড়াইয়ের বার্তা দেওয়া হয়েছিল । যেকোনও প্রতিপক্ষকে হারানোর ক্ষমতার কথাও শুনিয়েছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত । সেটা যে কেবলই কথা ছিল না তা প্রথমার্ধের পারফরম্যান্সে প্রমাণিত । রয় কৃষ্ণ, মোর্তাদা ফল, আহমেদ জাহু, লেনি রডরিগেজ, জেরিরা চলতি মরশুমে কলকাতাকে হ্যাপি হান্টিং গ্রাউন্ড বানিয়ে ফেলেছে ।

মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে তাদের সাফল্যই বোধহয় লোবেরোকে সাহসী কড়েছে । অন্যদিকে বার্সেলোনার একদা সহকর্মীকে বহুদিন ধরে চেনেন কুয়াদ্রাত । সামর্থ অনুযায়ী দল সাজিয়েছিলেন । এভাবেই গত 4 ম্যাচে প্রতিপক্ষকে মেপে সাফল্যের অঙ্ক কষেছেন । কখন আক্রমণের বৈচিত্র্যে আবার কখনও রক্ষণভাগের পরিকল্পনামাফিক ফুটবলে পয়েন্ট কুড়িয়েছেন ।

শুক্রবার যুবভারতী একই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন । লোবেরো প্রতিআক্রমণে গোলের পথ খুলতে চেয়েছিলেন । কিন্তু মাঝমাঠে শৌভিক, রক্ষণে হিজাজি মাহের-লালচুংনুঙ্গার দৃঢ়তায় ওড়িশা গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ । ফলে প্রথমার্ধে দুই দলের আক্রমণ প্রতি আক্রমণে উপভোগ্য ম্যাচ হলেও গোল হয়নি । বিরতির পরে শুরুতেই ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টির আবেদন নাকচ করেন রেফারি। বক্সের মধ্যে ওড়িশার ফুটবলারের হাতে বল লাগলেও পেনাল্টি দেননি তিনি ৷ বদলে তিনি দেন কর্নার ।

প্রথমার্ধে দুই দলের তুল্যমুল্য লড়াই হলেও দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম থেকে নিয়ন্ত্রক ওড়িশা । একের পর এক আক্রমণে লাল-হলুদ রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা চালাতে থাকে তারা ৷ নেতৃত্বে ছিলেন রয় কৃষ্ণ। ফিজিয়ান স্ট্রাইকার প্রান্ত বদল করে ইস্টবেঙ্গলকে অস্বস্তিতে ফেলার যথেষ্ট চেষ্টা করেন । রক্ষণে লোক বাড়িয়ে অবস্থা সামাল দেয় কুয়াদ্রাতের ছেলেরা । ধীরে ধীরে ইস্টবেঙ্গলও প্রতিআক্রমণের হাত ধরে খেলায় ফিরতে থাকে । 82 মিনিটে ক্লেইটন সিলভার হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। 85 মিনিটে পিভি বিষ্ণুও সুযোগের সদব্যবহার করতে ব্যর্থ হয় । ফলে দুই কোচের ফুটবল বুদ্ধির ট্যাকটিকাল লড়াই শেষ হল গোল শূন্য ড্র তে।

মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের পরে এবার খারাপ রেফারিংয়ের শিকার ইস্টবেঙ্গল এফসি । নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করলেন রেফারি । কার্যত রেফারির বদান্যতায় ওড়িশা অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারল । তবে রেফারির বঞ্চনা ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে চলতি আইএসএলে বেঙ্গালুরু ম্যাচেও হয়েছিল । সেবারও পেনাল্টি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছিল কুয়াদ্রাতের ছেলেদের।

আরও পড়ুন:

  1. 'আপনার বজরং, একজন অসম্মানিত কুস্তিগীর', পদ্মশ্রী ফিরিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি অলিম্পিকজয়ীর
  2. ব্রিজ ভূষণের অনুগামী ডব্লিউএফআই প্রধান, প্রতিবাদে কুস্তি ছেড়ে দিলেন সাক্ষী
  3. আইএসএল ছেড়ে ময়দানে ফুটবল ফেরানোর ডাক ক্রীড়ামন্ত্রীর, উলটো সুর সৌরভের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.