কলকাতা, 22 অগস্ট: সুযোগ নষ্টের খেসারত ৷ ঠিক যে কারণে হার দিয়ে মরশুম শুরু হয়েছে পড়শি ক্লাবের, সেই একই কারণে ড্র দিয়ে মরশুম শুরু করল ইস্টবেঙ্গল ৷ হ্যান্ডশেকিং দূরত্ব থেকে বল জালে না-পাঠাতে পারার ব্যর্থতায় নৌ-সেনাদের বিরুদ্ধে আটকে গেল লাল-হলুদ (East Bengal vs Indian Navy match ends to a draw)। ময়নাতদন্তে নেমে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের (Stephen Constantine) নোটবুকে নিশ্চিতভাবে উঠে আসবে বিষয়গুলো। সোমবার যুবভারতীতে ডুরান্ডের প্রথম ম্য়াচ ইস্টবেঙ্গলের কাছে ছিল সিজন ওপেনার ৷ যা সব দলের কাছেই কঠিন। তাই বলে 'স্কুলবয় এরর' করে পয়েন্ট হাতছাড়া করলে সমর্থকদের খারাপ তো লাগবেই ৷
সোমবার যুবভারতীতে ইমামি ইস্টবেঙ্গল বনাম ভারতীয় নৌ-সেনার মধ্যে ম্যাচ শেষ হল গোলশূন্যভাবে। অথচ ম্যাচের শেষপর্বে অন্তত বারতিনেক সুমিত পাশি (Sumit Passi), সুহের ভিপি-রা (VP Suhair) হ্যান্ডশেকিং দূরত্ব থেকে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হলেন ৷ নইলে মরশুম শুরুর ম্য়াচে হাসিমুখেই মাঠ ছাড়ত লাল-হলুদ ব্রিগেড ৷ মাত্র দেড়জন বিদেশি নিয়ে ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে নামার কথা বলেছিলেন লাল-হলুদ কোচ। কিন্তু নৌ-সেনাদের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে একজন বিদেশিকেও রাখেননি ব্রিটিশ কোচ ৷ এমনকী অতিরিক্ত গোলরক্ষককে বাদ দিয়েই 18 জনের দল সাজানোর মতো বিরল ঘটনাও ঘটল ম্যাচে।
এটিকে মোহনবাগানের পারফরম্যান্সে স্থবিরতা এবং একাধিক ভুলের খেসারত পরাজয়ের গ্লানি উপহার দিয়েছিল। তেমনই লাল-হলুদের স্বদেশী ব্রিগেডের নব্বই মিনিটের ফুটবলে বোঝাপড়া এবং ভেদশক্তির অভাব স্পষ্ট ৷ যার জেরে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল। মাঝে আর একটি ম্যাচ, তারপরেই প্রতীক্ষিত ডার্বি। কনস্ট্যানটাইনকে তাই দ্রুত দলের খামতি দূর করে বোঝাপড়া গড়ে তোলায় জোর দিতে হবে ৷
আরও পড়ুন: এফসি গোয়া থেকে লোনে লাল হলুদে এলেন গোলরক্ষক নবীন কুমার
তবে মরশুমের প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট নষ্ট নতুন নয়। অতীতেও হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। স্বদেশী ব্রিগেড এবং দলের বিদেশিদের বোঝাপড়ায় ইস্টবেঙ্গলের ডুরান্ড যাত্রার ভবিষ্যত নির্ভর করবে। প্রথম প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচ এবং তা মাত্র সপ্তাহ দু'য়েকের প্রস্তুতিতে। তাই নৌ-সেনার বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট প্রাপ্তি শূন্য হাতে ফেরা নয় ৷ তবে অনেক কিছুই শূন্য থেকে শুরু করতে হবে।