কলকাতা, 9 অগস্ট: সমর্দকদের জন্য টিকিট বিলির ব্যবস্থা করলেও ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা অনুপস্থিত থাকবেন। এইভাবেই ডুরান্ড কমিটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের রাস্তায় নামল ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার আসন্ন ডার্বির টিকিট বিলি ব্যবস্থা নিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে ডুরান্ড কমিটি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল। সেই বৈঠকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয় টিকিট বিক্রির নিশ্চয়তা ক্লাবকে দিতে হবে। এই শর্ত শুনে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রতিনিধিরা।
শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার তখনই জানিয়েছিলেন, গত বছর ডুরান্ড আয়োজক কমিটি দুই ক্লাবকে 9 হাজার করে এবং সদস্যদের জন্য 4 হাজার টিকিট দিয়েছিল। কাউন্টার থেকে বিক্রিত টিকিট অর্থ দিয়ে কিনেছিল দুটো ক্লাব। এবছর সেই শর্ত কেন মানতে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। অন্যদিকে, মোহনবাগান ক্লাব ক্রীড়ামন্ত্রী এবং সেনাবাহিনীর সম্মানার্থে মধ্যপন্থার আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের কড়া অবস্থানের সামনে ডুরান্ড কমিটি কিছুটা হলেও নমনীয়।
আরও পড়ুন: ডার্বির আগে জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল, লিগে রেলওয়ে এফসি'কে হারাল লাল-হলুদ
ক্রীড়ামন্ত্রক এবং ডুরান্ড কমিটি বুধবার ই-মেল করে ইস্টবেঙ্গলকে জানিয়েছে তারা ক্লাব সদস্যদের জন্য পাঁচ হাজার টিকিট দেবে। সমর্থকদের জন্য টিকিট তারা বিক্রি করবে। এই মর্মে 10 এবং 11 অগস্ট বেলা 11টা থেকে সন্ধ্যা 6টা পর্যন্ত ডার্বির টিকিট বিক্রি করা হবে। 12 অগস্ট বেলা এগারোটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হবে। ইস্টবেঙ্গলের তরফে বলা হয়েছে এই পরিমাণ টিকিট প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়।
তবে পরিস্থিতির খাতিরে মেনে নেওয়া হচ্ছে। তবে ভিআইপি এবং ভিভিআইপি কোটার যে পরিমাণ টিকিট ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ দিচ্ছে তা ইস্টবেঙ্গল নিতে রাজি নয়। কারণ ওই পরিমাণ টিকিটে প্রয়োজন মেটানো সম্ভব নয়। তাই তা গ্রহণ করা হচ্ছে না। লাল-হলুদ কর্মসমিতির এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ডুরান্ড কমিটি কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: একটু সময় চাই, ভরসা রাখুন; ডার্বিতে ফল ঘোরানোর আশ্বাস কুয়াদ্রাতের