ETV Bharat / sports

ISL 2023: জঘন্য ফুটবল, আইএএসএলে হারের হ্যাটট্রিক ইস্টবেঙ্গলের

East Bengal loses to Kerala Blasters: এখন ইস্টবেঙ্গল এগিয়েই থাকুক বা পিছিয়েই থাকুক, হারই যেন ভবিতব্য কার্লেস কুয়াদ্রাতের দলের কাছে। শনিবার যুবভারতীতে কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে 1-2 গোলে পরাজিত হয়ে আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিক ইস্টবেঙ্গলের।

হারের হ্যাটট্রিক ইস্টবেঙ্গলের
ISL 2023
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 5, 2023, 9:42 AM IST

কলকাতা, 5 নভেম্বর: হারের হ্যাটট্রিক ইস্টবেঙ্গল এফসির। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে 2-1 গোলে কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে পরাজিত লাল-হলুদ। গোলদাতা সাকাই এবং দিমিত্রি। ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টি থেকে একমাত্র গোল ক্লেইটনের। গত তিন বছরের মতো হারকে অভ্যাসে পরিণত করছে লাল-হলুদ। বারবার ধরা পড়ছে ছন্নছাড়া ফুটবলের সেই চেনা ছবি। আশা জাগিয়ে শুরু করেও ইস্টবেঙ্গল বড় স্বপ্ন দেখাতে পারছে না।

বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে পরাজয়ের পর খারাপ রেফারিং এবং গোল নষ্টের অভিযোগ ছিল। অভিযোগ অসত্য নয়। ভুবনেশ্বরে শুরুতে গোল করেও হার দিয়ে দিন শেষ হয়েছিল। অবশেষে ঘরের মাঠে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। পাঁচ ফুটবলারের অভাবে বেকায়দায় প্রতিপক্ষ । তবুও ঘরের মাঠে ম্যাচের নিয়ন্ত্রক হতে পারল না তারা। 36 মিনিটে কেরালা ব্লাস্টার্সের জাপানি ফুটবলার ডাইসুকু সাকাইয়ের গোলে পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। দ্রুত সেটপিস নিয়ে লাল-হলুদ রক্ষণের অগোছালো অবস্থার সুযোগ নিয়ে বাজিমাত করে কেরালা ব্লাস্টার্স।

পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের ঝড় তুলে সমতায় ফেরার চেষ্টা করার কথা ছিল। তা না করে হতশ্রী ফুটবল দিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করল ইস্টবেঙ্গল। শুধু ইস্টবেঙ্গল নয় ছন্নছাড়া ফুটবল ছিল কেরালারও। বিরতির পরে ইস্টবেঙ্গল গোছানোর চেষ্টা করে। কিন্তু গোলমুখে লাগাতার ব্যর্থতায় জন্য শেষমেশ পরাজয়ের অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে হল কুয়াদ্রাতের ছেলেদের। সিভেরিও একাই তিনটে সহজতম সুযোগ নষ্ট করলেন। এসবই এমন সুযোগ যেখানে গোল না-করা ফুটবলের বিচারে অপরাধ। কেন তাঁকে প্রথম একাদশে রাখা হল তা নিয়ে লাল-হলুদ কোচের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া উচিত সমর্থকদের। সিভেরিও সঙ্গে ক্লেইটন সিলভাও পাল্লা দিয়ে খারাপ খেললেন। একবার পেনাল্টিও মিস করেছেন।

পুরো নব্বই মিনিট তিনি যে মাঠে ছিলেন সেটা বুঝতে বেগ পেতে হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের কয়েক মিনিট আগে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। তাতে অবশ্য ম্যাচের রং বদলায়নি। ক্লেইটন সিলভা প্রথমে পেনাল্টি থেকে শট নিলে কেরালার গোলরক্ষক তা বাঁচান। কিন্তু পুনরায় শট নেওয়ার নির্দেশ দেন। দ্বিতীয়বারও ক্লেইটনের শট গোলরক্ষক বাঁচালে ফিরতি বল ফাঁকা গোলে পাঠানোর বদলে বাইরে মারেন ক্লেইটন! অতিরিক্ত সময়ে দ্বিতীয় গোল দিমিত্রির। অথচ ফের পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। এবার ব্যবধান কমান ক্লেইটন।

শেষরক্ষা হল না ৷ ইস্টবেঙ্গলের এই হারের হ্যাটট্রিকে সমালোচনার ঝড় অব্যাহত ৷ যদিও কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত দলের পাশে দাঁড়িয়েছেন ৷ অধিনায়ক ক্লেইটন সিলভা প্রথম পেনাল্টি মিস না-করলে ইস্টবেঙ্গল হয়তো জিতেই মাঠ ছাড়ত বলে তিনি মনে করেন ৷ প্রথম পেনাল্টি মিসের পরেও ক্লেইটনের দ্বিতীয়বার পেনাল্টি নিতে যাওয়াকে প্রশংসার দৃষ্টিতে দেখছেন লাল-হলুদ কোচ ৷ তাঁর মতে, অধিনায়কের এই পদক্ষেপ আদতে দলের প্রতি হাল না-ছাড়ার বার্তাই দিয়েছে। হারেরর হ্যাটট্রিকের পরও এটা সবদিক থেকেই ইতিবাচক ৷

আরও পড়ুন: চেন্নাইয়িনকে সমীহ করলেও জয়ের অভ্যাস ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ বাগান কোচের

কলকাতা, 5 নভেম্বর: হারের হ্যাটট্রিক ইস্টবেঙ্গল এফসির। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে 2-1 গোলে কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে পরাজিত লাল-হলুদ। গোলদাতা সাকাই এবং দিমিত্রি। ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টি থেকে একমাত্র গোল ক্লেইটনের। গত তিন বছরের মতো হারকে অভ্যাসে পরিণত করছে লাল-হলুদ। বারবার ধরা পড়ছে ছন্নছাড়া ফুটবলের সেই চেনা ছবি। আশা জাগিয়ে শুরু করেও ইস্টবেঙ্গল বড় স্বপ্ন দেখাতে পারছে না।

বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে পরাজয়ের পর খারাপ রেফারিং এবং গোল নষ্টের অভিযোগ ছিল। অভিযোগ অসত্য নয়। ভুবনেশ্বরে শুরুতে গোল করেও হার দিয়ে দিন শেষ হয়েছিল। অবশেষে ঘরের মাঠে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। পাঁচ ফুটবলারের অভাবে বেকায়দায় প্রতিপক্ষ । তবুও ঘরের মাঠে ম্যাচের নিয়ন্ত্রক হতে পারল না তারা। 36 মিনিটে কেরালা ব্লাস্টার্সের জাপানি ফুটবলার ডাইসুকু সাকাইয়ের গোলে পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। দ্রুত সেটপিস নিয়ে লাল-হলুদ রক্ষণের অগোছালো অবস্থার সুযোগ নিয়ে বাজিমাত করে কেরালা ব্লাস্টার্স।

পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের ঝড় তুলে সমতায় ফেরার চেষ্টা করার কথা ছিল। তা না করে হতশ্রী ফুটবল দিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করল ইস্টবেঙ্গল। শুধু ইস্টবেঙ্গল নয় ছন্নছাড়া ফুটবল ছিল কেরালারও। বিরতির পরে ইস্টবেঙ্গল গোছানোর চেষ্টা করে। কিন্তু গোলমুখে লাগাতার ব্যর্থতায় জন্য শেষমেশ পরাজয়ের অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে হল কুয়াদ্রাতের ছেলেদের। সিভেরিও একাই তিনটে সহজতম সুযোগ নষ্ট করলেন। এসবই এমন সুযোগ যেখানে গোল না-করা ফুটবলের বিচারে অপরাধ। কেন তাঁকে প্রথম একাদশে রাখা হল তা নিয়ে লাল-হলুদ কোচের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া উচিত সমর্থকদের। সিভেরিও সঙ্গে ক্লেইটন সিলভাও পাল্লা দিয়ে খারাপ খেললেন। একবার পেনাল্টিও মিস করেছেন।

পুরো নব্বই মিনিট তিনি যে মাঠে ছিলেন সেটা বুঝতে বেগ পেতে হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের কয়েক মিনিট আগে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। তাতে অবশ্য ম্যাচের রং বদলায়নি। ক্লেইটন সিলভা প্রথমে পেনাল্টি থেকে শট নিলে কেরালার গোলরক্ষক তা বাঁচান। কিন্তু পুনরায় শট নেওয়ার নির্দেশ দেন। দ্বিতীয়বারও ক্লেইটনের শট গোলরক্ষক বাঁচালে ফিরতি বল ফাঁকা গোলে পাঠানোর বদলে বাইরে মারেন ক্লেইটন! অতিরিক্ত সময়ে দ্বিতীয় গোল দিমিত্রির। অথচ ফের পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। এবার ব্যবধান কমান ক্লেইটন।

শেষরক্ষা হল না ৷ ইস্টবেঙ্গলের এই হারের হ্যাটট্রিকে সমালোচনার ঝড় অব্যাহত ৷ যদিও কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত দলের পাশে দাঁড়িয়েছেন ৷ অধিনায়ক ক্লেইটন সিলভা প্রথম পেনাল্টি মিস না-করলে ইস্টবেঙ্গল হয়তো জিতেই মাঠ ছাড়ত বলে তিনি মনে করেন ৷ প্রথম পেনাল্টি মিসের পরেও ক্লেইটনের দ্বিতীয়বার পেনাল্টি নিতে যাওয়াকে প্রশংসার দৃষ্টিতে দেখছেন লাল-হলুদ কোচ ৷ তাঁর মতে, অধিনায়কের এই পদক্ষেপ আদতে দলের প্রতি হাল না-ছাড়ার বার্তাই দিয়েছে। হারেরর হ্যাটট্রিকের পরও এটা সবদিক থেকেই ইতিবাচক ৷

আরও পড়ুন: চেন্নাইয়িনকে সমীহ করলেও জয়ের অভ্যাস ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ বাগান কোচের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.