কলকাতা, 3 সেপ্টেম্বর: লাল কার্ড দেখে অনিরুদ্ধ থাপার বেরিয়ে যাওয়াকেই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বাছলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। আধঘণ্টার বেশি সময় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে দশ’জনে পেয়েও কাজের কাজ করতে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল । উলটে 71 মিনিটে সবুজ-মেরুনের হয়ে গোল করে গেলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস ৷ উলটোদিকে বাকি সময় ইস্টবেঙ্গল মরিয়া হলেও বাগান রক্ষণ ভাঙতে পারেনি। ইস্টবেঙ্গল কোচ কুয়াদ্রাত বলছেন, "এগারো জনের বিরুদ্ধে আমরা যেভাবে খেলছিলাম তা বদলে গেল। প্রতিপক্ষ প্রতি-আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলতে শুরু করল। গোলের সময় আমরা ঠিকভাবে সামলাতে পারেনি। ব্যক্তিগত নৈপুণ্য আমাদের ম্যাচ হারিয়ে দিল।"
গোলশোধে মরিয়া লাল-হলুদ হেডস্যর পরিবর্ত ফুটবলার নামিয়ে অবস্থা সামাল দিতে পারেননি। এ ব্যাপারে কুয়াদ্রাত বলছেন, দশজনের বিরুদ্ধে এগারো জন ফুটবলারের খেলা অনেক সময় সমস্যা তৈরি করে যা মানসিক এবং ট্যাকটিক্যালও বটে। তবে এরই মধ্যে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে টুর্নামেন্টে বেশি ফুটবলার নথিভুক্ত করার অভিযোগও শোনা গেল তাঁর গলায়। স্প্যানিশ কোচ বলেন, "23টি দল একটি নিয়ম মেনে খেলে আরেকটি দল অন্য নিয়মে খেলে। মোহনবাগান 34 জন ফুটবলারকে নথিভুক্ত করে খেলিয়েছে ৷" হারের দুঃখের মধ্যে সান্ত্বনা হিসেবে রানার্স পদককে আঁকড়ে ধরতে চাইলেন লাল-হলুদের নয়া কোচ ৷ ডুরান্ডের রানার্স হওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরে আইএসএলের জন্য প্রস্তুত হওয়ার কথা বলছেন তিনি।
আরও পড়ুন: টুর্নামেন্ট সেরা নন্দকুমার, আইএসএলের পর ডুরান্ডেও গোল্ডেন গ্লাভ কাইথ
তবে সেখানেও ইস্টবেঙ্গলের জন্য খারাপ খবর জর্ডন এলসের চোট। বিষয়টি নিয়ে কুয়াদ্রাত চিন্তিত। তিনি বলেন, "আগামিকাল জর্ডনের চোটের ধরন পরীক্ষার পরে জানা যাবে। সাতবছর আগে একই জায়গায় চোট পেয়েছিল। আমার ফুটবল জীবন এই একই চোটে শেষ হয়েছিল। সাজঘরে জর্ডন কাঁদছিল। ওর চোট যদি বড় রকমের কিছু হয় তাহলে আমাদের পরিবর্ত খুঁজতে হবে। তবে নতুনভাবে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে শুরু করতে হবে। বিশ্বাস করি আইএসএলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব ৷"
19 বছর পরে ট্রফি জয়ের সুযোগ হাতছাড়া। স্বপ্নভঙ্গের বেদনা লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে। ম্যাচ শেষে মাঠেই তাই ফুটবলারদের নিয়ে ক্ষমা চাইলেন গ্যাফার। তবে হারের ধাক্কায় মুষড়ে না-পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর রসদ খোঁজা শুরু করে দিয়েছেন কুয়াদ্রাত।