কলকাতা, 14 অগস্ট: ময়দানজুড়ে এখন উৎসবের আবহ । রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস উদযাপন । সেই উপলক্ষে বিশেষ কুচকাওয়াজের জন্য সেজে উঠেছে রেড রোড । ডার্বি, স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনের আবেগের মাঝখানে আরও একটি ম্যাচ ইমামি ইস্টবেঙ্গলের । প্রতিপক্ষ পুলিশ এসিকে 2-1 গোলে উড়িয়ে গ্রুপ বি-র শীর্ষে চলে গেল লাল হলুদ । অভিষেক কুঞ্জম এবং পরিবর্ত হিসেবে নামা পিভি বিষ্ণুর গোলে জয় এল । পুলিশের গোল জগমীত সিংয়ের ।
ডার্বিতে সিনিয়র দলের লড়াকু পারফরম্যান্সের রেশ ধরে ইস্টবেঙ্গলের যুব দলও জয়ের অভ্যাস ধরে রাখল । কিন্তু সিনিয়র দলের ম্যাচে মাঠ ভরালেও যুব দলের জয়ের অভ্যাসে সমর্থকরা কোথায় ? ডার্বি জয়ের পরে ময়দানে নিজেদের মাঠে সিএফএলের ম্যাচ । আশা করা হয়েছিল সমর্থকরা ভিড় জমাবেন । কিন্তু হাজার দেড়েক দর্শক এসেছিলেন বিনো জর্জের ছেলেদের খেলা দেখতে । ম্যাচ শেষে ক্যামেরা দেখে সুর করে গান বাঁধলেন । কিন্তু যুব দলের পাশে দাঁড়ানো সেভাবে হল কই । পুলিশ এসি দলটি নামেই প্রথম ডিভিশনের দল । দায়সারাভাবে দল গঠন, ফুটবলারদের ফিটনেসের অভাব ও ঘনঘন কোচ বদলে পুরো দলটিই দিকভ্রান্ত ।
সাত ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে অবনমন বাঁচানোর লড়াই করছে পুলিশ । ইস্টবেঙ্গলও সোমবার যথেষ্ট অপ্রস্তুত অবস্থায় ছিল । স্টপার শুভেন্দু মাণ্ডি চাকরি পেয়ে ক্লাব ছেড়েছেন । একাধিক ফুটবলারের চোট । ফলে রক্ষণ থেকে আক্রমণ সব বিভাগেই বেশ কিছু বদল করতে হয়েছিল বিনো জর্জকে । তা সত্ত্বেও লাল হলুদ জয়ী ৷ কারণ হার না মানা মনোভাব । যা ঢেকে দিল দলের সামগ্রিক মধ্যমানের পারফরম্যান্সকে । 13 মিনিটে জেসন টি কের পাস থেকে অভিষেক কুঞ্জমের গোল । তার আগে তুহিন দাসের সেন্টার থেকে তন্ময় দাসের হেড বাঁচান পুলিশ এসির গোলরক্ষক শুভঙ্কর দাস । এরপর একের পর আক্রমণ ইস্টবেঙ্গল হানলেও তা পুলিশ দলের ফুটবলারদের পায়ের জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছে ।
আরও পড়ুন : চাকরি পেয়ে ক্লাবের কাছে রিলিজ চাইলেন শুভেন্দু, ছাড়তে নারাজ ইস্টবেঙ্গল
বিরতির পরে খেলার গতির বিপরীতে পুলিশ সমতায় ফেরে । গোলদাতা জগমীত সিং । এই সময় খেলার রাশ তুলে নিয়েছিল প্রশান্ত চক্রবর্তীর দল । ডার্বির পরে পয়েন্ট নষ্ট হয় । ময়দানের এই প্রাচীন প্রবাদ সত্য প্রমাণ হওয়ার শঙ্কায় গ্যালারিতে তখন উত্তেজনা বাড়তে থাকে । এই সময় পরিবর্ত হিসেবে নেমে পুলিশের উজ্জ্বল হাওলাদার অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন লাল-হলুদ রক্ষণকে । পরিস্থিতি সামাল দিতে অভিষেক কুঞ্জমের বদলে পিভি বিষ্ণু, আমন সিকের বদলে মহীতোষ রায় এবং গুনরাজ গ্রেওয়ালের বদলে সঞ্জীব ঘোষকে নামিয়ে অবস্থা সামাল দেন লাল হলুদ কোচ ।
88 মিনিটে পিভি বিষ্ণুর জয়সূচক গোল । তারপরই স্বস্তি নামে মাঠে । বিনো জর্জ মানছেন দল ভালো খেলেনি । আক্রমণ করলেও গোলের মুখ খোলা যায়নি । রক্ষণে শুভেন্দু মাণ্ডির ছেড়ে যাওয়ার ধাক্কা সামলাতে সময় লাগবে । পরিস্থিতি সামলাতে সিনিয়র দলের কোচ কুয়াদ্রাত বিনোর পরামর্শদাতা হিসেবে আগামী ম্যাচ থেকে মাঠে নামবেন ।