ETV Bharat / sports

East Bengal: ইস্টবেঙ্গল ও বার্সেলোনার লড়াইয়ের লক্ষ্য এক, কাতালান ক্লাব ঘুরে অভিজ্ঞতা শোনালেন লাল-হলুদ সহসচিব

বার্সেলোনা এবং ইস্টবেঙ্গল লড়াইয়ের দৃষ্টিকোণ মিলেমিশে একাকার ৷ বার্সেলোনা ক্লাব পরিদর্শনের পর অভিজ্ঞতা শোনালেন লাল-হলুদ শিবিরের সহসচিব রূপক সাহা ৷

ইস্টবেঙ্গল
East Bengal
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 18, 2023, 9:59 PM IST

কলকাতা, 18 সেপ্টেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পেন সফরে সঙ্গী ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। সহসচিব রূপক সাহা বার্সেলোনায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সফরকারী প্রতিনিধি দলে যোগ দিয়েছেন। কলকাতার মতোই ফুটবলের শহর বার্সেলোনা। লিওনেল মেসির শৈশব-যৌবনের ক্রীড়াক্ষেত্র। কিংবদন্তি আর্জেন্তিনার ফুটবলার এই শহরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যাপকভাবে। তবে সামগ্রিক ফুটবল প্রেম মুগ্ধ করার মতো। বার্সেলোনা শহরে এফসি বার্সেলোনার প্রতি সমর্থকদের আবেগের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আবেগের মিল পেয়েছেন রূপক সাহা।

ইতিমধ্যে ফুটবলের শহরের কলকাতার তিন প্রধানের কর্তা মিলিত হয়েছেন। তাঁরাও রিয়াল মাদ্রিদের পরে বার্সেলোনার ফুটবল আবেগ দেখে অভিভূত। রূপক সাহা এক অডিয়োবার্তায় তাঁর বার্সেলোনার ফুটবল সংষ্কৃতি দেখে মুগ্ধতার কথা বলেছেন। খুঁজে পেয়েছেন ইস্টবেঙ্গল এবং কাতালানের লড়াইয়ের মিল। যেভাবে ওখানকার সমর্থকরা সীমিত সামর্থ্য নিয়ে ক্লাবের পাশে দাঁড়ান, তা তিনি মুগ্ধ। রূপক সাহা বলেন, "বার্সেলোনা শহর এবং বার্সেলোনা ক্লাবের সঙ্গে আমাদের শহর কলকাতা এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মিল রয়েছে। ওদের জার্সির রং লাল-হলুদ। আমাদেরও তাই। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব যেমন একটি জাতিগোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্ব করে তেমনই এফসি বার্সেলোনাও একটি জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে।

তিনি আরও বলেন, "কাতালান তাদের সম্মানের জন্য লড়াই, স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের ছবি মাঠে ফুটিয়ে তোলে এফসি বার্সেলোনা। ভীষণভাবে ফুটবলের মধ্যে দিয়ে জাতীয়তাবোধের কথা বলে এফসি বার্সেলোনা। তারা যে জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে তাদের কথা বলে এফসি বার্সেলোনা। ওদের ভালো করে বুঝতে পৌঁছে গিয়েছিলাম ওদের স্টেডিয়ামে। অসাধারণ এক অনুভূতি। ওদের রং লাল-হলুদ। আমাদের রংও লাল-হলুদ। জিজ্ঞাসা করছিলাম ওদের সমর্থকদের। বলছিল লাল হল লড়াইয়ের প্রতীক। হলুদ হল স্বাধীনতার প্রতীক। মুক্তির প্রতীক।"

তাঁর কথায়, "ইস্টবেঙ্গল ক্লাবও কিন্তু লড়াইকেই আত্মার সত্ত্বা হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে। এই লড়াইকে সম্বল করে 1920 সাল থেকে আজ 2023 সাল পর্যন্ত দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার প্রতিষ্ঠা, তার এগিয়ে চলার ভিত্তি হল এই লড়াই। এই লড়াই আমরা এফসি বার্সেলোনা এবং রিয়াল বেতিসের মাঠে খুঁজে পেয়েছি। প্রায় এক লক্ষের কাছাকাছি লোক মাঠে উপস্থিত। কিন্তু কোনও বিশৃঙ্খলা নেই। শুধুই তাদের দলের প্রতি আনুগত্য, দলের প্রতি ভালোবাসা, সমর্থন অবাক করে দেয়। মাঠে প্রবেশ করার সময় যখন চারপাশে ঘুরছিলাম তখন একটা জিনিস আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।"

তিনি এও বলেন, "মাঠের চারপাশে প্রচুর এফসি বার্সেলোনার স্যুভেনিয়র শপ। জার্সি পতাকা বিভিন্ন স্মারক বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি শপেই লম্বা লাইন। আমি যখন মেট্রো করে শহরে পৌঁছে ওখানকার বিভিন্ন দোকানে গিয়েছি সেখানেও এই জিনিসগুলো বিক্রি হতে দেখেছি। তার ওপর ভালোরকম ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বার্সেলোনার অফিসিয়াল শপে ওই জিনিসগুলোর যা দাম তার তুলনায় মেট্রো স্টেশন কিংবা শহরের ছোট ছোট দোকানে বিক্রি হওয়া জিনিসের দামের প্রচুর ফারাক। দাম প্রায় একের চার ভাগ কিংবা একের পাঁচ ভাগ কম। তা সত্ত্বেও বার্সেলোনার অফিশিয়াল শপে লম্বা লাইন।"

রূপক সাহা আরও কথা, "ওরা যা বলল তা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেল। ওরা বলল, আমাদের ক্লাব বার্সেলোনা। এই ক্লাবের জয়ে আমরা আমাদের জয় দেখি। একটা ভালো দল গঠন করতে হলে টাকার দরকার। এই জিনিসগুলো কিনে ক্লাবের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। ক্লাবের দল গঠনের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। এতটুকুতে যদি ক্লাবের একটু সাহায্য হয় তাহলে ফুটবলের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা বা ক্লাবের প্রতি দায়বদ্ধতা কিংবা ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা-প্রেম কিছুটা হলেও দেখানো যাবে। ওদের এই দৃষ্টিভঙ্গী আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে। প্রায় একই ধরনের জিনিস অন্য কোনও শপ থেকে কেনার বদলে ক্লাবের অফিসিয়াল শপ কিনছে কারণ ক্লাবের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব বেঁচে রয়েছে লড়াই করছে সমর্থকদের জন্য। তারাই আমাদের শক্তি। তারা পাশে আছে বলেই ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে যাওয়ার সাহস পায় শক্তি পায়।"

আরও পড়ুন: লিগের দ্রুততম গোলে দশজনের ডায়মন্ড হারবারের কাছে হার বাগানের, দলকে শুভেচ্ছা অভিষেকের

কলকাতা, 18 সেপ্টেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পেন সফরে সঙ্গী ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। সহসচিব রূপক সাহা বার্সেলোনায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সফরকারী প্রতিনিধি দলে যোগ দিয়েছেন। কলকাতার মতোই ফুটবলের শহর বার্সেলোনা। লিওনেল মেসির শৈশব-যৌবনের ক্রীড়াক্ষেত্র। কিংবদন্তি আর্জেন্তিনার ফুটবলার এই শহরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যাপকভাবে। তবে সামগ্রিক ফুটবল প্রেম মুগ্ধ করার মতো। বার্সেলোনা শহরে এফসি বার্সেলোনার প্রতি সমর্থকদের আবেগের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আবেগের মিল পেয়েছেন রূপক সাহা।

ইতিমধ্যে ফুটবলের শহরের কলকাতার তিন প্রধানের কর্তা মিলিত হয়েছেন। তাঁরাও রিয়াল মাদ্রিদের পরে বার্সেলোনার ফুটবল আবেগ দেখে অভিভূত। রূপক সাহা এক অডিয়োবার্তায় তাঁর বার্সেলোনার ফুটবল সংষ্কৃতি দেখে মুগ্ধতার কথা বলেছেন। খুঁজে পেয়েছেন ইস্টবেঙ্গল এবং কাতালানের লড়াইয়ের মিল। যেভাবে ওখানকার সমর্থকরা সীমিত সামর্থ্য নিয়ে ক্লাবের পাশে দাঁড়ান, তা তিনি মুগ্ধ। রূপক সাহা বলেন, "বার্সেলোনা শহর এবং বার্সেলোনা ক্লাবের সঙ্গে আমাদের শহর কলকাতা এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মিল রয়েছে। ওদের জার্সির রং লাল-হলুদ। আমাদেরও তাই। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব যেমন একটি জাতিগোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্ব করে তেমনই এফসি বার্সেলোনাও একটি জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে।

তিনি আরও বলেন, "কাতালান তাদের সম্মানের জন্য লড়াই, স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের ছবি মাঠে ফুটিয়ে তোলে এফসি বার্সেলোনা। ভীষণভাবে ফুটবলের মধ্যে দিয়ে জাতীয়তাবোধের কথা বলে এফসি বার্সেলোনা। তারা যে জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে তাদের কথা বলে এফসি বার্সেলোনা। ওদের ভালো করে বুঝতে পৌঁছে গিয়েছিলাম ওদের স্টেডিয়ামে। অসাধারণ এক অনুভূতি। ওদের রং লাল-হলুদ। আমাদের রংও লাল-হলুদ। জিজ্ঞাসা করছিলাম ওদের সমর্থকদের। বলছিল লাল হল লড়াইয়ের প্রতীক। হলুদ হল স্বাধীনতার প্রতীক। মুক্তির প্রতীক।"

তাঁর কথায়, "ইস্টবেঙ্গল ক্লাবও কিন্তু লড়াইকেই আত্মার সত্ত্বা হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে। এই লড়াইকে সম্বল করে 1920 সাল থেকে আজ 2023 সাল পর্যন্ত দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার প্রতিষ্ঠা, তার এগিয়ে চলার ভিত্তি হল এই লড়াই। এই লড়াই আমরা এফসি বার্সেলোনা এবং রিয়াল বেতিসের মাঠে খুঁজে পেয়েছি। প্রায় এক লক্ষের কাছাকাছি লোক মাঠে উপস্থিত। কিন্তু কোনও বিশৃঙ্খলা নেই। শুধুই তাদের দলের প্রতি আনুগত্য, দলের প্রতি ভালোবাসা, সমর্থন অবাক করে দেয়। মাঠে প্রবেশ করার সময় যখন চারপাশে ঘুরছিলাম তখন একটা জিনিস আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।"

তিনি এও বলেন, "মাঠের চারপাশে প্রচুর এফসি বার্সেলোনার স্যুভেনিয়র শপ। জার্সি পতাকা বিভিন্ন স্মারক বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি শপেই লম্বা লাইন। আমি যখন মেট্রো করে শহরে পৌঁছে ওখানকার বিভিন্ন দোকানে গিয়েছি সেখানেও এই জিনিসগুলো বিক্রি হতে দেখেছি। তার ওপর ভালোরকম ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বার্সেলোনার অফিসিয়াল শপে ওই জিনিসগুলোর যা দাম তার তুলনায় মেট্রো স্টেশন কিংবা শহরের ছোট ছোট দোকানে বিক্রি হওয়া জিনিসের দামের প্রচুর ফারাক। দাম প্রায় একের চার ভাগ কিংবা একের পাঁচ ভাগ কম। তা সত্ত্বেও বার্সেলোনার অফিশিয়াল শপে লম্বা লাইন।"

রূপক সাহা আরও কথা, "ওরা যা বলল তা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেল। ওরা বলল, আমাদের ক্লাব বার্সেলোনা। এই ক্লাবের জয়ে আমরা আমাদের জয় দেখি। একটা ভালো দল গঠন করতে হলে টাকার দরকার। এই জিনিসগুলো কিনে ক্লাবের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। ক্লাবের দল গঠনের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। এতটুকুতে যদি ক্লাবের একটু সাহায্য হয় তাহলে ফুটবলের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা বা ক্লাবের প্রতি দায়বদ্ধতা কিংবা ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা-প্রেম কিছুটা হলেও দেখানো যাবে। ওদের এই দৃষ্টিভঙ্গী আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে। প্রায় একই ধরনের জিনিস অন্য কোনও শপ থেকে কেনার বদলে ক্লাবের অফিসিয়াল শপ কিনছে কারণ ক্লাবের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব বেঁচে রয়েছে লড়াই করছে সমর্থকদের জন্য। তারাই আমাদের শক্তি। তারা পাশে আছে বলেই ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে যাওয়ার সাহস পায় শক্তি পায়।"

আরও পড়ুন: লিগের দ্রুততম গোলে দশজনের ডায়মন্ড হারবারের কাছে হার বাগানের, দলকে শুভেচ্ছা অভিষেকের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.