রায়গঞ্জ, 29 মার্চ : নতুন পথ চলা শুরু হল জাতীয় দলের প্রাক্তন ডিফেন্ডার দীপক মণ্ডলের ৷ লক্ষ্য তৃণমূল স্তর থেকে প্রতিভা অন্বেষণ ৷ সেই লক্ষ্যে কলকাতা থেকে বেশ খানিকটা দূরে রায়গঞ্জে আবাসিক ফুটবল শিবিরের কোচের দায়িত্ব নিলেন লাল-হলুদ, সবুজ-মেরুনের প্রাক্তনী (Deepak Mondal starts coaching career in Raiganj) ৷ কলকাতায় নামী কোনও ক্লাব বা অ্যাকাডেমির সঙ্গে যুক্ত হতে পারতেন অনায়াসে। কিন্তু বাংলা তথা ভারতীয় ফুটবলে সাপ্লাই লাইন শক্তপোক্ত করতে বদ্ধপরিকর 'অর্জুন' দীপক ৷
ঝাড়খণ্ডের ধানমুণ্ডি থেকে ভারতীয় ফুটবলে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন একসময়। স্বভাবতই গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ফুটবলারদের অবস্থা সম্পর্কে অবগত দীপক। গত ডিসেম্বরে রায়গঞ্জ টাউন ক্লাব পরিচালিত একটি টুর্নামেন্টে গিয়ে সেখানকার ফুটবল উন্মাদনা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। ওইদিনই প্রাক্তন জাতীয় ডিফেন্ডারকে রায়গঞ্জ ফুটবল অ্যাকাডেমির দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে মঙ্গলবার সরকারিভাবে রায়গঞ্জ ইনস্টিটিউট ফুটবল কোচিং ক্যাম্পে ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যত তৈরির কাজ শুরু করলেন দীপক ৷
এই আবাসিক শিবিরে দীপকের সহকারী হিসেবে থাকবেন পাঁচ জন ৷ শুধু রায়গঞ্জ নয়, শহরের বাইরে থেকেও একাধিক ছেলে-মেয়ে যোগ দিয়েছে শিবিরে ৷ 12 বছর খেলেছেন জাতীয় দলে ৷ টিএফএর প্রাক্তনী ক্লাব ফুটবলে খেলেছেন জেসিটি, ইস্টবেঙ্গল, মাহিন্দ্রা, মোহনবাগান, কেরালা ব্লাস্টার্সের জার্সিতে। 2002 ফেডারেশনের বিচারে বর্ষসেরা ফুটবলার নিজে কী বলছেন নয়া জার্নি প্রসঙ্গে ৷
আরও পড়ুন : ফের কোচের চেয়ারে ফেরান্দো, এপ্রিলে অনুশীলনে নামছে সবুজ-মেরুন
দীপকের কথায়, "নিজে গ্রামের ছেলে ৷ গ্রামেগঞ্জে প্রচুর প্রতিভা লুকিয়ে থাকে। রায়গঞ্জে কাজ করার সুযোগ পেয়ে খুশি। কারণ, এই অঞ্চলে প্রতিভাবান সব ফুটবলার আছে। গত ডিসেম্বরেই বিষয়টি নজরে এসেছিল আমার। তাই প্রস্তাব পেতে দেরি করিনি। এখন লক্ষ্য একটাই ৷ এখান থেকে ফুটবলার তুলে কলকাতার বড় ক্লাব বা দেশের আরও ভাল অ্যাকাডেমিতে সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। কাজ শুরু করলাম। দেখা যাক কতদূর যেতে পারি। তবে আমি সেরাটাই দেব।"