কলকাতা, 10 অগস্ট: শনিবার ডুরান্ড ডার্বি। মরশুমের প্রথম বড় ম্যাচে মুখোমুখি মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সেই ম্যাচে নামার আগেই ডুরান্ড কমিটির সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। ডার্বির টিকিট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের প্রতিবাদকে কটাক্ষ করলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। তাঁর কথায় ডার্বিতে টানা নয় হারের সাক্ষী যাতে না-থাকতে হয় সেই জন্যই লাল-হলুদ কর্তারা টিকিট বয়কটের পথে হাঁটলেন। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ রায়ের ডাকা আলোচনা সভা থেকে যেভাবে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা বেরিয়ে এসেছিলেন তা মেনে নেওয়া যায় না।
দেবাশিস দত্ত বলেছেন, "সেনাবাহিনীর ডুরান্ড কাপ আয়োজনে কিছু ত্রুটি রয়েছে। আগামী কয়েকবছর আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সুষ্ঠু আয়োজনের বিষয়টিতে সেনাবাহিনী সড়গড় হবে বলে ৷" তাই ইস্টবেঙ্গলের মতো ওয়াকআউটের রাস্তায় না-হেঁটে মোহনবাগান মধ্যপন্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেবাশিস দত্ত। তিনি মানছেন যে পরিমাণ টিকিট দুই প্রধানকে দেওয়া হয়েছে তা দিয়ে চাহিদা মেটানো কঠিন। বৃহস্পতিবার থেকে ডার্বির টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তা কিনতে গোষ্ঠ পাল সরণি এবং লেসলি ক্লডিয়াস সরণিতে যে সর্পিল লাইন পড়েছিল তা অবিশ্বাস্য।
আরও পড়ুন: ডুরান্ড কমিটির শর্ত শুনে ডার্বির টিকিট প্রত্যাখ্যান লাল-হলুদ কর্তাদের
স্মরণাতীত কালে ডার্বির টিকিট ঘিরে এহেন উন্মাদনা দেখা যায়নি। রাত চারটে থেকে সমর্থকরা লাইন দিয়েছেন একটি টিকিটের জন্য। টিকিট না-পেয়ে ক্ষোভও জানিয়েছেন তাঁরা। ইস্টবেঙ্গলে ক্লাবের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দিতে হয়। তিনি এও জানান, আগামিকাল, শুক্রবার ফের টিকিট দেওয়া হবে। সমর্থকরা ফের টিকিট কেনার সুযোগ পাবেন। কিন্তু চাহিদা এবং জোগানের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। শনিবার দুপুর থেকে ক্লাব সদস্যদের জন্য টিকিট দেওয়া হবে। মরশুমের প্রথম ডার্বি। খাতায়-কলমে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এগিয়ে। তাঁদের সমর্থকরা তাই ডার্বি নিয়ে বাড়তি উৎসাহী বলে দাবি মোহনবাগান সচিবের। শুক্রবার দুই দলের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন।
আরও পড়ুন: ডার্বির আগে ফুড কর্পোরেশনকে পাঁচ গোল, গ্রুপ শীর্ষে মোহনবাগান