কলকাতা, 24 অগস্ট: বাংলার ক্রিকেট এখন তার অন্যতম সেরা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। গত পাঁচবছরে কখনও সেমিফাইনাল আবার কখনও ফাইনাল খেলেছে। কাঙ্খিত রঞ্জি ট্রফি জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। দলে একাধিক ভালোমানের তরুণ প্রতিভা। যারা ভবিষ্যতের সম্পদ। তাই বাংলার ক্রিকেটের সুদিন আরও উজ্বলতর হবে। রবিবার কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাব এবং স্কাই ব্রিজের যৌথ উদ্যোগে রঘুনাথপুরে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলা দল নিয়ে আশার কথা শোনালেন অরুণলাল। অনুষ্ঠানে ধ্যানচাঁদের ভারতরত্ন না-পাওয়া প্রসঙ্গ উঠলে অশোক কুমার জানান, এর বিচার তো মানুষ করবে ৷
রঞ্জিট্রফি জয়ী দলের সদস্য, বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক অরুণলাল রঞ্জি জয়ের অপেক্ষায় নতুন মরশুমে বাংলার ম্যাচে চোখ রাখবেন। রবিবারের সকালে ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের অনুষ্ঠান সঙ্গে স্কাইব্রিজ। ফলে মঞ্চে বসেছিল চাঁদের হাট। গৌতম সরকার, অরুণলাল, অশোক কুমার, বুলা চৌধুরি, দিব্যেন্দু বড়ুয়া, টুম্পা দেবনাথ, জ্যোতির্ময়ী সিকদার, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জীব চক্রবর্তী, নীলাশ সাহা, আব্দুল মোনায়েমের মতো দিকপাল ক্রীড়বিদরা উপস্থিত ছিলেন।
মালদায় জেলা ফুটবলের ফাইনালে যাওয়ার পথে উপস্থিত হয়েছিলেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে দুই উদীয়মান ক্রীড়াপ্রতিভা ইন্টারন্যাশনাল দাবাড়ু নীলাশ সাহা এবং অ্যাথলিট মোহর মুখোপাধ্যাকে সংবর্ধিত করা হয় এবং তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় আর্থিক পুরস্কারও।
হকির জাদুকর ধ্যাঁনচাঁদের ভারতরত্ন না-পাওয়ার প্রসঙ্গ উঠেছিল এই অনুষ্ঠানে। ধ্যানচাঁদপুত্র অশোক কুমার সংক্ষিপ্ত উত্তর, "এর বিচার তো মানুষ করবে, আমি করার কে!" অভিমান এবং আশা মিলেমিশে একাকার।
প্রাক্তন ফুটবলার গৌতম সরকার বলেন, "বাংলার ফুটবলাররাই ভবিষ্যতে ভারতীয় ফুটবলের মুখ হয়ে উঠবে আবার। তা নিশ্চিত।" অনুষ্ঠানে উপস্থিত সৌরভ চক্রবর্তী এবং প্রবীর দাস কিংবদন্তি প্রাক্তনের কথায় অনুপ্রাণিত। পদ্মশ্রী বুলা চৌধুরী, বাংলায় একটা ভালো মানের সাঁতার অ্যাকাডেমি গড়ার দাবি তোলেন ওইদিন। এই জন্য ক্রীড়া সাংবাদিকদের সোচ্চার হতে বলেন তিনি। প্রাক্তন অ্যাথলিট জ্যোতির্ময়ী সিকদার বর্তমানে জাতীয় নির্বাচকও।
দ্যুতি চাঁদের বিতর্ক থেকে সরে থাকলেও নতুন প্রতিভার অন্বেষণ এবং তাঁদের গড়ে তোলার কাজ যে চলছে তা জানালেন। আসন্ন এশিয়ান গেমসে অ্যাথলিটরা পদক নিয়ে আসবে বলে আশা করছেন। অলিম্পিয়ান রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় এশিয়ান গেমসে ভারতীয় তীরন্দাজদের ভালো ফলের আশায়। তবে দীপিকা কুমারীকে মেয়েদের দলে প্রয়োজন মনে করেন। কারণ দীপিকার অভিজ্ঞতা দলের সম্পদ ৷
আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সদস্যপদ খারিজ করল বিশ্ব কুস্তি সংস্থা