কলকাতা, 10 সেপ্টেম্বর: কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে ওড়িশা এফসির (Odisha FC)বিরুদ্ধে 2-1 গোলে জয় ছিনিয়ে নিল বেঙ্গালরু এফসি (Bengaluru FC)। নির্ধারিত সময় গোল না হলেও অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচের রঙ বদল। শিবশক্তি, রয় কৃষ্ণ বেঙ্গালুরু এফসি-র গোলদাতা। ওড়িশা এফসি-র গোল দিয়াগো মরিসিওর।
যে কেনও মূল্যে এবছর অধরা ডুরান্ড কাপ (Durand Cup) ছুঁতে চাইছেন সুনীল ছেত্রীরা। কার্যত পুরো শক্তির দল নিয়েই শতাব্দী প্রাচীন টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছেন তাঁরা। গ্রুপ পর্বে মহামেডানের বিরুদ্ধে ম্যাচটি ছাড়া তাঁদের শেষ আটে পৌঁছনোর রাস্তা ছিল মসৃণ। কোয়ার্টার ফাইনালে ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে জয় দলের হার না মানা মনোভাবের ফসল। নির্ধারিত সময়ে দু'দলই পরস্পরের রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
80 মিনিটে শুভম লাল কার্ড পান ৷ বাকি সময় বেঙ্গালুরু দশ জনে খেলে। প্রায় 40 মিনিট একজন কম ফুটবলার নিয়ে খেললেও বেঙ্গালুরু এফসি-কে ছন্দহীন মনে হয়নি। বরং 97 মিনিটে শিবশক্তির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল মেন ইন ব্লু। ডুরান্ড কাপে চারটে গোল করে ফেললেন শিবশক্তি। এই সময় সমতায় ফিরতে যখন মরিয়া ওড়িশা এফসি তখন দারুণভাবে অবস্থা সামাল দিচ্ছিল বেঙ্গালুরু এফসি রক্ষণ।
আরও পড়ুন: কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে ডুরান্ডের শেষ চারে সাদা-কালো
ক্রমাগত আক্রমণের শেষে 115 মিনিটে ওড়িশাকে সমতায় ফেরান দিয়াগো মরিসিও। এই সময় মনে হচ্ছিল খেলার নিষ্পত্তি বোধহয় টাইব্রেকারে হবে। কিন্তু বেলাশেষে ওস্তাদের মার রয় কৃষ্ণের। 121 মিনিটে তাঁর গোল বেঙ্গালুরু এফসি-কে শেষ চারে পৌঁছে দিল। ফিজিয়ান স্ট্রাইকারের গোল শিকার বেঙ্গালুরুকে হাসি মুখে মাঠ ছাড়ার ব্যবস্থা করল। একই সঙ্গে এটিকে মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দো বোধহয় হাত কামড়ানো শুরু করলেন।