কলকাতা, 24 জুন: ফুটবল খেলে হাত ঝেড়ে ফেলা নয়, তা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এক ছাতার তলায় বাংলার ফুটবলাররা। প্রাক্তন থেকে বর্তমান, চল্লিশ জন ফুটবলার 'প্লেয়ার্স ফর হিউম্যানিটি' স্লোগানকে সামনে রেখে মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করলেন। 2017 সাল থেকে কিছুটা অবিন্যস্তভাবে এই পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু করেছিলেন ডেনসন দেবদাস, দীপক মণ্ডল, মেহতাব হোসেন, অভিজিৎ মণ্ডলরা। প্রয়াত ফুটবলার ধনরাজনের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর আর্থিক দায় মেটানোর চেষ্টা থেকে আমফানের সময় প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে দুঃস্থ অসহায়দের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানো কিংবা করোনার অতিমারির সময় বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশ নিয়েছেন এই ফুটবলাররা।
কয়েকটি কাজের মধ্যে থেমে যাওয়া নয়, বিপন্ন ফুটবলারের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর সন্তানকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টাও করে চলেছেন সুব্রত পাল, দীপঙ্কর রায়, অর্ণব মণ্ডলরা। এবার সেই উদ্যোগে গতি বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিলেন ওনারা। মেহেতাব হোসেন বলেন, "আমরা ফুটবল থেকে পেয়েছি অনেক। ফুটবলের জন্যই সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়েছি। এবার ফিরিয়ে দিতে চাই। সামাজিক কাজ করতে গিয়ে যে ছবি দেখেছি তা হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে। সমাজের প্রয়োজনে দাঁড়ানোর তাগিদ অনুভব করেছি। তাই প্লেয়ার্স ফর হিউম্যানিটি সমাজকে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ। যেখানে পুরোটাই দায়বদ্ধতা ৷"
আরও পড়ুন: সুনীলের গোলের সেঞ্চুরির হাতছানি, আশায় প্রাক্তনীরা
তাঁর কথার সুর টেনে রহিম নবি বলেন, "বহু ফুটবলার রয়েছে যারা অর্থের অভাবে চোটের অপারেশন করতে পারছে না। কোনও কোচ অর্থের অভাবে কোচিং ডিগ্রি নিতে পারছেন না। রেফারিরাও আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন। তাদের সাহায্য করব আমরা।" সামাজিক কাজের পাশে ফুটবল ব্রাত্য নয়। কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনের সেরা কোচ, সেরা ফুটবলার, ইমার্জিং ফুটবলারকে আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন দীপক মণ্ডল। অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত দীপক বলছেন, "নতুন প্রতিভার অন্বেষণ তাঁদের এগিয়ে দিতে আরও অনেক পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। ইতিমধ্যে ওয়েবসাইট খুলেছেন। সেখানে ফোন নম্বর দেওয়া রয়েছে। যাতে দরকারে সমস্যায় থাকা ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষরা যোগাযোগ করতে পারেন।"