কলকাতা, 14 এপ্রিল : ময়দান ফিরছে ময়দানে । বারপুজো সেই প্রত্যাবর্তনের নান্দীমুখ মাত্র । বাংলা বছরের প্রথম দিন বাঙালি তাঁর মতো করে নববর্ষ পালন করে । কলকাতা ময়দান এই দিন নতুন সংকল্প নেয় আসন্ন মরসুমের জন্য । গত দু'বছর করোনা আতঙ্কে বিধিনিষেধের ঘেরাটোপে বারপুজোর উৎসব কার্যত সংরক্ষিত ছিল । এবার ফের পুরনো দৃশ্য (Barpujo is returning with its glamour) ।
দু'বছর পর ফের জাঁকজমক করে বারপুজো হতে চলেছে কলকাতা ময়দানে । মোহনবাগান ক্লাবের বার পুজোয় হাজির থাকবেন প্রীতম কোটাল, শুভাশিস বসুরা । তবে আর কারা কারা শুক্রবার সকালে মোহনবাগান ক্লাবে আসবেন তা ঠিক করবেন কোচ জুয়ান ফেরান্দো ।
সামনেই ফের এএফসি কাপের ম্যাচ রয়েছে । ব্লু স্টারকে পাঁচ গোলে পর্যদুস্ত করার পর বাংলাদেশের আবাহনী ক্রীড়াচক্রের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে হবে তাদের । তবে এবার বড় করেই বারপুজো আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে গঙ্গাপাড়ের ক্লাবের । মোহনবাগানে বারপুজো মানে মিলন উৎসব । খাওয়া-দাওয়া, কুশল বিনিময় । ক্লাবের ফুটবল রূপরেখা নিয়ে জমিয়ে আলোচনা । এবার তার সঙ্গে যুক্ত হবে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান । আবাহনী ম্যাচ নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছেন কোচ । শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারকে সহজেই হারাতে পারলেও এবার তা আর সহজ হবে না । পদ্মাপাড়ের লিগে 11 ম্যাচে 22 পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আবাহনী ।
আরও পড়ুন : ‘এটিকে হটাও’, ফুটবলের সঙ্গেই প্রতিবাদও ফিরল যুবভারতীতে
প্রথা মেনে বারপুজো হবে ইস্টবেঙ্গলেও । বর্ষবরণের বিকেলেই জানিয়ে দেওয়া হতে পারে পরবর্তী বিনিয়োগকারীর নামও । বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছিলেন, আগামী 10-15 দিনের মধ্যেই পরবর্তী ইনভেস্টরের নাম জানিয়ে দেওয়া হবে । শ্রী সিমেন্টের কাছ থেকে স্পোর্টিং রাইটস হাতে পাওয়ার পর থেকেই তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে লাল-হলুদে ।
আরও পড়ুন : লাল-হলুদের নয়া লগ্নিকারীর নাম 15 দিনের মধ্যে পরিষ্কার হবে, জানালেন দেবব্রত সরকার
ময়দানের অন্য ক্লাবগুলিও নিজেদের সাধ্যমতো বারপুজোর আয়োজন করেছে । ভবানীপুর, ইউনাইটেড স্পোর্টস, খিদিরপুর ক্লাব, রেফারি টেন্ট, উয়াড়ি ক্লাবও মাতছে বারপুজোয় । সবমিলিয়ে ফের বারপুজোর প্রথা ফিরছে ময়দানে, সঙ্গে তার পরিচিত ছন্দ ।