কলকাতা, 2 মার্চ: ডার্বির গল্প এবং রোমাঞ্চের কথা সার্বিয়া ও মন্টিনেগ্রোর সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন স্লাভকো ডামজানোভিচ । শনিবার ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়িয়েছিলেন মোহনবাগানের ডিফেন্ডার (ATK Mohun Bagan) । ম্যাচের সেরাও হয়েছেন তিনি । ষাট হাজার দর্শকের সামনে অভিষেক ডার্বিতে গোল এবং ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনা দেখে অভিভূত তিনি । স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকের শান্ত হয়ে ফুটবল উপভোগ দেখেও বিস্মিত তিনি (ATK Mohun Bagan eye to bag win against Odisha FC) ।
সেই বিস্ময় স্লাভকো তাঁর দেশের সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন । ডার্বির সাফল্য স্লাভকোর পরিবারও উপভোগ করেছে । শনিবার ঘরের মাঠে প্লে-অফের ম্যাচে প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসি (Odisha FC) । স্লাভকো বলেন, “ডার্বির মতই আরও একটি ডু অর ডাই ম্যাচ শনিবার রয়েছে । এই ব্যাপারে আমার স্বদেশের বন্ধুদের বলেছি ।” প্রায় একই সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, “ওড়িশা দল হিসেবে যথেষ্ট শক্তিশালী । যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ওদের বিরুদ্ধে শেষ কিছুক্ষণ খেলেছিলাম । ওদের ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার মোরেসিও এবং স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ভিক্টর রডরিগেজ আক্রমণের মূলস্তম্ভ । প্রতি-আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে । তাই সতর্ক থাকতে হবে ।”
ঘরের মাঠে খেলার লক্ষ্য সফল । চেনা দর্শকের সামনে মিশন প্লে-অফ সফল করে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করার কথা বলছেন সার্বিয়ান ডিফেন্ডার । ডার্বির সাফল্য অতীত । সেই আনন্দের রেশ সরিয়ে মোহনবাগানের মিশন প্লে-অফের শরিক হতে চান ।
ফরাসি মিডফিল্ডার হুগো বুমোস এটিকে মোহনবাগানের চালিকা শক্তি । তাঁর পায়েই সবুজ-মেরুনের সাফল্য নাচে । প্লে-অফে নামার আগে হুগো বুমোস জানালেন, ডার্বির মরিয়া মনোভাব শনিবারের ম্যাচেও দরকার । ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে ওড়িশা শক্তিশালী । সেমিফাইনালে ওঠার জন্য ওরাও মরিয়া থাকবে । লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হবে । নব্বই মিনিটের মধ্যে ম্যাচটা শেষ করতে হবে । অতিরিক্ত সময় বা টাইব্রেকারে নিয়ে যাওয়া চলবে না । ফাইনালে নামার মানসিকতা নিয়ে শনিবার মাঠে নামবে দল ।
ডার্বির আনন্দ সরিয়ে মোহনবাগানের পাখির চোখ এখন শুধুই ডার্বি । কার্ল ম্যাকহিউ চোট সারিয়ে খেলার জায়গায় চলে এসেছেন । ওড়িশার বিরুদ্ধে দু'টো ম্যাচের ফলাফল ভুলে নতুন আত্মবিশ্বাসী স্ট্যান্সে শনিবার মাঠে নামতে চাইছেন জুয়ান ফেরান্দো ।
আরও পড়়ুন: আরও একবছর লাল-হলুদে ক্লেইটন, দোলাচলে স্টিফেনের ভাগ্য