কলকাতা, 29 অক্টোবর: প্রথম দু'ম্যাচ হারলেও নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে জয় আমূল বদলে দিয়েছিল শিবিরের চেহারাটা ৷ লাল-হলুদ সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধছিলেন এবার হয়তো ভাগ্যদেবতা সহায় হবেন ৷ কিন্তু কোথায় কী ? গত ছ'টি বড় ম্য়াচের ফলাফলে কোনও বদল হল না শনিবাসরীয় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ৷ হুগো বুমোস এবং মনবীর সিংয়ের গোলে আবারও কলকাতা ডার্বির রং সবুজ-মেরুন ৷ আইএসএলে টানা পাঁচ আর সবমিলিয়ে টানা সাতটি ডার্বিতে পরাজিত ইস্টবেঙ্গল (ATK MB beat East Bengal in ISL) ৷ অর্থাৎ ডার্বিতে শেষ সাতবারের সাক্ষাতে শেষ হাসি হেসেছে এটিকে মোহনবাগান ৷ স্বাভাবিকভাবে বসন্তের আগেই বাগানে বিরাজ করছে সঙ্গীতের সপ্তসুর ৷ আর প্রাক্তন ভারতীয় কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের হাত ধরেও ডার্বির গাঁট টপকাতে পারল না লাল-হলুদ ৷
যদিও প্রথমার্ধে লড়াই চলল তুল্যমুল্য ৷ রক্ষণের চক্রব্যুহে মেরিনার্সদের আটকানোর ছক সাজিয়েছিলেন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। মাঝমাঠে দোহার্তি এবং কিরিয়াকুকে অদ্ভুতভাবে ব্যবহার করলেন তিনি। যার ফলে প্রথমার্ধে এটিকে মোহনবাগান বলের দখল বেশি রাখলেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি। শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে শুভাশিস বসুর গড়ানো শট ছাড়া সবুজ মেরুনের আক্রমণও প্রায় নেই বললেই চলে। বারবার লাল হলুদ রক্ষণের সামনে আটকে যাচ্ছিলেন পেত্রাতোস-বুমোসরা। এই অবস্থায় প্রতি-আক্রমণে অনেক বেশি সচল ছিল লাল-হলুদ। নাওরেমের সেন্টার থেকে হাওকিপের হেড দুরন্ত ক্ষিপ্রতায় বাঁচান বিশাল কাইথ। 21 মিনিটে দোহার্তি পেনাল্টি বক্সের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেও চুপ থাকলেন রেফারি।
বিরতির পর লাল-হলুদ জমাট রক্ষণে সবুজ-মেরুন যখন অস্বস্তিতে, তখনই জ্বলে উঠলেন হুগো বুমোস। যদিও 56 মিনিটে গোলটা ফরাসি মিডফিল্ডারকে একপ্রকার উপহার দিলেন লাল-হলুদ দুর্গের শেষ প্রহরী কমলজিৎ ৷ প্রায় মাঝমাঠ থেকে পনেরো গজ দৌড় পঁচিশ দূর থেকে নেওয়া হুগো বুমোসের শট জালে জড়িয়ে যায় (Hugo Boumous scored the first goal for ATK MB)। গোল খেতেই আরও নড়বড়ে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ 65 মিনিটে আবার ভেঙে পড়ে ৷ দ্রিমিত্রির পাস থেকে গোল করে যান মনবীর সিং (Manvir Singh)। ডার্বিতে গোল করা কার্যত অভ্যাসে পরিণত করেছেন পঞ্জাব স্ট্রাইকার ৷
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ-গোয়া ম্যাচে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের জের, ডার্বি শুরু 20 মিনিট দেরিতে
দু'গোলে পিছিয়ে পড়ে হাওকিপের বদলে শৌভিক, ইভানের জায়গায় এলিয়ান্দ্রো এবং সুহেরের জায়গায় অনিকেতকে নিয়ে এসে পালটা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন স্টিফেন। কিন্তু 60 হাজারের যুবভারতীতে আইএসএলের প্রথম বড় ম্যাচে হার লেখা ছিল লাল-হলুদের ভাগ্যে ৷ নইলে এলিয়ান্দ্রোর পাস থেকে গোলের সামনে ঠিকানা লেখা পাস ওভাবে হেলায় কেন হারাবেন ক্লেইটন?