দোহা, 15 ডিসেম্বর: অপেক্ষা আর মাত্র তিনটে দিনের । রবিবার বিশ্বকাপের চুড়ান্ত ম্য়াচে মেসি-এমবাপের মহারণ দেখতে চলেছে সারা বিশ্ব ৷ ছিয়াশির পর কেটে গিয়েছে 36 বছর ৷ 2014 সালে খুব কাছাকাছি পৌঁছেও স্বপ্ন ছুঁতে পারেননি কিংবদন্তি লিওনেল মেসি ৷ তাই এবার তাঁকে নিজেকে ঢেলে দিতে হবে মহাযুদ্ধের ময়দানে ৷ অন্যদিকে ফরাসি বাহিনীর হয়ে শেষ দূর্গ রক্ষক অধিনায়ক হুগো লরিস ৷ এইবার বিশ্বকাপে তেকাঠির সামনে কার্যত পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি ৷ গোটা বিশ্বকাপে মাত্র চারটি গোল হজম করেছেন ৷ বুধবার রাতেও তিনি মরক্কোর সামনে চিনের প্রাচীর হয়ে উঠেছিলেন (France goalkeeper and captain Hugo Lloris) ৷
তবে গত ম্যাচে গোল হজম করতে না-হলেও রবিবাসরীয় ম্য়াচ এত সহজ হবে বলে মনে করছেন না ফরাসি অধিনায়ক ৷ তাঁর মতে আর্জেন্তাইন অধিনায়ককে সামলানো বেশ কঠিন হবে তাঁর পক্ষে ৷ মরক্কোর বিপক্ষে 2-0 গোলে জয়ের পর লরিস বলেন, "আর্জেন্তিনা সত্যিই একটি দুর্দান্ত দল । তারা দেখিয়েছে যে তারা কেমন প্রতিদ্বন্দ্বী (Argentina will be really hard in World Cup final ) ৷ তাদের এমন একজন খেলোয়াড় (মেসি) আছেন যিনি খেলার জগতে তার প্রতিভার ছাপ রেখেছেন (Hugo Lloris on Messi)।" তিনি আরও বলেন, "সবদিক ঠিকঠাক রয়েছে এটা একটা দারুণ খেলা হতেই পারে ৷ তবে আমরা অবশ্য়ই চেষ্টা করব ম্যাচের মোড় আমাদের দিকে ঘোরাতে (French keeper on World Cup Final)৷"
মরক্কোর বিরুদ্ধে প্রথম পাঁচ মিনিটের মাথাতেই গোলের মুখ খুলেছিল ফ্রান্স ৷ গ্রিজম্যানের বাড়ানো বল ধরে চকিতে কিলিয়ান এমবাপের করা শট মরক্কো ডিফেন্ডাররা প্রতিহত করেন । তবে ফিরতি বল অতর্কিতে উঠে আসা হার্নান্দেজের পায়ে পড়লে তিনি তা জালে জড়িয়ে দিতে ভুল করেননি । এর ফলেই খেলায় এগিয়ে যায় ফ্রান্স ৷ কিন্তু এরপর মরক্কোর দূর্ভেদ্য রক্ষণ ভেদ করে দ্বিতীয় গোল তুলে নিতে ফরাসি বাহিনীর সময় লেগে গিয়েছিল আরও প্রায় 73-74 মিনিট ৷ মরক্কোর ডিফেন্সে একেবারে একক দক্ষতায় ফাটল ধরান এমবাপে ৷ আর তারপর তাঁর পা থেকে বল পেয়ে তা জালে ঠেলে দেন মুয়ানি ৷ 79 মিনিটে আসে দ্বিতীয় গোল ৷
আরও পড়ুন: সেমি'তেই থামল মরক্কোর স্বপ্নদৌড় ! কাপ রক্ষায় ফ্রান্সের সামনে এখন মেসিরা
আপাত দৃষ্টিতে স্কোরলাইন দেখে মনে হতেই পারে সহজ জয় তুলে নিয়েছিল ফ্রান্স ৷ তবে হুগো পরিষ্কার জানিয়ে দেন ভীষণ ধকলপূর্ণ ছিল এই লড়াই ৷ তিনি বলেন, " আমাদের জন্য সত্যিই খুব কষ্টকর লড়াই ছিল ৷ তবে আমরা ক্লান্ত কিন্তু সন্তুষ্ট ৷ কারণ আমরা ফ্রান্সের হয়ে ইতিহাস গড়ার সুবর্ণ সুযোগ নিজেকে দিতে পেরেছি । চার বছরের মধ্যে দ্বিতীয় ফাইনাল, তাই সবকিছু নিখুঁত না-হলেও, আগামিকাল থেকে আমাদের রিকভারি শুরু করতে হবে ৷"