ETV Bharat / sports

‘‘দ্য কুইন’’ ভারতীয় হকির সোনার মেয়ে রানি

author img

By

Published : Mar 4, 2020, 9:21 AM IST

মাত্র 13 বছর বয়েসে ভারতীয় মহিলা হকি দলে যোগ দেয় রানি রামপাল ৷ 2010 সালে কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসাবে হকি বিশ্বকাপে অংশ নেন তিনি ৷ খুব তাড়াতাড়ি জাতীয় দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হন তিনি ৷

image
রানি রামপাল

হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের একটা ছোট্ট শহর শাহবাদের বাসিন্দা রানি রামপাল, দেশকে নিয়ে গেছেন গর্বের শিখরে । যিনি ক্লাস ফোরে পড়তে পড়তেই হকিস্টিক হাতে তুলে নিয়েছিলেন, আজ তাঁকে পদ্মশ্রীতে সম্মানিত করা হচ্ছে। রানিকে নিয়ে তাঁর বাবা-মার গর্বের অন্ত নেই।

1994 সালের 4 ডিসেম্বর, শাহবাদ মারকান্ডায় জন্ম হয় রানির। রোজগারের জন্য একটা ঘোড়া বাদে তাঁর বাবা রামপালের কাছে আর কিছুই ছিল না। ক্লাস ফোরে পড়তে পড়তে হকির প্রতি রানির আগ্রহ জন্মায়, আর তাঁকে অবাক করে বাবা একটা হকিস্টিক কিনে দেন। মাত্র 13 বছর বয়েসে রানি ভারতীয় মহিলা হকি দলে যোগ দেয় । আর খুব তাড়াতাড়ি তিনি দলের অধিনায়ক হয়ে ওঠেন।

তাঁর নিষ্ঠাই রানিকে দলের অধিনায়ক হওয়ার পথে এগিয়ে দিয়েছে। যত তিনি খেলায় উন্নতি করতে থাকেন, তত তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা উন্নত হতে থাকে। যখন তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছন, তাঁর ছোট্ট শহর শাহবাদ গর্বে আলোকিত হয়ে ওঠে। রানি তাঁর পরিবারে সবথেকে ছোট। তাঁর দুই বড় ভাই আছেন, যাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করেন। তাঁদের একজন কাজ করেন রেলে।

রানির বাবা তাঁর পদ্মশ্রীর জন্য নির্বাচিত হওয়ার খবরে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘‘হকি খেলা শুরু করতে এবং তার পরেও ওর যা যা প্রয়োজন তা এনে দিত আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমি খুবই খুশি, যে ও নিজের সমস্ত স্বপ্ন পূরণ করছে আর গোটা ভারতকে গর্বিত করছে।’’

রানি তাঁর নামের সঙ্গে তাঁর বাবার নামটিও জুড়ে রাখেন। যখন রানির বাবাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, যে কেন রানি নিজের নামের পাশে তাঁর নামও রাখেন, বাবা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। বলেন, "ও শুরু থেকেই নিজের নামের সঙ্গে আমাদের নামটা যোগ করেছে।"

একনজরে রানির কেরিয়ার

  • 2013-য় জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড়ের শিরোপা।
  • 2010 সালে কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে হকি বিশ্বকাপে অংশ নেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র 15।
  • 14 বছর বয়েসে তিনি নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলেন।
  • 2009 সালের এশিয়া কাপে ভারতের রুপো জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।
  • 2010 সালের কমনওয়েলথ গেমস আর ওই বছরই এশিয়ান গেমসে তিনি ভারতীয় দলের অংশ ছিলেন।
  • তিনি জিতেছেন বেস্ট ইয়ং ফরওয়ার্ড অ্যাওয়ার্ড
  • 2013 সালে জুনিয়র হকি দল ব্রোঞ্জ মেডেল জেতে । এটা ছিল 38 বছর পর বিশ্বকাপ হকিতে ভারতের প্রথম পদক।
  • ভারতের তেরঙায় যোগ করেছেন গর্বের রং ৷ আমরা আশা করব, এই রং দিন দিন আরও গভীর হবে।

হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের একটা ছোট্ট শহর শাহবাদের বাসিন্দা রানি রামপাল, দেশকে নিয়ে গেছেন গর্বের শিখরে । যিনি ক্লাস ফোরে পড়তে পড়তেই হকিস্টিক হাতে তুলে নিয়েছিলেন, আজ তাঁকে পদ্মশ্রীতে সম্মানিত করা হচ্ছে। রানিকে নিয়ে তাঁর বাবা-মার গর্বের অন্ত নেই।

1994 সালের 4 ডিসেম্বর, শাহবাদ মারকান্ডায় জন্ম হয় রানির। রোজগারের জন্য একটা ঘোড়া বাদে তাঁর বাবা রামপালের কাছে আর কিছুই ছিল না। ক্লাস ফোরে পড়তে পড়তে হকির প্রতি রানির আগ্রহ জন্মায়, আর তাঁকে অবাক করে বাবা একটা হকিস্টিক কিনে দেন। মাত্র 13 বছর বয়েসে রানি ভারতীয় মহিলা হকি দলে যোগ দেয় । আর খুব তাড়াতাড়ি তিনি দলের অধিনায়ক হয়ে ওঠেন।

তাঁর নিষ্ঠাই রানিকে দলের অধিনায়ক হওয়ার পথে এগিয়ে দিয়েছে। যত তিনি খেলায় উন্নতি করতে থাকেন, তত তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা উন্নত হতে থাকে। যখন তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছন, তাঁর ছোট্ট শহর শাহবাদ গর্বে আলোকিত হয়ে ওঠে। রানি তাঁর পরিবারে সবথেকে ছোট। তাঁর দুই বড় ভাই আছেন, যাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করেন। তাঁদের একজন কাজ করেন রেলে।

রানির বাবা তাঁর পদ্মশ্রীর জন্য নির্বাচিত হওয়ার খবরে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘‘হকি খেলা শুরু করতে এবং তার পরেও ওর যা যা প্রয়োজন তা এনে দিত আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমি খুবই খুশি, যে ও নিজের সমস্ত স্বপ্ন পূরণ করছে আর গোটা ভারতকে গর্বিত করছে।’’

রানি তাঁর নামের সঙ্গে তাঁর বাবার নামটিও জুড়ে রাখেন। যখন রানির বাবাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, যে কেন রানি নিজের নামের পাশে তাঁর নামও রাখেন, বাবা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। বলেন, "ও শুরু থেকেই নিজের নামের সঙ্গে আমাদের নামটা যোগ করেছে।"

একনজরে রানির কেরিয়ার

  • 2013-য় জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড়ের শিরোপা।
  • 2010 সালে কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে হকি বিশ্বকাপে অংশ নেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র 15।
  • 14 বছর বয়েসে তিনি নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলেন।
  • 2009 সালের এশিয়া কাপে ভারতের রুপো জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।
  • 2010 সালের কমনওয়েলথ গেমস আর ওই বছরই এশিয়ান গেমসে তিনি ভারতীয় দলের অংশ ছিলেন।
  • তিনি জিতেছেন বেস্ট ইয়ং ফরওয়ার্ড অ্যাওয়ার্ড
  • 2013 সালে জুনিয়র হকি দল ব্রোঞ্জ মেডেল জেতে । এটা ছিল 38 বছর পর বিশ্বকাপ হকিতে ভারতের প্রথম পদক।
  • ভারতের তেরঙায় যোগ করেছেন গর্বের রং ৷ আমরা আশা করব, এই রং দিন দিন আরও গভীর হবে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.