কলকাতা, 13 সেপ্টেম্বর : কলকাতা লিগ খেতাব ফেরানো সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে জল্পনায় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা । সাত ম্যাচে 13 পয়েন্ট ঝুলিতে । বাকি চার ম্যাচে সর্বোচ্চ 12 পয়েন্ট আসতে পারে। 25 পয়েন্টে খেতাব আসা অনেক পারমুটেশন কম্বিনেশনের ওপর নির্ভর করবে । কারণ লিগ টেবিলের ওপরের দিকে পিয়ারলেস, ভবানীপুরের সাফল্য-ব্যর্থতায় রং বদলের সম্ভাবনা । তবে কোনও সন্দেহ নেই ছয় ম্যাচে 13 পয়েন্ট পেয়ে জহর দাসের পিয়ারলেস সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে ।
ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস গার্সিয়া অবশ্য কলকাতা লিগ খেতাব জয় নিয়ে মন্তব্য করার চেয়ে মরশুম শেষে হিসেব মেলানোর কথা সমালোচকদের বলেছেন । তাই বাকি মরশুমের ভাবনা তাঁর মাথায় । সেভাবেই দল সাজাচ্ছেন । কালীঘাট এম এসের বিরুদ্ধে দলের জয়ে খুশি । তার থেকেও বড় কথা শুরু থেকে মাঠে নেমে নজরকাড়া ফুটবল উপহার দিয়েছেন জুয়ান মেরে গঞ্জালেস । নবাগত জুয়ানের ভালো খেলায় খুশির ঝিলিক আলেয়ান্দ্রোর মুখে । বলছেন, সময় দিলে ফুল ফোটাবে বাঁ পায়ের ফুটবলারটি । একইভাবে বোরহাকে পরিবর্ত হিসেবে নামিয়ে মার্তি ক্রিসপিকে মাঝমাঠে ব্যবহার করেছেন । আলেয়ান্দ্রো বলছেন, মার্তি ক্রিসপিকে তিনি চেনেন । তাঁর অধীনে খেলেছেন মার্তি । তাই মাঝমাঠে ব্লকার হিসেবে তাঁর খেলায় কোনও নতুনত্ব লাল হলুদ চাণক্যের চোখে নেই । বরং না বললেও বোঝা যাচ্ছে কাশিম আইদারার পরিবর্ত খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি । ম্যাচের পরের দিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে ফুটবলারদের কুল ডাউন সেশন ছিল । সেখানে ফিজিও কার্লোস নোদারের অধীনে ফিজিকাল করা ছাড়াও আলেয়ান্দ্রো জুয়ান ও কোলাডোকে নিয়ে বাড়তি সময় ব্যয় করলেন ।
সোমবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ । প্রতিপক্ষ ভবানীপুর ক্লাব । কোচ শংকরলাল চক্রবর্তীকে গত আই লিগে ফুটবল বুদ্ধিতে টেক্কা দিয়েছেন । এবার পরিস্থিতি ভিন্ন । কল্যাণী স্টেডিয়ামে সামান্য ভুলে যাবতীয় আশা খাদের কিনারে চলে যাবে । ইতিমধ্যে ইস্টবেঙ্গল মাঠের বেহাল দশা নিয়ে নিয়মিত সরব হয়েছেন । কল্যাণী স্টেডিয়ামে মাঠের ভালো অবস্থা তাঁর মুখে হাসি ফোটাবে । ফুটবলারদের পাসিং ফুটবলের সার্থক প্রয়োগে বাজিমাতের ভাবনা । যার সফল প্রয়োগ না হলে সমালোচনা শুরু হবে জানেন । আর জানেন বলেই লাল হলুদ হেডস্যার বলছেন, জো ডজ, কামো বায়োকে সামলাতে নতুন ভাবনা ভাবতে হবে । সেজন্য সময় প্রয়োজন । তাই বলাই যায় কলকাতা লিগের শেষ প্রহরে নতুন ছকের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস গার্সিয়া ।