লিসবন, 22 অগাস্ট : ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দেশে ফুটবলের মহাযুদ্ধ ৷ লিসবনে বসতে চলেছে 2020 সালের UEFA চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের আসর ৷ তবে ঘরের মাঠে মহরণে দেখা যাবে না সি আর সেভেনকে ৷ নেই লিওনেল মেসিও ৷ তবে তার জন্য দর্শকদের মধ্যে উৎসাহের ভাটা কিন্তু একেবারেই পড়েনি ৷ নেইমার দা সিলভা স্যান্টোস বনাম রবার্ট লেওয়ানডস্কির দ্বৈরথ দেখার জন্য মুখিয়ে ফুটবল প্রেমীরা ৷
লিসবেনের বেনফিকার দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল লড়াই ৷ মুখোমুখি হতে চলেছে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ ও ক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে ওঠা প্যারিস সাঁ জাঁ ৷ আর খেতাবি জয়ের লডা়ইয়ে নামার আগে নেইমার, এমবাপেরা ইতিমধ্যে ঘরোয়া ত্রিমুকুট জিতেছেন ৷ ফরাসি লিগ ওয়ান ও ফরাসি ক্লাব কাপ ও ফ্রেঞ্চ কাপ ঘরে তুলেছে PSG ৷ অন্যদিকে বুন্দেশলিগা ও জার্মান কাপ জয় করা হয়ে গেছে বায়ার্নের ৷ এবার মুলার, লেওয়ানডস্কিদের লক্ষ্য ঐতিহ্যবাহী ত্রিমুকুট জয় ৷
তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের লড়াইয়ে খানিকটা হলেও এগিয়ে আছে প্যারিস সাঁ জাঁ ৷ ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে এর আগে দুই দলের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়েছে 8 বার ৷ তারমধ্যে পাঁচবারই জিতেছে PSG ৷ তিন বার প্যারিস সাঁ জাঁকে হারিয়েছে বায়ার্ন ৷ যদিও সব ম্যাচই চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্যায়ের৷ তবে শুধু পরিসংখ্যান দিয়ে মুলার, লেওয়ানডস্কির বায়ার্ন মিউনিখকে বিচার করা উচিত নয় ৷
লিও মেসির বার্সাকে 8-2 বিশাল ব্যবধানে চূর্ণ করেছে তারা ৷ তবে শুধু এটাই নয়, শেষ 10টি ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে বায়ার্ন ৷ পরিসংখ্যান অনুযায়ী টুর্নামেন্টের সবথেকে আক্রমণাত্মক দল কিন্তু জার্মান চ্যাম্পিয়ানরা ৷ এখনও পর্যন্ত করেছে 42টি গোল ৷ গোল করার চেষ্টা করেছে 230 বার ৷ টার্গেটে বল রেখেছে 99 বার ৷
এর আগে 2012-13 মরশুমেও ত্রিমুকুট জয় করেছিল বায়ার্ন মিউনিখ ৷ সেই দলের চার ফুটবলার এবারও দলে আছেন ৷ তাঁরা হলেন, গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ার, জেরোমি বোয়েতাং, ডেভিড অ্যালবা ও থমাস মুলার ৷ কেরিয়ারে দ্বিতীয় বার ত্রিমুকুট জয়ের জন্য ঝাঁপাবেন তাঁরা ৷ নয়ার তো ইতিমধ্যে হুঙ্কার দিয়েই রেখেছেন ৷ চলতি মরশুমের দল 2012-13 মরশুমের থেকেও ভালো ৷
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও রেকর্ডের সামনে রবার্ট লেওয়ানডস্কি ৷ চলতি মরশুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে ইতিমধ্যে 15টি গোল করা হয়ে গেছে পোল্যান্ডের স্ট্রাইকারের ৷ ফাইনালে মাত্র দুটি গোল করতে পারলেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ধরে ফেলবেন তিনি ৷ চ্যাম্পিয়নস লিগের এক মরশুমে সর্বাধিক 17টি গোল করার নজির আছে সি আর সেভেনের ৷ গোলের অ্যাসিস্টের দিক থেকেও চলতি মরশুমে সর্বাধিক 6টি গোল করে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার সঙ্গে একাসনে লেওয়ানডস্কি ৷
তবে ফাইনালের লড়াই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে তৈরি এমবাপে, নেইমাররা ৷ প্যারিসের হয়ে সর্বাধিক 5টি গোল করেছেন ফরাসি স্ট্রাইকার ৷ সমসংখ্যক গোল করেছেন মউরো ইকারডিও ৷ তবে নজর থাকবে নেইমারের দিকেও ৷ প্রথমবার লিগ খেতাব জয়ের জন্য তাঁর ব্যক্তিগত নৈপূণ্যের দিকেও তাকিয়ে থাকবে PSG সমর্থকরা ৷