ETV Bharat / sports

Tollywood before Kolkata Derby : চড়ছে পারদ, বড় ম্যাচের আগে আড়াআড়ি ভাগ টলিপাড়া - ISL 2021-22

টলিউডের ইতিহাস বলে মহানায়ক উত্তমকুমার (Uttam Kumar) ছিলেন আদ্যোপ্রান্ত মোহনবাগানি। উল্টোদিকে মহানায়িকা সুচিত্রা সেন (Suchitra Sen) ছিলেন পাবনার মানুষ। স্বভাবতই তিনি ছিলেন খাঁটি ইস্টবেঙ্গল। শ্যুটিংয়ের মাঝে দু'জনের মধ্যে এনিয়ে তর্কও লেগে যেত।

Tollywood before Kolkata Derby
চড়ছে পারদ, বড় ম্যাচের আগে আড়াআড়ি ভাগ টলিপাড়া
author img

By

Published : Nov 26, 2021, 2:57 PM IST

কলকাতা, 26 নভেম্বর : শতবর্ষে কলকাতা ডার্বি। শনিবার গোয়ার জিএমসি অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে আইএসএলে (ISL 2021-22 ) মুখোমুখি এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal) বনাম এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। আবেগের বড় ম্য়াচ ঘিরে বরাবরই মেতে থাকে টলিউড ৷ ব্য়তিক্রম নয় এবারও ৷ আগামীকালের বড় ম্য়াচের (Kolkata Derby) প্রাকমুহূর্তে ফের আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে টলি-টাউন ৷ কেউ সবুজ-মেরুন তো কেউ লাল-হলুদ, এককথায় শনিবার বড় ম্য়াচের আগে দু'ভাগে বিভক্ত টলিউড।

টলিউডের ইতিহাস বলে মহানায়ক উত্তমকুমার (Uttam Kumar) ছিলেন আদ্যোপ্রান্ত মোহনবাগানি। উল্টোদিকে মহানায়িকা সুচিত্রা সেন (Suchitra Sen) ছিলেন পাবনার মানুষ। স্বভাবতই তিনি ছিলেন খাঁটি ইস্টবেঙ্গল। শ্যুটিংয়ের মাঝে দু'জনের মধ্যে এনিয়ে তর্কও লেগে যেত। আজও বাংলা ফিল্ম ইন্ড্রাষ্ট্রিতে এহেন ক্রীড়াপ্রেমীর অভাব নেই। কেউ ভালবাসেন ইলিশ, কাউকে আবার চিংড়ি টানে ৷ ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান প্রীতিকে রসদ করে চলচ্চিত্র জগত সমৃদ্ধও হয়েছে। কত গানও রয়েছে বাংলার দুই প্রধানকে ঘিরে। আর পাঁচটা বড় ম্য়াচের মত শনিবারের ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছেন টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। প্রিয় দলকে নিয়ে কে কী বললেন, রইল নির্যাস।

দু'প্রধানে খেলা প্রাক্তন গোলরক্ষক রজত ঘোষদস্তিদারের (Rajat Ghosh Dastidar) ঘরণী অভিনেত্রী সোনালী চৌধুরী (Sonalee Chaudhuri) মোহনবাগান অন্ত প্রাণ। ফুটবলার-পত্নী হওয়ার কারণে খেলার ব্যাকরণটাও ভালমত বোঝেন তিনি। বাগানের সমস্ত খবর তাঁর নখদর্পণে। এহেন সোনালী ইটিভি ভারতকে বলেন, "আগের মরশুমেও মোহনবাগান ভাল খেলেছে। রয় কৃষ্ণা, মনবীর সিং গত মরশুম থেকেই দারুণ ছন্দে। এবারও প্রথম ম্যাচ মোহনবাগান জিতেই শুরু করেছে। হুগো বুমোস আর লিস্টন এসে যাওয়ায় আমরা এবার আরও শক্তিশালী। সুতরাং, শনিবার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ৷"

অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Joyjit Banerjee) একজন গর্বিত সবুজ-মেরুন সমর্থক। খেলা নিয়ে তাঁর মাতামাতির শেষ নেই ৷ কলকাতা ফুটবল হোক বা ওয়ার্ল্ড ফুটবল, মিস করতে নারাজ তিনি। সবসময়ের মতো এবারেও প্রিয় দলের জয় দেখতে চান তিনি। অভিনেতা জানালেন, "এটিকে মোহনবাগান জিতুক, এটুকুই কামনা।" মজার কথা হল ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান নিয়ে তাঁর বাড়িতে রয়েছে লম্বা পাঁচিল। অভিনেতার মা এবং স্ত্রী ইস্টবেঙ্গল সমর্থক ৷ অন্যদিকে অভিনেতা এবং তাঁর বাবা মোহনবাগানি।

অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র (Rimjhim Mitra) আবার পাক্কা ইস্টবেঙ্গল সাপোর্টার। তিনিও খেলার ব্যাকরণটা দারুণ বোঝেন। খেলা দেখেন নিয়মিত। ডার্বি নিয়েও স্বাভাবিকভাভেই উত্তেজিত তিনি। একইভাবে অভিনেতা-পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ইস্টবেঙ্গল প্রীতি অজানা নয় অনুরাগীদের। ইস্টবেঙ্গল সমর্থক অভিনেত্রী রাত্রি ঘটক ইটিভি ভারতকে জানালেন, ডার্বি নিয়ে যথেষ্ট উত্তেজিত তিনি। কাঠ-বাঙাল রাত্রির আশা ইস্টবেঙ্গল জিতবে ৷ ইস্টবেঙ্গলের অন্ধ সমর্থক অভিনেত্রী অঙ্কিতা পাল মজুমদারও।

আরও পড়ুন : Derby Countdown : প্রতিটি বলের জন্য লড়াই করব, বলছেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার প্রিৎসে

এদিকে অভিনেতা মৈনাক ব্যানার্জি (Mainak Banerjee) আবার মোহনবাগানি। জানালেন, "কলেজ লাইফে অনেকবার বন্ধুদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ দেখতে গিয়েছি। ছোটবেলা থেকেই অনেক স্মৃতি রয়েছে এই ম্যাচ নিয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে কত ঝগড়াও হয়েছে। আমি খেলাপাগল। ফুটবল দেখতে বেশি পছন্দ করি। শনিবার মোহনবাগানই জিতবে। থ্রি চিয়ার্স ফর মোহনবাগান!"

বাঙাল হয়েও মোহনবাগানের সমর্থক অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত (Swastika Dutta)। স্বস্তিকা বলেন, "ডার্বি ম্যাচ মানেই বাবার দখলে টিভি। আমিও দেখি কমবেশি। মোহনবাগান জিতলে আনন্দ পাই। এই রবিবারেও মোহনবাগানের জয় দেখব এই আশাই রাখি।" মোহনবাগানের সমর্থক অভিনেত্রী-বিধায়ক লাভলি মৈত্রও। "খেলা সেভাবে না দেখা হলেও মোহনবাগান জিতলে আনন্দ পাই ৷" বলেন তিনি।

আরও পড়ুন : Derby Countdown : ডার্বির আগে লাল-হলুদ রক্ষণকে বাড়তি সমীহ কৃষ্ণার

প্রসঙ্গত, 'ডার্বি' ম্যাচ মানেই বাঙালির মনে উন্মাদনার পারদ তুঙ্গে। যদিও শহর কলকাতা করোনার জেরে গত দু'বছর ডার্বির স্বাদ থেকে বঞ্চিত । রাস্তা জ্যাম, মেট্রোয় ভিড়, বাসে-ট্রেনে বাদুড়ঝোলা ভিড় তিলোত্তমার চেনা ছবি ৷ তবে কয়েকবছর আগেও 'ডার্বি' শব্দটি এত প্রচলিত ছিল না। তাহলে কবে থেকে এই শব্দ বাঙালির বড় ম্য়াচের জায়গা নিল? সম্ভবত ইপিএল, লা লিগা, সিরি-এ, বুন্দেশলিগা সাম্প্রতিক সময়ে মজ্জায় গেঁথে যাওয়ায় 'ডার্বি' শব্দটি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কারণ ওইসব দেশে দুই স্থানীয় দলের খেলাকে 'ডার্বি' বলা হয়ে থাকে ৷

অর্থাৎ, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড-ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, ল্যাজিও-রোমার মতোই বাঙালির ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান। বাঙাল, ঘঁটি এই একটা দিনে দ্বিবিভক্ত। ঘরে ঘরে তর্ক, চলে ইলিশ-চিংড়ির চ্যালেঞ্জ। শনিবার আরও একটা ডার্বি ৷ অলিতে-গলিতে টাঙানো প্রিয় দলের পতাকা। বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। এখন শতবর্ষের ডার্বিতে বাজিমাৎ করে কে ৷

কলকাতা, 26 নভেম্বর : শতবর্ষে কলকাতা ডার্বি। শনিবার গোয়ার জিএমসি অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে আইএসএলে (ISL 2021-22 ) মুখোমুখি এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal) বনাম এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। আবেগের বড় ম্য়াচ ঘিরে বরাবরই মেতে থাকে টলিউড ৷ ব্য়তিক্রম নয় এবারও ৷ আগামীকালের বড় ম্য়াচের (Kolkata Derby) প্রাকমুহূর্তে ফের আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে টলি-টাউন ৷ কেউ সবুজ-মেরুন তো কেউ লাল-হলুদ, এককথায় শনিবার বড় ম্য়াচের আগে দু'ভাগে বিভক্ত টলিউড।

টলিউডের ইতিহাস বলে মহানায়ক উত্তমকুমার (Uttam Kumar) ছিলেন আদ্যোপ্রান্ত মোহনবাগানি। উল্টোদিকে মহানায়িকা সুচিত্রা সেন (Suchitra Sen) ছিলেন পাবনার মানুষ। স্বভাবতই তিনি ছিলেন খাঁটি ইস্টবেঙ্গল। শ্যুটিংয়ের মাঝে দু'জনের মধ্যে এনিয়ে তর্কও লেগে যেত। আজও বাংলা ফিল্ম ইন্ড্রাষ্ট্রিতে এহেন ক্রীড়াপ্রেমীর অভাব নেই। কেউ ভালবাসেন ইলিশ, কাউকে আবার চিংড়ি টানে ৷ ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান প্রীতিকে রসদ করে চলচ্চিত্র জগত সমৃদ্ধও হয়েছে। কত গানও রয়েছে বাংলার দুই প্রধানকে ঘিরে। আর পাঁচটা বড় ম্য়াচের মত শনিবারের ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছেন টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। প্রিয় দলকে নিয়ে কে কী বললেন, রইল নির্যাস।

দু'প্রধানে খেলা প্রাক্তন গোলরক্ষক রজত ঘোষদস্তিদারের (Rajat Ghosh Dastidar) ঘরণী অভিনেত্রী সোনালী চৌধুরী (Sonalee Chaudhuri) মোহনবাগান অন্ত প্রাণ। ফুটবলার-পত্নী হওয়ার কারণে খেলার ব্যাকরণটাও ভালমত বোঝেন তিনি। বাগানের সমস্ত খবর তাঁর নখদর্পণে। এহেন সোনালী ইটিভি ভারতকে বলেন, "আগের মরশুমেও মোহনবাগান ভাল খেলেছে। রয় কৃষ্ণা, মনবীর সিং গত মরশুম থেকেই দারুণ ছন্দে। এবারও প্রথম ম্যাচ মোহনবাগান জিতেই শুরু করেছে। হুগো বুমোস আর লিস্টন এসে যাওয়ায় আমরা এবার আরও শক্তিশালী। সুতরাং, শনিবার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ৷"

অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Joyjit Banerjee) একজন গর্বিত সবুজ-মেরুন সমর্থক। খেলা নিয়ে তাঁর মাতামাতির শেষ নেই ৷ কলকাতা ফুটবল হোক বা ওয়ার্ল্ড ফুটবল, মিস করতে নারাজ তিনি। সবসময়ের মতো এবারেও প্রিয় দলের জয় দেখতে চান তিনি। অভিনেতা জানালেন, "এটিকে মোহনবাগান জিতুক, এটুকুই কামনা।" মজার কথা হল ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান নিয়ে তাঁর বাড়িতে রয়েছে লম্বা পাঁচিল। অভিনেতার মা এবং স্ত্রী ইস্টবেঙ্গল সমর্থক ৷ অন্যদিকে অভিনেতা এবং তাঁর বাবা মোহনবাগানি।

অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র (Rimjhim Mitra) আবার পাক্কা ইস্টবেঙ্গল সাপোর্টার। তিনিও খেলার ব্যাকরণটা দারুণ বোঝেন। খেলা দেখেন নিয়মিত। ডার্বি নিয়েও স্বাভাবিকভাভেই উত্তেজিত তিনি। একইভাবে অভিনেতা-পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ইস্টবেঙ্গল প্রীতি অজানা নয় অনুরাগীদের। ইস্টবেঙ্গল সমর্থক অভিনেত্রী রাত্রি ঘটক ইটিভি ভারতকে জানালেন, ডার্বি নিয়ে যথেষ্ট উত্তেজিত তিনি। কাঠ-বাঙাল রাত্রির আশা ইস্টবেঙ্গল জিতবে ৷ ইস্টবেঙ্গলের অন্ধ সমর্থক অভিনেত্রী অঙ্কিতা পাল মজুমদারও।

আরও পড়ুন : Derby Countdown : প্রতিটি বলের জন্য লড়াই করব, বলছেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার প্রিৎসে

এদিকে অভিনেতা মৈনাক ব্যানার্জি (Mainak Banerjee) আবার মোহনবাগানি। জানালেন, "কলেজ লাইফে অনেকবার বন্ধুদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ দেখতে গিয়েছি। ছোটবেলা থেকেই অনেক স্মৃতি রয়েছে এই ম্যাচ নিয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে কত ঝগড়াও হয়েছে। আমি খেলাপাগল। ফুটবল দেখতে বেশি পছন্দ করি। শনিবার মোহনবাগানই জিতবে। থ্রি চিয়ার্স ফর মোহনবাগান!"

বাঙাল হয়েও মোহনবাগানের সমর্থক অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত (Swastika Dutta)। স্বস্তিকা বলেন, "ডার্বি ম্যাচ মানেই বাবার দখলে টিভি। আমিও দেখি কমবেশি। মোহনবাগান জিতলে আনন্দ পাই। এই রবিবারেও মোহনবাগানের জয় দেখব এই আশাই রাখি।" মোহনবাগানের সমর্থক অভিনেত্রী-বিধায়ক লাভলি মৈত্রও। "খেলা সেভাবে না দেখা হলেও মোহনবাগান জিতলে আনন্দ পাই ৷" বলেন তিনি।

আরও পড়ুন : Derby Countdown : ডার্বির আগে লাল-হলুদ রক্ষণকে বাড়তি সমীহ কৃষ্ণার

প্রসঙ্গত, 'ডার্বি' ম্যাচ মানেই বাঙালির মনে উন্মাদনার পারদ তুঙ্গে। যদিও শহর কলকাতা করোনার জেরে গত দু'বছর ডার্বির স্বাদ থেকে বঞ্চিত । রাস্তা জ্যাম, মেট্রোয় ভিড়, বাসে-ট্রেনে বাদুড়ঝোলা ভিড় তিলোত্তমার চেনা ছবি ৷ তবে কয়েকবছর আগেও 'ডার্বি' শব্দটি এত প্রচলিত ছিল না। তাহলে কবে থেকে এই শব্দ বাঙালির বড় ম্য়াচের জায়গা নিল? সম্ভবত ইপিএল, লা লিগা, সিরি-এ, বুন্দেশলিগা সাম্প্রতিক সময়ে মজ্জায় গেঁথে যাওয়ায় 'ডার্বি' শব্দটি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কারণ ওইসব দেশে দুই স্থানীয় দলের খেলাকে 'ডার্বি' বলা হয়ে থাকে ৷

অর্থাৎ, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড-ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, ল্যাজিও-রোমার মতোই বাঙালির ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান। বাঙাল, ঘঁটি এই একটা দিনে দ্বিবিভক্ত। ঘরে ঘরে তর্ক, চলে ইলিশ-চিংড়ির চ্যালেঞ্জ। শনিবার আরও একটা ডার্বি ৷ অলিতে-গলিতে টাঙানো প্রিয় দলের পতাকা। বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। এখন শতবর্ষের ডার্বিতে বাজিমাৎ করে কে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.