ETV Bharat / sports

মারাকানাজো থেকে মিনেইরাজো, ব্রাজিলের ফুটবল ট্র্যাজেডি

ব্রাজিলের ফুটবলের গৌরবময় ইতিহাসে দুই কলঙ্ক হিসেবে পরিচিত মারাকানাজো থেকে মিনেইরাজো ৷ পাঁচটি বিশ্বকাপের জয় যে ক্ষতে প্রলেপ দিতে পারেনি ৷

author img

By

Published : Jul 9, 2021, 6:01 PM IST

Updated : Jul 9, 2021, 7:10 PM IST

tragedy of brazil football
tragedy of brazil football

রিও ডি জেনেইরো, 9 জুলাই : চাঁদের গায়েও কলঙ্ক থাকে ৷ ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসের গায়ে মারাকানাজো এবং মিনেইরাজো হল সেই দাগের সমান ৷ বিশ্বের সবচেয়ে সফল ফুটবল দল ব্রাজিলের গায়ে কলঙ্কের মত লেপ্টে আছে দুটি শব্দ ৷ 2014 সালের 8 জুলাই ৷ ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ট্র্যাজেডির সাক্ষী থেকেছিল বেলো হরিজেন্তের মিনেইরো স্টেডিয়াম ৷ সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে 1-7 গোলে বিধ্বস্ত হওয়া বিশ্ব ফুটবলে মিনেইরাজো নামে পরিচিত ৷ বিশ্বকাপ, জার্মানি-ব্রাজিল ম্যাচ বা মিনেইরো স্টেডিয়ামের কথা উঠলেই ব্রাজিল সমর্থকদের কাছে বারেবারে ফিরে আসে সেই দুঃসহ স্মৃতি ৷ একদিন আগেই মিনেইরাজোর 7 বছর পূর্ণ হয়েছে ৷ 8 জুলাই যতবার আসবে ততবারই ফুটবলপ্রেমীদের স্মৃতিতে ফিরে আসবে বিশ্ব ফুটবলের এই অন্যতম শক্তিধর দেশের চোখের জলে ভাসার দিনটি ৷

দিনটি ব্রাজিলের ইতিহাসে কালো দিন হিসেবে বিবেচিত হয়ে আছে ৷ আমাদের দেশ ক্রিকেট নিয়ে আবেগে ভাসে ৷ সেই খেলার সঙ্গে জড়িত মানুষরা ভগবানের সমান ৷ আর ব্রাজিলিয়ানদের রক্তে ফুটবল ৷ ব্রাজিলের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে রয়েছে ফুটবল ৷ কিন্তু সেই গর্ব, ঐতিহ্যের ফানুস ফুটো হয়ে যায় জার্মানির বিরুদ্ধে 2014-র ফুটবল বিশ্বকাপের সেমির লড়াইয়ে ৷ সেদিন 23 থেকে 29 মিনিটের মধ্যে চারটি গোল হজম করেছিল তারা ৷ 1950 সালের মারাকানাজো-র যন্ত্রণাও সেই হারকেও ছাপিয়ে গিয়েছিল ৷

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের মঞ্চে ব্রাজিলিয়ানদের সেটা প্রথমবার ঘা খাওয়া নয় ৷ 1950 সালের ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের চূড়ান্ত নির্ধারণী ম্যাচে সেবার লাতিন আমেরিকার অন্যতম দল উরুগুয়ের কাছে হারতে হয়েছিল ব্রাজিলকে ৷ লাখো দর্শকের সামনে ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে সেই হার ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম ট্র্যাজেডি ৷ যা মারাকানাজো নামে পরিচিত ৷ শোনা যায়, শেষ বাঁশি বাজার আগেই মারাকানার ছাদ থেকে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন এক ব্রাজিল সমর্থক ৷ শোকে দুঃখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের ৷

উরুগুয়ের বিরুদ্ধে হার জাতীয় বিপর্যয় বলে গণ্য হত
উরুগুয়ের বিরুদ্ধে হার জাতীয় বিপর্যয় বলে গণ্য হত

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল ফুটবল ৷ যুদ্ধ শেষে 1950 সালে সেবার ব্রাজিলে বসেছিল বিশ্বকাপের আসর ৷ ফাইনাল ম্যাচ বলে কিছু ছিল না ৷ যে দল বেশি পয়েন্ট নিয়ে শেষ করবে তারাই জয়ী হবে ৷ 16 জুলাই মারাকানায় ব্রাজিল বনাম উরুগুয়ে ম্যাচটিই ছিল কার্যত ফাইনাল ৷ সকলে ধরেই নিয়েছিল উরুগুয়েকে হারিয়ে ঘরের মাঠে জুলে রিমে ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে চলেছে ব্রাজিল ৷ অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বেশ কয়েকটি নমুনা মেলে ৷ যেমন ম্যাচের আগে সংবাদপত্র 'ও মুন্ডো'তে ব্রাজিলের ফটোর নিচে 'বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন' বলে লেখা হয় ৷ সাম্বা ছন্দে মেতে উঠেছিল রিও ডি জেনেইরোর পথঘাট ৷ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের কীভাবে বরণ করা হবে তা নিয়ে চলছিল বিস্তর আলোচনা ৷

আরও পড়ুন : Euro 2020 : দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রেকর্ডের ছড়াছড়ি, ফাইনালে ইতালির সামনে ইংল্য়ান্ড

সেদিন মারাকানা 2 লাখের বেশি দর্শকে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল ৷ বিশ্বকাপের জন্য বিশেষভাবে তৈরি খোলা মারাকানায় প্রথমার্ধ গোলশূন্য থেকে যায় ৷ এরপর 47 মিনিটে গোটা স্টেডিয়ামকে উদ্বেল করে উরুগুয়ের জালে বল জড়ান ব্রাজিলের স্ট্রাইকার ফ্রিয়াকা ৷ মারাকানার শব্দব্রহ্মে তখন কান পাতা দায় ৷ কিন্তু 66 মিনিটে উরুগুয়ের স্ট্রাইকার জুয়ান শিয়াফিনো গোল করে সমতায় ফেরায় দলকে ৷ কিন্তু তাতেও সমস্যা ছিল না ৷ আগের ম্যাচের ফলাফল অনুযায়ী ম্যাচ ড্র হলেও বিশ্বকাপ ঢুকবে ব্রাজিলের ঘরে ৷

মারাকানাজো খ্যাত উরুগুয়ের ঘিঘিয়া
মারাকানাজো খ্যাত উরুগুয়ের ঘিঘিয়া

কিন্তু তারপর যা হল তার জন্য মোটেও অপেক্ষা করে ছিল না ফুটবলপ্রেমীদের ৷ ম্যাচ শেষ হওয়ার 11 মিনিট আগে গোটা স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দিয়ে গোল করেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার আলসিদিয়াস ঘিঘিয়া ৷ পিন ড্রপ সাইলেন্স ৷ যা দেখলেন তা সত্যি তো ! মারাকানার লাখ দুয়েক দর্শক তখনও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ৷ ফিফা প্রেসিডেন্ট জুলে রিমে ভাবতেও পারেননি ম্যাচের পর তাঁকে উরুগুয়ের উদ্দেশে অভিন্দনমূলক বক্তব্য রাখতে হবে ! পরে পাঁচ পাঁচটি বিশ্বকাপ জয় ব্রাজিলের মারাকানাজোর আঘাতে প্রলেপ দিতে পারেনি ৷

সেই হারের প্রভাব পড়েছিল প্রতিটি ব্রাজিলিয়ানের উপর ৷ তবে মোয়াসির বারবোসা, ব্রাজিলের সেদিনের গোলরক্ষকের জীবন সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছিল ৷ কার্যত একঘরে হয়ে গিয়েছিলেন বারবোসা ৷ জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন ৷ একবার বারবোসা বলেছিলেন, ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা 30 বছরের ৷ আমারটা 50 বছরের হয়ে গেল ৷ 2014 সালের মিনেইরাজো অবশ্য মারাকানাজোর লজ্জাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল ৷ 71 বছর আগের আঘাত অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে ৷ কিন্তু 2014 বিশ্বকাপ একেবারে টাটকা ৷ দু'বার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ব্রাজিলের সমর্থকরা ঐতিহাসিক যন্ত্রণা পেয়েছে তা ভোলার নয় ৷ ঘরের মাঠ, বিশ্বকাপ, জুলাই মাস কোনওটাই যেন হজম হয় না ব্রাজিলের ৷

বেলো হরিজন্তের দুঃসহ স্মৃতি প্রতিটি ব্রাজিলিয়ানের মনে দগদগে
বেলো হরিজন্তের দুঃসহ স্মৃতি প্রতিটি ব্রাজিলিয়ানের মনে দগদগে

এটা অবশ্য বিশ্বকাপের মঞ্চ নয় ৷ কোপা আমেরিকার ফাইনাল ৷ লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠ ফুটবল দল হওয়ার লড়াই ৷ রবিবার ভোরে মারাকানায় ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা ৷ দুই দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা লোকমুখে ফেরে ৷ সেই মারাকানা, সেই জুলাই মাস ৷ আবার কি একটা মারাকানাজোর অপেক্ষা নাকি বরাবরই আঘাত পেয়ে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে ফিরে আসা ব্রাজিলের জয় ৷ অপেক্ষায় ফুটবল বিশ্ব ৷

রিও ডি জেনেইরো, 9 জুলাই : চাঁদের গায়েও কলঙ্ক থাকে ৷ ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসের গায়ে মারাকানাজো এবং মিনেইরাজো হল সেই দাগের সমান ৷ বিশ্বের সবচেয়ে সফল ফুটবল দল ব্রাজিলের গায়ে কলঙ্কের মত লেপ্টে আছে দুটি শব্দ ৷ 2014 সালের 8 জুলাই ৷ ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ট্র্যাজেডির সাক্ষী থেকেছিল বেলো হরিজেন্তের মিনেইরো স্টেডিয়াম ৷ সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে 1-7 গোলে বিধ্বস্ত হওয়া বিশ্ব ফুটবলে মিনেইরাজো নামে পরিচিত ৷ বিশ্বকাপ, জার্মানি-ব্রাজিল ম্যাচ বা মিনেইরো স্টেডিয়ামের কথা উঠলেই ব্রাজিল সমর্থকদের কাছে বারেবারে ফিরে আসে সেই দুঃসহ স্মৃতি ৷ একদিন আগেই মিনেইরাজোর 7 বছর পূর্ণ হয়েছে ৷ 8 জুলাই যতবার আসবে ততবারই ফুটবলপ্রেমীদের স্মৃতিতে ফিরে আসবে বিশ্ব ফুটবলের এই অন্যতম শক্তিধর দেশের চোখের জলে ভাসার দিনটি ৷

দিনটি ব্রাজিলের ইতিহাসে কালো দিন হিসেবে বিবেচিত হয়ে আছে ৷ আমাদের দেশ ক্রিকেট নিয়ে আবেগে ভাসে ৷ সেই খেলার সঙ্গে জড়িত মানুষরা ভগবানের সমান ৷ আর ব্রাজিলিয়ানদের রক্তে ফুটবল ৷ ব্রাজিলের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে রয়েছে ফুটবল ৷ কিন্তু সেই গর্ব, ঐতিহ্যের ফানুস ফুটো হয়ে যায় জার্মানির বিরুদ্ধে 2014-র ফুটবল বিশ্বকাপের সেমির লড়াইয়ে ৷ সেদিন 23 থেকে 29 মিনিটের মধ্যে চারটি গোল হজম করেছিল তারা ৷ 1950 সালের মারাকানাজো-র যন্ত্রণাও সেই হারকেও ছাপিয়ে গিয়েছিল ৷

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের মঞ্চে ব্রাজিলিয়ানদের সেটা প্রথমবার ঘা খাওয়া নয় ৷ 1950 সালের ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের চূড়ান্ত নির্ধারণী ম্যাচে সেবার লাতিন আমেরিকার অন্যতম দল উরুগুয়ের কাছে হারতে হয়েছিল ব্রাজিলকে ৷ লাখো দর্শকের সামনে ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে সেই হার ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম ট্র্যাজেডি ৷ যা মারাকানাজো নামে পরিচিত ৷ শোনা যায়, শেষ বাঁশি বাজার আগেই মারাকানার ছাদ থেকে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন এক ব্রাজিল সমর্থক ৷ শোকে দুঃখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের ৷

উরুগুয়ের বিরুদ্ধে হার জাতীয় বিপর্যয় বলে গণ্য হত
উরুগুয়ের বিরুদ্ধে হার জাতীয় বিপর্যয় বলে গণ্য হত

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল ফুটবল ৷ যুদ্ধ শেষে 1950 সালে সেবার ব্রাজিলে বসেছিল বিশ্বকাপের আসর ৷ ফাইনাল ম্যাচ বলে কিছু ছিল না ৷ যে দল বেশি পয়েন্ট নিয়ে শেষ করবে তারাই জয়ী হবে ৷ 16 জুলাই মারাকানায় ব্রাজিল বনাম উরুগুয়ে ম্যাচটিই ছিল কার্যত ফাইনাল ৷ সকলে ধরেই নিয়েছিল উরুগুয়েকে হারিয়ে ঘরের মাঠে জুলে রিমে ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে চলেছে ব্রাজিল ৷ অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বেশ কয়েকটি নমুনা মেলে ৷ যেমন ম্যাচের আগে সংবাদপত্র 'ও মুন্ডো'তে ব্রাজিলের ফটোর নিচে 'বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন' বলে লেখা হয় ৷ সাম্বা ছন্দে মেতে উঠেছিল রিও ডি জেনেইরোর পথঘাট ৷ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের কীভাবে বরণ করা হবে তা নিয়ে চলছিল বিস্তর আলোচনা ৷

আরও পড়ুন : Euro 2020 : দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রেকর্ডের ছড়াছড়ি, ফাইনালে ইতালির সামনে ইংল্য়ান্ড

সেদিন মারাকানা 2 লাখের বেশি দর্শকে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল ৷ বিশ্বকাপের জন্য বিশেষভাবে তৈরি খোলা মারাকানায় প্রথমার্ধ গোলশূন্য থেকে যায় ৷ এরপর 47 মিনিটে গোটা স্টেডিয়ামকে উদ্বেল করে উরুগুয়ের জালে বল জড়ান ব্রাজিলের স্ট্রাইকার ফ্রিয়াকা ৷ মারাকানার শব্দব্রহ্মে তখন কান পাতা দায় ৷ কিন্তু 66 মিনিটে উরুগুয়ের স্ট্রাইকার জুয়ান শিয়াফিনো গোল করে সমতায় ফেরায় দলকে ৷ কিন্তু তাতেও সমস্যা ছিল না ৷ আগের ম্যাচের ফলাফল অনুযায়ী ম্যাচ ড্র হলেও বিশ্বকাপ ঢুকবে ব্রাজিলের ঘরে ৷

মারাকানাজো খ্যাত উরুগুয়ের ঘিঘিয়া
মারাকানাজো খ্যাত উরুগুয়ের ঘিঘিয়া

কিন্তু তারপর যা হল তার জন্য মোটেও অপেক্ষা করে ছিল না ফুটবলপ্রেমীদের ৷ ম্যাচ শেষ হওয়ার 11 মিনিট আগে গোটা স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দিয়ে গোল করেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার আলসিদিয়াস ঘিঘিয়া ৷ পিন ড্রপ সাইলেন্স ৷ যা দেখলেন তা সত্যি তো ! মারাকানার লাখ দুয়েক দর্শক তখনও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ৷ ফিফা প্রেসিডেন্ট জুলে রিমে ভাবতেও পারেননি ম্যাচের পর তাঁকে উরুগুয়ের উদ্দেশে অভিন্দনমূলক বক্তব্য রাখতে হবে ! পরে পাঁচ পাঁচটি বিশ্বকাপ জয় ব্রাজিলের মারাকানাজোর আঘাতে প্রলেপ দিতে পারেনি ৷

সেই হারের প্রভাব পড়েছিল প্রতিটি ব্রাজিলিয়ানের উপর ৷ তবে মোয়াসির বারবোসা, ব্রাজিলের সেদিনের গোলরক্ষকের জীবন সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছিল ৷ কার্যত একঘরে হয়ে গিয়েছিলেন বারবোসা ৷ জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন ৷ একবার বারবোসা বলেছিলেন, ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা 30 বছরের ৷ আমারটা 50 বছরের হয়ে গেল ৷ 2014 সালের মিনেইরাজো অবশ্য মারাকানাজোর লজ্জাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল ৷ 71 বছর আগের আঘাত অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে ৷ কিন্তু 2014 বিশ্বকাপ একেবারে টাটকা ৷ দু'বার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ব্রাজিলের সমর্থকরা ঐতিহাসিক যন্ত্রণা পেয়েছে তা ভোলার নয় ৷ ঘরের মাঠ, বিশ্বকাপ, জুলাই মাস কোনওটাই যেন হজম হয় না ব্রাজিলের ৷

বেলো হরিজন্তের দুঃসহ স্মৃতি প্রতিটি ব্রাজিলিয়ানের মনে দগদগে
বেলো হরিজন্তের দুঃসহ স্মৃতি প্রতিটি ব্রাজিলিয়ানের মনে দগদগে

এটা অবশ্য বিশ্বকাপের মঞ্চ নয় ৷ কোপা আমেরিকার ফাইনাল ৷ লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠ ফুটবল দল হওয়ার লড়াই ৷ রবিবার ভোরে মারাকানায় ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা ৷ দুই দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা লোকমুখে ফেরে ৷ সেই মারাকানা, সেই জুলাই মাস ৷ আবার কি একটা মারাকানাজোর অপেক্ষা নাকি বরাবরই আঘাত পেয়ে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে ফিরে আসা ব্রাজিলের জয় ৷ অপেক্ষায় ফুটবল বিশ্ব ৷

Last Updated : Jul 9, 2021, 7:10 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.