ETV Bharat / sports

দারিদ্রকে হার মানিয়ে মোহনবাগানের প্রথম অ্যাথলিট সম্মানে ভূষিত আসানসোলের তাপস - Mohunbagan

বাবা বিশ্বজিৎ দে বাসের কন্ডাক্টর ছিলেন । এখন TB-তে আক্রান্ত । কাজ করার শক্তি নেই । রোগ সারিয়ে ফের কন্ডাক্টরের ব্যাগ তুলে নিতে চান । মা সংসার সামলান । বড় দাদা অটোচালক । বাস্তবটাকে ছোটোবেলা থেকেই বড্ড বেশিই দেখে ফেলেছে তাপস ৷ তাই ফের সুদিন ফেরানোর আশায় অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে বছর আঠারোর ছেলেটি । দু'বছর ধরে সবুজ মেরুণ জার্সি পড়ে দৌড়াচ্ছেন ।

তাপস দে
author img

By

Published : Jul 30, 2019, 10:23 PM IST

Updated : Jul 30, 2019, 11:42 PM IST

আসানসোল, 30 জুলাই: বাবা, মা দুই ভাই নিয়ে আসানসোলের তাপসের ভালো-বাসা । শান্তির আবহে বড় হয়ে ওঠা খেলার দুনিয়ার কড়া বাস্তবে পা দেওয়ার পর তাপস উপলব্ধি করেছিল সব কিছু সহজ নয় । কঠিন পরিস্থিতিতে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার অর্জিত মানসিকতা বরাবরই ৷ এই বছর মোহনবাগানের তরফে আয়োজিত সেরা অ্যাথলিটের সম্মান পেলেন তিনি ৷

বাবা বিশ্বজিৎ দে বাসের কন্ডাক্টর ছিলেন । এখন TB আক্রান্ত । কাজ করার শক্তি নেই । রোগ সারিয়ে ফের কন্ডাক্টরের ব্যাগ তুলে নিতে চান । মা সংসার সামলান । বড় দাদা অটোচালক । বাস্তবটাকে ছোটোবেলা থেকে বড্ড বেশিই দেখে ফেলেছেন তাপস ৷ ফের সুদিনের আশায় আথলেটিক্স ট্র্যাকে বছর আঠারোর ছেলেটি । দু'বছর ধরে সবুজ মেরুণ জার্সি পড়ে দৌড়াচ্ছেন । আসানসোলের স্থানীয় কোচের হাতে প্রাথমিক শিক্ষার শুরু ৷ বর্তমানে কল্যাণ চৌধুরির কোচিংয়ে উন্নততর পাঠ নিচ্ছেন । ফল মিলেছে । ইতিমধ্যে অনুর্ধ্ব 18 বিভাগের বেশ কয়েকটি রেকর্ড দখলে । 800 এবং 1500 মিটারের পদক জয়ের দৌড় দেশের জার্সিতে নিয়ে যেতে চান । এই ব্যাপারে তার সাম্প্রতিক প্রেরণা হিমা দাস ।

মোহনবাগান রত্ন পুরস্কারের পথ চলা 2001 সালে । ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলারদের রত্ন সম্মানে ভূষিত করাই এতদিন রীতি ছিল মোহনবাগানের ৷ ফুটবলাররদের সম্মান দেওয়ার পাশাপাশি অন্য অ্যাথলিটদেরও সেরার পুরস্কার দেওয়ার রীতি চালু হয়েছে এবার থেকে ৷ প্রতিবারের রীতি ভেঙে ফুটবলারের বাইরে মোহনবাগান রত্ন সম্মান দেওয়া হয়েছে ভারত গৌরব কেশব দত্তকে । প্রথম বছর সেই পুরস্কার পেলেন অ্যাথলিট তাপস দেও ৷ স্বভাবতই খুশির হাওয়া পরিবারে ৷

মোহনবাগান থেকে প্রাক স্বাধীনতা পর্বে অলিম্পিকে অংশগ্রহণের ইতিহাস রয়েছে । তাপস সেই ইতিহাস জানেন না । তবে তিনি জীবনের ছন্দ খুজে পেতে দৌড়ে যেতে চান । দারিদ্রের লড়াই থেকে সাফল্যের রাজপথে ওঠাই তাঁর লক্ষ্য ৷

আসানসোল, 30 জুলাই: বাবা, মা দুই ভাই নিয়ে আসানসোলের তাপসের ভালো-বাসা । শান্তির আবহে বড় হয়ে ওঠা খেলার দুনিয়ার কড়া বাস্তবে পা দেওয়ার পর তাপস উপলব্ধি করেছিল সব কিছু সহজ নয় । কঠিন পরিস্থিতিতে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার অর্জিত মানসিকতা বরাবরই ৷ এই বছর মোহনবাগানের তরফে আয়োজিত সেরা অ্যাথলিটের সম্মান পেলেন তিনি ৷

বাবা বিশ্বজিৎ দে বাসের কন্ডাক্টর ছিলেন । এখন TB আক্রান্ত । কাজ করার শক্তি নেই । রোগ সারিয়ে ফের কন্ডাক্টরের ব্যাগ তুলে নিতে চান । মা সংসার সামলান । বড় দাদা অটোচালক । বাস্তবটাকে ছোটোবেলা থেকে বড্ড বেশিই দেখে ফেলেছেন তাপস ৷ ফের সুদিনের আশায় আথলেটিক্স ট্র্যাকে বছর আঠারোর ছেলেটি । দু'বছর ধরে সবুজ মেরুণ জার্সি পড়ে দৌড়াচ্ছেন । আসানসোলের স্থানীয় কোচের হাতে প্রাথমিক শিক্ষার শুরু ৷ বর্তমানে কল্যাণ চৌধুরির কোচিংয়ে উন্নততর পাঠ নিচ্ছেন । ফল মিলেছে । ইতিমধ্যে অনুর্ধ্ব 18 বিভাগের বেশ কয়েকটি রেকর্ড দখলে । 800 এবং 1500 মিটারের পদক জয়ের দৌড় দেশের জার্সিতে নিয়ে যেতে চান । এই ব্যাপারে তার সাম্প্রতিক প্রেরণা হিমা দাস ।

মোহনবাগান রত্ন পুরস্কারের পথ চলা 2001 সালে । ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলারদের রত্ন সম্মানে ভূষিত করাই এতদিন রীতি ছিল মোহনবাগানের ৷ ফুটবলাররদের সম্মান দেওয়ার পাশাপাশি অন্য অ্যাথলিটদেরও সেরার পুরস্কার দেওয়ার রীতি চালু হয়েছে এবার থেকে ৷ প্রতিবারের রীতি ভেঙে ফুটবলারের বাইরে মোহনবাগান রত্ন সম্মান দেওয়া হয়েছে ভারত গৌরব কেশব দত্তকে । প্রথম বছর সেই পুরস্কার পেলেন অ্যাথলিট তাপস দেও ৷ স্বভাবতই খুশির হাওয়া পরিবারে ৷

মোহনবাগান থেকে প্রাক স্বাধীনতা পর্বে অলিম্পিকে অংশগ্রহণের ইতিহাস রয়েছে । তাপস সেই ইতিহাস জানেন না । তবে তিনি জীবনের ছন্দ খুজে পেতে দৌড়ে যেতে চান । দারিদ্রের লড়াই থেকে সাফল্যের রাজপথে ওঠাই তাঁর লক্ষ্য ৷

Intro:বাবা, মা দুই ভাই নিয়ে আসানসোলে তাপসের ভালো- বাসা। শান্তির আবহে বড় হয়ে ওঠা খেলার দুনিয়ার কড়া বাস্তবে পা দেওয়ার পর তাপস উপলব্ধি করেছিল সব কিছু সহজ নয়। কঠিন পরিস্থিতিতে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার অর্জিত মানসিকতা এবছরের সেরা আথলিট এর সম্মান দিল আসানসোলের তাপস দে কে।
মোহনবাগান রত্ন পুরস্কারের পথ চলা 2001 সালে। প্রথিত যশা সবুজ মেরুন প্রাক্তন ফুটবলারদের রত্ন সম্মানে ভূষিত করাই ক্লাবের এতদিনের রীতি ছিল। এবার থেকে তা অতীত। ফুটবলারের বাইরে রত্ন সম্মান এবার ভারত গৌরব কেশব দত্তকে। ফুটবল ক্রিকেটার দের সম্মান জানানোর মঞ্চে এবার থেকে আথলিট দের সেরার পুরস্কার দেওয়া হবে।প্রথম বছর তাপস দে সম্মানিত হতে পেরে তাপস স্বয়ং খুশি।
বাবা বিশ্বজিৎ দে বাসের কন্ডাক্টর ছিলেন। এখন টিবি আক্রান্ত। কাজ করার শক্তি নেই। রোগ সারিয়ে ফের কন্ডাক্টরের ব্যাগ তুলে নিতে চান। মা সংসার সামলান। বড় দাদা আসানসোলের রাস্তায় অটো চালান। ভালো বাসার দুঃখ মলিন ছবিটা তাপসের অনুপ্রেরণা। ফের সুদিনের আশায় আথলেটিক্স ট্র্যাকে বছর আঠারো র ছেলেটি। দুবছর ধরে সবুজ মেরুন জার্সি পড়ে দৌড়াচ্ছেন। আসানসোলের স্থানীয় কোচের হাতে প্রাথমিক শিক্ষা র পরে বর্তমানে কল্যাণ চৌধুরীর কোচিং এ উন্নতর পাঠ নিচ্ছেন। ফল মিলেছে।ইতিমধ্যে অনুর্ধ 18 বিভাগে র বেশ কয়েকটি রেকর্ড দখলে। আটশো এবং পনেরো শো মিটারের পদক জয়ের দৌড় দেশের জার্সিতে নিয়ে যেতে চান। এব্যাপারে তার সাম্প্রতিক প্রেরনা হিমা দাস।
মোহনবাগান থেকে প্রাক স্বাধীনতা পর্বে অলিম্পিক এ অংশগ্রহণ এর ইতিহাস রয়েছে। তাপস সেই ইতিহাস জানেননা। তিনি জীবনের ছন্দ খুজে পেতে দৌড়ে যেতে চান। দারিদ্র্যের লড়াই থেকে সাফল্যের রাজপথে ওঠার অন্য তপসের নাম তাপস দে।


Body:দে


Conclusion:
Last Updated : Jul 30, 2019, 11:42 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.