কলকাতা, 15 মে: গুরপ্রীত সিং সান্ধুর হাতে নিজের রাজ্যপাট খোয়াতে হলেও অখুশি নন সুব্রত পাল । বরং ভারতীয় দলের এই সিনিয়র গোলরক্ষক গুরপ্রীতের অধ্যাবসায়ে মুগ্ধ । সম্প্রতি বেঙ্গালুরু FC-র সেই গোলরক্ষক সুব্রত পালকে আদর্শ বলেছেন । বর্তমান ভারতীয় দলের একনম্বর গোলরক্ষকের মুখে নিজের প্রশংসা শুনে মুগ্ধ হয়েছেন সোদপুরের ছেলে সুব্রত । বলেছেন, তাঁর প্রতি গুরপ্রীতের মুগ্ধতা আসলে শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ । যা একজন সিনিয়র গোলরক্ষককে তৃপ্তি দেয় ।
ভারতীয় দলের সিনিয়র গোলরক্ষক সুব্রতর কথায়, "ও আমার প্রতি যে কথাগুলো বলেছে তাতে আমি সম্মানিত বোধ করছি । শুরুর দিন থেকে গুরপ্রীতকে দেখেছি । 2011 সালে AFC এশিয়ান কাপে দু’মাস ও আমার রুমমেট ছিল । অনুশীলনে অক্লান্ত এবং বুদ্ধি করে ফুটবল খেলে । ওর মধ্যে মাঝে মাঝে নিজেকে দেখতে পাই ।" বর্তমানে দেশের ফুটবলে সুব্রত পালের পারফরম্যান্স যেকোনও গোলরক্ষকের মানদণ্ড । বাঙালি গোলরক্ষকের অকুতোভয় পারফরম্যান্স, স্ট্রাইকারদের পা থেকে বল কেড়ে নেওয়ার মধ্যে যে মুন্সিয়ানা তিনি দেখিয়েছেন তা প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের প্রশংসা কুড়িয়েছে । গোলরক্ষকদের পারফরম্যান্সের গ্রাফ দাঁড়িয়ে থাকে আত্মবিশ্বাসের উপর । একজন সিনিয়র গোলরক্ষক হিসেবে সুব্রত পালকে গুরপ্রীতের আত্মবিশ্বাস সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে । তিনি বলেছেন, "গুরপ্রীতের আত্মবিশ্বাস সবচেয়ে আকর্ষণ করে আমায় । তা ছাড়া নতুন কিছু শেখার ব্যাপারে ও সবসময় মুখিয়ে থাকে ।" এই আগ্রহ আর আত্মবিশ্বাস গুরপ্রীতকে সবার থেকে এগিয়ে রেখেছে বলে মত সুব্রতর ।
মাত্র 27 বছর বয়স ছয় ফুট পাঁচ ইঞ্চি দীর্ঘদেহী গোলরক্ষকের । দেশের হয়ে নিয়মিত পারফরম্যান্স করে চলেছেন । সুব্রত বলছেন, গোলরক্ষকরা একটু বেশি বয়সে পরিণত হন । বিশ্ব ফুটবলের দিকে তাকালে এমন একাধিক উদাহরণ মিলবে । তাই ইস্টবেঙ্গল থেকে বেঙ্গালুরু FC-তে যাওয়া তরুণ গোলরক্ষকের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন সুব্রত । ইতিমধ্যেই গুরপ্রীত ইউরোপের ক্লাবে খেলেছেন । যা তার আগে খেলে এসেছেন সুব্রত ।2016 সালে অর্জুন সম্মান পেয়েছেন তিনি । 2019-এ অর্জুন সম্মান পেয়েছেন গুরপ্রীত । দুই গোলরক্ষক ক্লাব পর্যায়ে দাপিয়ে পারফরম্যান্স করে চলেছেন । সুব্রত যদি "স্পাইডারম্যান" হন তাহলে গুরপ্রীত "সুপার ওয়াল" । তাই দু'জনেই যখন দু'জনের প্রশংসা করেন তখন সেখানে ফুটবলেরই জয় হয় ।