ETV Bharat / sports

ফেডারেশনকে ব্ল্যাকমেইল করছে নীতা আম্বানির সংস্থা, অভিযোগ সৃঞ্জয় বসুর

ISL শুরু হওয়ার আগে বলা হয়েছিল এটাই দেশের ফুটবলের উন্নতির সেরা পথ হতে চলেছে । কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ISL ভারতীয় ফুটবলকে কার্যত অস্তিত্বহীনতার পথে ঠেলে দিচ্ছে । সৃঞ্জয় বসু বলছেন তাঁরাও পুরো ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রাখছেন ।

ফেডারেশনকে ব্ল্যাকমেইল করছে নীতা আম্বানির সংস্থা : সৃঞ্জয় বসু
author img

By

Published : Jun 22, 2019, 11:19 PM IST

Updated : Jun 23, 2019, 1:33 AM IST

কলকাতা, 22 জুন : সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন ব্ল্যাকমেইলের শিকার । যার জেরে নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে । এভাবেই দেশের ফুটবল নিয়ামক সংস্থার সমালোচনায় মোহনবাগানের সহ সচিব সৃঞ্জয় বসু । তাঁর মতে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের অস্তিত্বে দাঁড়িয়ে ফেডারেশনের অস্তিত্ব । অথচ ISL শুরু হওয়ার আগে বলা হয়েছিল এটাই দেশের ফুটবলের উন্নতির সেরা পথ হতে চলেছে । কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ISL ভারতীয় ফুটবলকে কার্যত অস্তিত্বহীনতার পথে ঠেলে দিচ্ছে । সৃঞ্জয় বসু বলছেন তাঁরাও পুরো ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রাখছেন ।

মোহনবাগান সহসচিবে অভিযোগ, নীতা আম্বানির ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (FSDL) ফেডারেশনকে ব্ল্যাকমেলিং করে দেশীয় ফুটবলকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে । তবে তাঁর দাবি, ক্লাবজোট নিজেদের অবস্থানে অনড় । তারা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে । নিয়মিত কথা হচ্ছে । ঠিক করা হচ্ছে আগামীর কর্মসূচি ।

জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে আইএসএলকে দেশের এক নম্বর লিগ ঘোষণা করা হবে । আই লিগের ক্লাবগুলো সেই সিদ্ধান্তের শিলমোহর পড়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন । যদি এই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন হয় তাহলে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি সেরে রাখার ইঙ্গিত সৃঞ্জয় বসু দিয়েছেন ।
কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের চেয়ারম্যান অজিত আইজ়্যাক অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি । বরং পরে ফোন করতে বলেছেন ।

এদিকে, ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত বলেছেন বিষয়টি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি । তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বৈঠকে আলোচনা হবে ।

ইতিমধ্যেই AIFF সচিব কুশল দাস জানিয়েছেন তারা ISL-কে প্রাথমিকভাবে একটা টুর্নামেন্ট বলেই শুরু করেছিলেন । ভবিষ্যতে ISL দেশের সেরা লিগে স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হবে এটাই ছিল কর্তাদের বিশ্বাস । এভাবেই চুক্তিও করা হয়েছিল । চুক্তিটা হয়েছিল ফেডারেশন ও রিলায়েন্স IMG-র মধ্যে। বর্তমানে চুক্তিটি ফেডারেশন ও ফুটবল স্পোর্টস ডেভলপমেন্ট লিমিটেডের মধ্যে ।

ফেডারেশন কর্তারা বলছেন পাঁচবছর অতিক্রান্ত । এবার চুক্তির মর্যাদা দেওয়া প্রয়োজন । শর্তে আই লিগের ভবিষ্যৎ কোন পথে যাবে তা নিয়েও বলা আছে । আসন্ন AIFF কর্মসমিতির বৈঠকে আই লিগের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হবে । আই লিগকে দ্বিতীয় ডিভিশন করে দেওয়া হতে পারে বা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সম্ভাবনাও ফেডারেশন কর্তারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না । এদিকে ক্লাব জোটের আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতিকে পাত্তা দিতে নারাজ সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন । কারণ ফেডারেশন তার লিগের বাণিজ্যিকরণের ব্যাপার অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোকে জানাতে বাধ্য নয় । যে কোনও ক্লাব রাজ্যের ফুটবল নিয়ামক সংস্থার অধীন। ফেডারেশনের অধীনস্থ নয়। তাই ফেডারেশনের বিষয়ে কোনও বিরোধিতার ক্ষমতা ক্লাবের নেই । তবে আই লিগের ক্লাবগুলো যে রাজ্য থেকে প্রতিনিধিত্ব করে সেই রাজ্য ফুটবল সংস্থাগুলো একজোট হয়ে কোনও সমান্তরাল লিগ আয়োজন করতে এবং তার সম্প্রচারের ব্যবস্থা করতে পারে । তাহলে ফেডারেশন কী করবে তা দেখার । যা আদতে দেশের ফুটবল নিয়ামক সংস্থার বিরুদ্ধে অধীনস্থ সংস্থা জোটের বিদ্রোহ ঘোষণার সামিল । তাই ফেডারেশন যেন দিগভ্রষ্ট জাহাজ । যার জেরে দেশের ক্লাব ফুটবলের আকাশে আশঙ্কার ঘূর্ণাবর্ত ।

কলকাতা, 22 জুন : সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন ব্ল্যাকমেইলের শিকার । যার জেরে নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে । এভাবেই দেশের ফুটবল নিয়ামক সংস্থার সমালোচনায় মোহনবাগানের সহ সচিব সৃঞ্জয় বসু । তাঁর মতে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের অস্তিত্বে দাঁড়িয়ে ফেডারেশনের অস্তিত্ব । অথচ ISL শুরু হওয়ার আগে বলা হয়েছিল এটাই দেশের ফুটবলের উন্নতির সেরা পথ হতে চলেছে । কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ISL ভারতীয় ফুটবলকে কার্যত অস্তিত্বহীনতার পথে ঠেলে দিচ্ছে । সৃঞ্জয় বসু বলছেন তাঁরাও পুরো ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রাখছেন ।

মোহনবাগান সহসচিবে অভিযোগ, নীতা আম্বানির ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (FSDL) ফেডারেশনকে ব্ল্যাকমেলিং করে দেশীয় ফুটবলকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে । তবে তাঁর দাবি, ক্লাবজোট নিজেদের অবস্থানে অনড় । তারা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে । নিয়মিত কথা হচ্ছে । ঠিক করা হচ্ছে আগামীর কর্মসূচি ।

জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে আইএসএলকে দেশের এক নম্বর লিগ ঘোষণা করা হবে । আই লিগের ক্লাবগুলো সেই সিদ্ধান্তের শিলমোহর পড়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন । যদি এই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন হয় তাহলে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি সেরে রাখার ইঙ্গিত সৃঞ্জয় বসু দিয়েছেন ।
কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের চেয়ারম্যান অজিত আইজ়্যাক অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি । বরং পরে ফোন করতে বলেছেন ।

এদিকে, ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত বলেছেন বিষয়টি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি । তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বৈঠকে আলোচনা হবে ।

ইতিমধ্যেই AIFF সচিব কুশল দাস জানিয়েছেন তারা ISL-কে প্রাথমিকভাবে একটা টুর্নামেন্ট বলেই শুরু করেছিলেন । ভবিষ্যতে ISL দেশের সেরা লিগে স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হবে এটাই ছিল কর্তাদের বিশ্বাস । এভাবেই চুক্তিও করা হয়েছিল । চুক্তিটা হয়েছিল ফেডারেশন ও রিলায়েন্স IMG-র মধ্যে। বর্তমানে চুক্তিটি ফেডারেশন ও ফুটবল স্পোর্টস ডেভলপমেন্ট লিমিটেডের মধ্যে ।

ফেডারেশন কর্তারা বলছেন পাঁচবছর অতিক্রান্ত । এবার চুক্তির মর্যাদা দেওয়া প্রয়োজন । শর্তে আই লিগের ভবিষ্যৎ কোন পথে যাবে তা নিয়েও বলা আছে । আসন্ন AIFF কর্মসমিতির বৈঠকে আই লিগের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হবে । আই লিগকে দ্বিতীয় ডিভিশন করে দেওয়া হতে পারে বা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সম্ভাবনাও ফেডারেশন কর্তারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না । এদিকে ক্লাব জোটের আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতিকে পাত্তা দিতে নারাজ সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন । কারণ ফেডারেশন তার লিগের বাণিজ্যিকরণের ব্যাপার অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোকে জানাতে বাধ্য নয় । যে কোনও ক্লাব রাজ্যের ফুটবল নিয়ামক সংস্থার অধীন। ফেডারেশনের অধীনস্থ নয়। তাই ফেডারেশনের বিষয়ে কোনও বিরোধিতার ক্ষমতা ক্লাবের নেই । তবে আই লিগের ক্লাবগুলো যে রাজ্য থেকে প্রতিনিধিত্ব করে সেই রাজ্য ফুটবল সংস্থাগুলো একজোট হয়ে কোনও সমান্তরাল লিগ আয়োজন করতে এবং তার সম্প্রচারের ব্যবস্থা করতে পারে । তাহলে ফেডারেশন কী করবে তা দেখার । যা আদতে দেশের ফুটবল নিয়ামক সংস্থার বিরুদ্ধে অধীনস্থ সংস্থা জোটের বিদ্রোহ ঘোষণার সামিল । তাই ফেডারেশন যেন দিগভ্রষ্ট জাহাজ । যার জেরে দেশের ক্লাব ফুটবলের আকাশে আশঙ্কার ঘূর্ণাবর্ত ।

Intro:ফেডারেশনকে ব্ল্যাকমেইল করছে এআইএফএফঃ সৃঞ্জয় বসু

কলকাতা,২২জুনঃ সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন ব্ল্যাকমেলের শিকার। যার জেরে নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে। এভাবেই দেশের ফুটবল নিয়ামক সংস্থার সমালোচনায় মোহনবাগানের সহ সচিব সৃঞ্জয় বসু। তাঁর মতে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের অস্তিত্বে দাঁড়িয়ে ফেডারেশনের অস্তিত্ব। অথচ আইএসএল শুরু হওয়ার আগে বলা হয়েছিল এটাই দেশের ফুটবলের উন্নতির সেরা পথ হতে চলেছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল আইএসএল ভারতীয় ফুটবলকে কার্যত অস্তিত্বহীনতার পথে ঠেলে দিচ্ছে। সৃঞ্জয় বসু বলছেন তাঁরাও পুরো ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রাখছেন।
এফএসডিএল ফেডারেশনকে ব্ল্যাকমেলিং করে দেশীয় ফুটবলকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেও ক্লাবজোট নিজেদের অবস্থানে অনড়। তারা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে বলে মোহনবাগান সহসচিব জানিয়েছেন। নিয়মিত কথা হচ্ছে। ঠিক করা হচ্ছে আগামীর কর্মসূচি।
জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে আইএসএলকে দেশের এক নম্বর লিগ ঘোষণা করা হবে। আই লিগের ক্লাবগুলো সেই সিদ্ধান্তের শিলমোহর পড়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। যদি এই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন হয় তাহলে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি সেরে রাখার ইঙ্গিত সৃঞ্জয় বসু দিয়েছেন।
কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের চেয়ারম্যান অজিত আইজ্যাক অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। বরং পরে ফোন করতে বলেছেন।
ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত বলেছেন বিষয়টি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বৈঠকে আলোচনা হবে।
ইতিমধ্যেই এআইএফএফ সচিব কুশল দাস জানিয়েছেন তারা আইএসএলকে প্রাথমিকভাবে একটা টুর্নামেন্ট বলেই শুরু করেছিলেন। ভবিষ্যতে আইএসএল দেশের সেরা লিগে স্বাভাবিক নিয়মে পরিনত হবে এটাই ছিল কর্তাদের বিশ্বাস। এভাবেই চুক্তিও করা হয়েছিল। চুক্তিটা হয়েছিল ফেডারেশন ও রিলায়েন্স আইএমজির মধ্যে। বর্তমানে চুক্তিটি ফেডারেশন ও ফুটবল স্পোর্টস ডেভলপমেন্ট লিমিটেডের মধ্যে।
ফেডারেশন কর্তারা বলছেন পাঁচবছর অতিক্রান্ত। এবার চুক্তির মর্যাদা দেওয়া প্রয়োজন। শর্তে আই লিগের ভবিষ্যৎ কোন পথে যাবে তা নিয়েও বলা আছে। আসন্ন এআইএফএফ কর্মসমিতির বৈঠকে আই লিগের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হবে। আই লিগকে দ্বিতীয় ডিভিশন করে দেওয়া হতে পারে বা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সম্ভাবনাও ফেডারেশন কর্তারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তাই ফেডারেশন যেন দিগভ্রষ্ট জাহাজ। যার জেরে দেশের ক্লাব ফুটবলের আকাশে আশঙ্কার ঘূর্নাবর্ত।Body:MbConclusion:
Last Updated : Jun 23, 2019, 1:33 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.