পানাজি, 27 অক্টোবর : দ্বিতীয় দফায় বাধ্যতামূলক নিভৃতবাসের দ্বিতীয়দিনে চলতি মরশুমের আইএসএলের প্রথম ডার্বি নিয়ে আলোচনায় লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ঘরবন্দি ফুটবলাররা ফিজিওর দেওয়া ফিটনেস শিডিউল মেনে শরীরচর্চা করছেন । তারই ফাঁকে আসন্ন আইএসএল-এ বড় ম্যাচ নিয়ে আলোচনায় অরিন্দম ভট্টাচার্য, বিকাশ জাইরু, রাজু গায়কোয়াড়, মহম্মদ রফিকরা ।
আগামী 21 নভেম্বর এসসি ইস্টবেঙ্গল তাদের প্রথম ম্যাচে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে খেলবে । 27 নভেম্বর বহু প্রতীক্ষিত কলকাতা ডার্বি। অর্থাৎ, এটিকে-মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ম্যাচের বাকি আর একমাস। সেই ম্যাচ নিয়েই ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে আলোচনায় ব্যস্ত থাকলেন অরিন্দম, রাজু, রফিক, বিকাশ। গতবারের আইপিএলে সোনার গ্লাভস জয়ী গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য এবছর এটিকে-মোহনবাগান ছেড়ে এসসি ইস্টবেঙ্গলে। নিজের ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা এদিন তিনি শেয়ার করে নেন সতীর্থদের সঙ্গে। পাশাপাশি ছোটবেলা থেকেই যে তাঁর বড় ম্যাচ খেলার ইচ্ছে ছিল তাও রফিক, বিকাশদের জানিয়েছেন লাল-হলুদ দুর্গের শেষ প্রহরী।
এই নিয়ে টানা দু'টি মরশুম দর্শকরা স্টেডিয়ামে থাকবেন না ৷ খারাপ লাগার অনুভূতির সঙ্গে চাপটাও কাজ করবে বলে মনে করছেন অরিন্দম। গত মরশুমে এটিকে-মোহনবাগানের গোলরক্ষায় সফল তিনি। এবার লাল-হলুদ গোলরক্ষার ভার তাঁর ওপরে। কিন্তু সফল হওয়ার তাগিদ একইরকম অনুভব করছেন 6 ফুট 2 ইঞ্চির গোলরক্ষক।
লাল-হলুদ এবং সবুজ-মেরুন জার্সিতে ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে রাজু গায়কোয়াড়েরও। সিনিয়রদের দেখেই ডার্বি খেলার স্বপ্ন দেখেছিলেন ৷ সমর্থকরা কতটা তেতে থাকেন ম্যাচটার জন্য সেটা প্রথমবার মাঠে প্রবেশ করার সময়ই টের পেয়েছিলেন মুম্বইকর ফুটবলার । বিকাশ জাইরুও ডার্বি খেলার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন বাইচুং, সুনীলদের মত সিনিয়রদের দেখে । তাঁদের খেলা টিভিতে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন । কেরিয়ারের প্রথমদিকে অন্য ক্লাবের জার্সিতে খেললেও ডার্বি নিয়ে অনেক কথা শুনতেন ।
আরও পড়ুন : স্বার্থের সংঘাত, এটিকে-মোহনবাগানের পদ ছাড়ছেন সৌরভ
মহম্মদ রফিক আবার তাঁর ডার্বি অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে বেরনোর পরই ডার্বির আবহাওয়ার মধ্যে ঢুকে পড়তে হয়। তাঁদের কাছে বড় ম্যাচ হলেও সমর্থকদের কাছে ডার্বি মানেই সম্মানের ডুয়েল । সেই ডার্বির আর একমাস বাকি। এখন থেকেই ভাল খেলার মানসিক প্রস্তুতি শুরু এসসি ইস্টবেঙ্গলে।