তুরিন, 8 অগাস্ট : তিনি কী আদৌ রক্ত মাংসের মানুষ ? না কী অলিম্পিক লিয়ঁ কোচের কথা মতো ভিন গ্রহের একজন ? এই প্রশ্নগুলো কাকে নিয়ে উঠছে তা আর বলার আপেক্ষা রাখে না । তিনি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের 'সম্রাট' ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ।
আর প্রশ্ন উঠবে নাই বা কেন ? না হলে কী করে এই ৩৫ বছর বয়সেও এমন ফিটনেস থাকে তাঁর, উপহার দিতে পারেন এমন নজরকাড়া ফুটবল । শুক্রবার তো তাঁর কাছেই হেরেছে লিয়ঁ । আরেকটু হলে তো একা রোনাল্ডোর জাদুতেই শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিত রুডি গার্সিয়ার ছেলেরা । সেটা হয়নি, গত মরশুমে অ্যাতলেতিকোর বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে জুভেন্তাসকে কোয়ার্টার ফাইনালে তোলার মতো অলৌকিক পারফরম্যান্স এবার আর উপহার দিতে পারেননি পর্তুগাল অধিনায়ক।
কিন্তু এই ৩৫ বছর বয়সেও প্রায় প্রতি ম্যাচে সম্মোহনী ফুটবল উপহার দিয়ে চলেছেন তিনি । মাঠে নামলেই যেন রেকর্ড অপেক্ষা করে থাকে , কখন তাঁর ছোঁয়া পাবে বলে । শুক্রবার লিয়ঁর বিরুদ্ধে জুভেন্তাসের হয়ে করেছেন আরেকটি রেকর্ড । তুরিনের বুড়িদের ১২২ বছরের ইতিহাসে এক মরশুমে সর্বোচ্চ গোল করা খেলোয়াড় এখন তিনিই । লিয়ঁর বিপক্ষে দুই গোল নিয়ে 2019-20 মরশুমে জুভেন্তাসের জার্সি গায়ে ৩৭ গোল করেছেন রোনাল্ডো ।
চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল করার ক্ষেত্রে তাবড় তাবড় কিংবদন্তীকে অনেক দিন আগেই পিছনে ফেলেছেন রোনাল্ডো । ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় শুক্রবারের জোড়া গোল নিয়ে তাঁর গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩০। চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্ব এলে যেন গোলের ক্ষিদে আরও বেড়ে যায় রোনাল্ডোর । ১৩০ গোলের ৬৭টিই তিনি করেছেন নকআউটে।
নকআউট ম্যাচ যদি আবার ঘরের মাঠে হয় তাহলে রোনাল্ডো আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠেন । চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটে ঘরের মাঠে শেষ ১৩ ম্যাচে ২০ গোল করেছেন তিনি । চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটে ৪৬ গোল নিয়ে এই তালিকায় রোনাল্ডোর পরে আছেন বার্সেলোনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি।