কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর : হারানোর কিছু নেই । বরং সামনে রয়েছে সবকিছু পাওয়ার সুযোগ ৷ আর তা হাতছাড়া করতে রাজি নয় পিয়ারলেস ৷ তাই আজ অলআউট খেলার প্রতিজ্ঞা করেই মাঠে নামছেন জহর দাসের ছেলেরা ৷
বারাসত স্টেডিয়ামে পিয়ারলেসের প্রতিপক্ষ জর্জ টেলিগ্রাফ। তথাকথিত দুই ছোট দলের লড়াই । আর পুরো ময়দানের চোখ থাকবে সেদিকে ৷ কারণ, সেই ম্যাচের উপরই নির্ভর কোন দল চ্যাম্পিয়ন হবে ৷ আর পিয়ারলেসের সামনে রয়েছে ইতিহাস স্পর্শ করার সুযোগ ৷ 61 বছর আগে শেষবার তথাকথিত ছোটো দল হিসেবে কলকাতা লিগ জিতেছিল ইস্টার্ন রেল ৷ প্রদীপ ব্যানার্জি, তাপস সোমদের নিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন পি কে ব্যানার্জি ৷ আর সেই ইস্টার্ন রেলের চাণক্য বলছেন, "জীবদ্দশায় এরকম ঘটনার প্রেক্ষাপট তৈরি হবে তা কোনওদিন ভাবিনি । লড়াইটা কঠিন । সফল হলে ভালো লাগবে ৷"
পি কে ব্যানার্জির শুভেচ্ছা পিয়ারলেস শিবিরে পৌঁছাবে কি না তা জানা নেই । তবে কলকাতা লিগ খেতাবকেই পাখির চোখ করছেন জহর ৷ তাঁর মতে, চাপ পিয়ারলেসের নয়, বরং ইস্টবেঙ্গলের ৷ তাই দলের ছেলেদের জয় ছিনিয়ে আনতে বলেছেন । পূর্ণশক্তির দল নিয়েই নামছেন তাঁরা । মাত্র একদিনের ব্যবধানে কৃত্রিম ঘাসের মাঠে খেলার ধকল সামলাতে হবে ক্রোমা, কালু, জিতেনদের । লিগের শেষ ধাপে দাঁড়িয়ে তা নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামাতে চাইছে না পিয়ারলেস শিবির ৷ তাঁদের একটাই লক্ষ্য - জয় ৷
যদিও ম্যাচটা এতটা সহজ হবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের ৷ চলতি লিগে যথেষ্ট ভালো খেলেছে জর্জ টেলিগ্রাফ ৷ চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি তাঁরাও । রঞ্জন ভট্টাচার্যের ছেলেদের সামনে রয়েছে প্রথম তিনে শেষ করার সুযোগ । সেকথা মাথায় রেখে রঞ্জন বলছেন, "আমরা এক গোল হজম করলে দু'গোল দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামব ৷" যদিও ইচে না থাকার ফলে কিছুটা হলেও ডিফেন্স নিয়ে চিন্তায় থাকছেন রঞ্জন ৷ সেই চিন্তা সরিয়ে অকুতোভয় জর্জ কোচ বলছেন, তিন বিদেশিকেই গোল করার জন্যে ঝাঁপাতে বলবেন ।
জহর অবশ্য বলছেন, বিপরীতে মেসির বার্সেলোনা থাকলেও তাঁরা জয় ছিনিয়ে আনতে তৈরি । তবে ম্যাচে গড়াপেটা হতে পারে বলে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পিয়ারলেস শিবিরে । যদিও সেটা নিয়ে ভেবে নিজেদের ফোকাস টলাতে চাইছেন না পিয়ারলেস কোচ ৷ বলছেন, "যা আমাদের হাতে নেই, তা নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই ।"