কলকাতা, 30 জুলাই : সুব্রত ভট্টাচার্যের সঙ্গে গল্পে মশগুল সুভাষ ভৌমিক । পাশে হাসি মুখে মজা করে চলেছেন গৌতম সরকার । রত্ন সম্মান নিতে ঢুকে সমসাময়িকদের আড্ডায় অল্প সময়ের জন্য যোগ দিলেন প্রসূন ব্যানার্জি ।
মোহনবাগান রত্ন সম্মান নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রসূন ব্যানার্জি বলেন, এই সম্মান তাঁর অন্যান্য সম্মানের তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকবে । মোহনবাগানের হয়ে না খেললে তাঁর মতো সাধারণ সায়েন্স স্নাতক জীবনের এই পর্যায়ে আসতে পারতেন না । সবুজ মেরুন জার্সি পরার অধিকার এক জন্মে পাওয়া সম্ভব নয় । দরকার তিনটি জন্ম । বাংলার ফুটবল নিয়ে তিনি সংসদে লড়ছেন । ISL (ইন্ডিয়ান সুপার লিগ)-এর দুই প্রধানের কাছে আসা প্রয়োজন । অন্যদিকে, অসুস্থতার জন্য মোহনবাগান রত্ন পুরস্কার একদিন আগেই নিয়েছেন অলিম্পিয়ান কেশব দত্ত । তাঁর বাড়িতে গিয়ে এই সম্মান দিয়ে এসেছেন মোহনবাগান ক্লাবের সভাপতি গীতানাথ গাঙ্গুলি ।
এছাড়াও, সেরা ফুটবলারের পুরস্কার পাওয়া অরিজিৎ বাগুইয়ের গলায় আরও ভালো খেলার শপথ । লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট সম্মান পাওয়া অশোক চ্যাটার্জির মুখে তাঁদের সময়ের স্মৃতিচারণা । রাজকুমার পাল পেলেন সেরা ক্রিকেটারের সম্মান । সেরা অ্যাথলেট হলেন তাপস দে । সেরা অনূর্ধ্ব 19 দলকেও সম্মান দেওয়া হল । তবে অনুষ্ঠানে দেখা গেল না মোহনবাগানের বর্তমান ফুটবলারদের ।
129 তম মোহনবাগান অনুষ্ঠান ঘিরে তখন চাঁদের হাট । অশক্ত শরীরে আড্ডায় যোগ দিয়েছেন চুনী গোস্বামী । প্রাণবন্ত সদাহাস্য মুখে চুনীদাকে হুইল চেয়ার দেখে সকলেই কুশল বিনিময় করলেন । মঞ্চে বর্তমান রাজ্যের মন্ত্রীদের উজ্বল উপস্থিতি মোহনবাগান দিবসের অনুষ্ঠানে বাড়তি মাত্রা যোগ করছিল । সুব্রত মুখার্জি, অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রসহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে মোহনবাগান প্রীতির গল্প শোনা যায় ।