ETV Bharat / sports

ক্রোমার জোড়া গোল, মোহনবাগানকে হারাল পিয়ারলেস

author img

By

Published : Aug 5, 2019, 10:29 PM IST

নিজের পুরোনো ক্লাবের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করলেন আনসুয়ামা ক্রোমা ৷ আর এক গোল করিয়ে পিয়ালেসকে জেতালেন 3-0 গোলে ৷

মোহনবাগান

কলকাতা, 5 অগাস্ট : কলকাতা লিগে হার দিয়ে শুরু করল মোহনবাগান । লিগের প্রথম ম্যাচেই মোহনবাগান 0-3 গোলে হারল পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে ৷ কিবু ভিকুনার স্বপ্নের দৌড় শুরুতেই থামিয়ে দিলেন আনসুয়ামা ক্রোমা । কলকাতা লিগের ইতিহাসে তিন বড় দল পরাজয় দিয়ে খেতাবি দৌড় শুরু করছে তা অনেক উদাহরণ আছে । কিন্তু তিন গোলে লজ্জার হারার উদাহরণ বিরল ।

ক্রোমার জোড়া গোলের সঙ্গে সুপার সাব লক্ষ্মী মান্ডির সৌজন্যে তিন গোলে মোহনবাগানকে হারিয়ে দিল মোহনবাগান ৷ আজ গঙ্গা পাড়ের ক্লাবের মাঠে প্রিয় দলের জয় দেখতে ভিড় জমিয়েছিল বাগান সমর্থকরা । ডুরান্ড কাপে মহামেডানের বিরুদ্ধে দুই গোলে জয় তাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিল । কিন্তু ডুরান্ড ও কলকাতা লিগের ব্যস্ত সূচির ভারসাম্য রাখতে দল গঠনে রোটেশন পদ্ধতি প্রয়োগ করেছিলেন কিবু ভিকুনা । আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে প্রথম একাদশে চারটে বদল ।

এই বদল বাগানের ভিত নড়বড়ে করে দিয়েছিল । আজ মোহনবাগানের খেলা দানা বাঁধেনি । দুই মিনিটে বেইটা-সালভো চামারো-ফ্রান গঞ্জালেসের ত্রিফলা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখে আশায় বুক বেঁধেছিল সবুজ মেরুন জনতা । আশা ছিল গোল সময়ের অপেক্ষা । কিন্তু সময় যত এগিয়েছে ততই পিয়ারলেসের পাতা ফাঁদে মোহনবাগান পথ হারিয়েছে । প্রতিপক্ষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ম্যাচে জাঁকিয়ে বসেছেন ক্রোমা । সতীর্থ অ্যান্টনি উলফের সঙ্গে জুটি বেঁধে মোহনবাগান রক্ষণকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন ক্রোমা ।

ক্রোমা-উলফ জুটির কোনও উত্তর গুরজিন্দার, সুখদেব ফ্রান গঞ্জালেসের সামনে ছিল না । 21 মিনিটে পঙ্কজ মৌলার সঙ্গে পাস খেলে গোল করেন ক্রোমা । সেসময় গুরজিন্দর কী করছিলেন তা বড় প্রশ্ন । পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফেরার চেষ্টা করে মোহনবাগান । কিন্তু ফ্রান গঞ্জালেস ও সালভো চামারোর শট আটকে যায় পোস্টে । বিপক্ষের বক্সে বার বার ব্যর্থ হওয়ায় ছন্দ হারায় মোহনবাগান । এদিকে প্রচণ্ড গরম এবং আর্দ্রতায় মোহনবাগানের স্প্যানিশ ফুটবলাররা দাঁড়িয়ে পড়ছিলেন ।

কলকাতা ময়দানে পোড় খাওয়া ক্রোমা আন্টনি উলফরা পাল্টা আক্রমণে মোহনবাগানকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন । পিয়ারলেসে সাতজন সবুজ মেরুন প্রাক্তনী রয়েছেন । তাঁরা পুরানো দলের উপেক্ষার জবাব দিতে আজকের ম্যাচকেই বেছে নিয়েছিলেন । বিরতির পরেও তাঁরা রাশ আলগা করেননি ৷

ম্যাচের সাতাত্তর মিনিটে অ্যান্টনি উলফের বুক দিয়ে বল নামিয়ে দেন ক্রোমাকে ৷ ক্রোমা বল ঠেলে দেন পিছনে থাকা লক্ষ্মী মান্ডিকে ৷ সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি পিয়ারলেসের সুপার সাব ৷ পিয়ারলেসের দ্বিতীয় গোল যদি ম্যাচের সেরা আক্রমণের ফসল হয় তাহলে ক্রোমার দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি ফানিয়েস্ট গোল অব দা কলকাতা লিগ । বক্সের বাইরে শিলটন পাল ও ক্রোমার সংঘর্ষে ছিটকে যাওয়া বল ব্যাক স্পিন করে ক্রোমার কাছে চলে যায় । বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি ক্রোমা ।

তিন গোলের ধাক্কায় মোহনবাগান এতটাই বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল যে শেষ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি চামারো । ডুরান্ডে ভালো খেলার পর লিগের ম্যাচে তাঁর দল হতশ্রী ফুটবল খেলেছে বলে জানিয়েছেন কিবু ভিকুনা । প্রথমার্ধেই সবজ-মেরুন শিবির ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিল বলে মনে করেন বাগান কোচ । একই সঙ্গে তিরিশ পয়েন্টেই কলকাতা লিগ ধরে রাখা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কিবু ভিকুনা ৷

কলকাতা, 5 অগাস্ট : কলকাতা লিগে হার দিয়ে শুরু করল মোহনবাগান । লিগের প্রথম ম্যাচেই মোহনবাগান 0-3 গোলে হারল পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে ৷ কিবু ভিকুনার স্বপ্নের দৌড় শুরুতেই থামিয়ে দিলেন আনসুয়ামা ক্রোমা । কলকাতা লিগের ইতিহাসে তিন বড় দল পরাজয় দিয়ে খেতাবি দৌড় শুরু করছে তা অনেক উদাহরণ আছে । কিন্তু তিন গোলে লজ্জার হারার উদাহরণ বিরল ।

ক্রোমার জোড়া গোলের সঙ্গে সুপার সাব লক্ষ্মী মান্ডির সৌজন্যে তিন গোলে মোহনবাগানকে হারিয়ে দিল মোহনবাগান ৷ আজ গঙ্গা পাড়ের ক্লাবের মাঠে প্রিয় দলের জয় দেখতে ভিড় জমিয়েছিল বাগান সমর্থকরা । ডুরান্ড কাপে মহামেডানের বিরুদ্ধে দুই গোলে জয় তাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিল । কিন্তু ডুরান্ড ও কলকাতা লিগের ব্যস্ত সূচির ভারসাম্য রাখতে দল গঠনে রোটেশন পদ্ধতি প্রয়োগ করেছিলেন কিবু ভিকুনা । আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে প্রথম একাদশে চারটে বদল ।

এই বদল বাগানের ভিত নড়বড়ে করে দিয়েছিল । আজ মোহনবাগানের খেলা দানা বাঁধেনি । দুই মিনিটে বেইটা-সালভো চামারো-ফ্রান গঞ্জালেসের ত্রিফলা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখে আশায় বুক বেঁধেছিল সবুজ মেরুন জনতা । আশা ছিল গোল সময়ের অপেক্ষা । কিন্তু সময় যত এগিয়েছে ততই পিয়ারলেসের পাতা ফাঁদে মোহনবাগান পথ হারিয়েছে । প্রতিপক্ষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ম্যাচে জাঁকিয়ে বসেছেন ক্রোমা । সতীর্থ অ্যান্টনি উলফের সঙ্গে জুটি বেঁধে মোহনবাগান রক্ষণকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন ক্রোমা ।

ক্রোমা-উলফ জুটির কোনও উত্তর গুরজিন্দার, সুখদেব ফ্রান গঞ্জালেসের সামনে ছিল না । 21 মিনিটে পঙ্কজ মৌলার সঙ্গে পাস খেলে গোল করেন ক্রোমা । সেসময় গুরজিন্দর কী করছিলেন তা বড় প্রশ্ন । পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফেরার চেষ্টা করে মোহনবাগান । কিন্তু ফ্রান গঞ্জালেস ও সালভো চামারোর শট আটকে যায় পোস্টে । বিপক্ষের বক্সে বার বার ব্যর্থ হওয়ায় ছন্দ হারায় মোহনবাগান । এদিকে প্রচণ্ড গরম এবং আর্দ্রতায় মোহনবাগানের স্প্যানিশ ফুটবলাররা দাঁড়িয়ে পড়ছিলেন ।

কলকাতা ময়দানে পোড় খাওয়া ক্রোমা আন্টনি উলফরা পাল্টা আক্রমণে মোহনবাগানকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন । পিয়ারলেসে সাতজন সবুজ মেরুন প্রাক্তনী রয়েছেন । তাঁরা পুরানো দলের উপেক্ষার জবাব দিতে আজকের ম্যাচকেই বেছে নিয়েছিলেন । বিরতির পরেও তাঁরা রাশ আলগা করেননি ৷

ম্যাচের সাতাত্তর মিনিটে অ্যান্টনি উলফের বুক দিয়ে বল নামিয়ে দেন ক্রোমাকে ৷ ক্রোমা বল ঠেলে দেন পিছনে থাকা লক্ষ্মী মান্ডিকে ৷ সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি পিয়ারলেসের সুপার সাব ৷ পিয়ারলেসের দ্বিতীয় গোল যদি ম্যাচের সেরা আক্রমণের ফসল হয় তাহলে ক্রোমার দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি ফানিয়েস্ট গোল অব দা কলকাতা লিগ । বক্সের বাইরে শিলটন পাল ও ক্রোমার সংঘর্ষে ছিটকে যাওয়া বল ব্যাক স্পিন করে ক্রোমার কাছে চলে যায় । বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি ক্রোমা ।

তিন গোলের ধাক্কায় মোহনবাগান এতটাই বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল যে শেষ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি চামারো । ডুরান্ডে ভালো খেলার পর লিগের ম্যাচে তাঁর দল হতশ্রী ফুটবল খেলেছে বলে জানিয়েছেন কিবু ভিকুনা । প্রথমার্ধেই সবজ-মেরুন শিবির ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিল বলে মনে করেন বাগান কোচ । একই সঙ্গে তিরিশ পয়েন্টেই কলকাতা লিগ ধরে রাখা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কিবু ভিকুনা ৷

Intro:একা ক্রোমায় রক্ষে নেই লক্ষী মান্ডি দোসর। কলকাতা লিগ হার দিয়ে শুরু করল মোহনবাগান। কিবু ভিকুনার স্বপ্নের প্রারম্ভে দুঃস্বপ্ন বয়ে আনলেন আনসুয়ামা ক্রোমা। কলকাতা লিগের ইতিহাসে তিন বড় দল পরাজয় দিয়ে খেতাবি দৌড় শুরু করছে তা অনেক উদাহরন আছে। কিন্তু তিন গোলে লজ্জার হার হারছে সেই উদাহরণ বিরল। ক্রোমার জোড়া গোলের সঙ্গে সুপার সাব লক্ষী মান্ডি র সৌজন্যে পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে তিন গোলে হার সবুজ মেরুনের। ব্যবধান আরও বাড়তে পারত যদি দুটো স সোমবারের গঙ্গা পাড়ের ক্লাবের মাঠে প্রিয় দলের জয় দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন মোহনবাগান জনতা। ডুরান্ড কাপে মহমেডানের বিরুদ্ধে দুই গোলে জয় তাদের স্বপ্ন দেখিয়ে ছিল। কিন্তু ডুরান্ড ও কলকাতা লিগের ব্যস্ত সূচির ভারসাম্য রাখতে দল গঠনে রোটেশন পদ্ধতি প্রয়োগ করেছিলেন কিবু ভিকুনা। ফলে আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে একাদশে চারবদল। যা নির্ভরতার বদলে দলকে নড়বড়ে করে দিয়েছিল। ফলে মোহনবাগানের খেলা দানা বাধেনি। দুই মিনিটে বেইটা সালভো চামারো ফ্রান গঞ্জালেস এর ত্রিফলায় তৈরি হওয়া সুযোগ দেখে আশায় বুক বেধে ছিল সবুজ মেরুন জনতা। আশা ছিল গোল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে ততই পিয়ারলেসের পাতা ফাদে মোহনবাগান পথ হারিয়েছে। দিগভ্রন্ট প্রতিপক্ষের সুযোগ নিয়ে ম্যাচে জাকিয়ে বসেছেন ক্রোমা। সতীর্থ আন্টেনিও উলফের সঙ্গে জুটি বেধে মোহনবাগান রক্ষনকে নিয়ে ছেলে খেলা করেছেন ক্রোমা। যার কোনও উত্তর গুরজিন্দার, সুখদেব ফ্রান গঞ্জালেস এর সামনে ছিল না। 21মিনিটে পঙ্কজ মৌলার সঙ্গে পাস খেলে গোল করেন ক্রোমা। সেসময় গুরজিন্দার কি করছিলেন তা বড় প্রশ্ন। পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফেরার চেষ্টা করে মোহনবাগান। কিন্তু ফ্রান গঞ্জালেস ও সালভো চামারো র প্রচেষ্টার সামনে বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল পোস্ট। গোলমুখে বারবার ব্যর্থতায় মোহনবাগান ছন্দ হারাতে থাকে। তারওপর প্রচন্ড গরম এবং আদ্রতায় মোহনবাগানের স্প্যানিশ ফুটবলার রা দাড়িয়ে পড়ছিলেন। বিদেশিদের হতোদ্যম অবস্থায় মোহনবাগান আরও খেলা থেকে হারিয়ে যেতে থাকে। কলকাতা ময়দানে পোড় খাওয়া ক্রোমা আন্টনি উলফরা পাল্টা আক্রমনে মোহনবাগানকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন।
জহর দাসের কোচিং এ পিয়ারলেস দলটিতে সাতজন সবুজ মেরুন প্রাক্তনী। তারা তাদের পুরানো দলের উপেক্ষা র জবাব দিতে সোমবারের ম্যাচ কে বেছে নিয়েছিলেন। বিরতির পরে যা তারা আলগা করেননি। সাতাত্তর মিনিটে আন্টনি উলফের বুক দিয়ে নামিয়ে দেওয়া বল ক্রোমা পিছন থেকে উঠে আসা সুপার সাব লক্ষী মান্ডিকে বাড়ালে গোল করতে তিনি ভুল করেন নি। পিয়ারলেসের দ্বিতীয় গোল যদি সেরা আক্রমনের ফসল হয় তাহলে ক্রোমার দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি ফানিয়েস্ট গোল অব দ্য কলকাতা লিগ।বক্সের বাইরে শিলটন পাল ও ক্রোমার সংঘর্ষে ছিটকে যাওয়া বল ব্যাক স্পিন করে ক্রোমার কাছে চলে যায়। যা থেকে গোল করতে ভুল করেননি ক্রোমা। তিন গোলের ধাক্কায় মোহনবাগান এতটাই বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল যে শেষ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেন নি চামারো।
ডুরান্ডে ভালো খেলার পর তারা লিগের ম্যাচে দল হতশ্রী ফুটবল খেলেছে বলে জানিয়েছেন কিবু ভিকুনা। প্রথমার্ধে দল ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিল বলে মনে করেন। ফিটনেস সমস্যার উন্নতি র জন্যে সময় দরকার বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিরিশ পয়েন্টে কলকাতা লিগ খেতাব ধরে রাখা সম্ভব বলে আগাম মন্তব্য মোহনবাগান কোচের।


Body:ম


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.