ETV Bharat / sports

মোহনবাগান বাঁচলে ইস্টবেঙ্গল বাঁচবে, ইস্টবেঙ্গল বাঁচলে মোহনবাগান বাঁচবে : দেবাশিস

ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে গেছিলেন মোহনবাগানের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত ৷ সেখানে তিনি বলেন, "দুটো ক্লাব পরস্পরের পরিপূরক ।"

ইস্টবেঙ্গল
author img

By

Published : Aug 2, 2019, 7:57 AM IST

Updated : Aug 2, 2019, 11:07 AM IST

কলকাতা, 2 অগাস্ট : সগৌরবে একশো বছর পার করল ইস্টবেঙ্গল ৷ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের বয়সও 130 ছুঁই ছুঁই ৷ দু'দলের সমর্থকদের আবেগ, তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই বাংলার ফুটবলকে পথ দেখিয়েছে মোহন-ইস্ট ৷ গতকাল ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে একথা বললেন মোহনবাগানের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত ৷ বললেন, "মোহনবাগান বাঁচলে ইস্টবেঙ্গল বাঁচবে, ইস্টবেঙ্গল বাঁচলে মোহনবাগান বাঁচবে ৷"

গতকাল সকাল থেকে শতবর্ষ পালনে মেতে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল । প্রথমে প্রতিষ্ঠাতা সুরেশ চৌধুরির বাড়িতে ফলক উন্মোচিত হয় ৷ এরপর প্রাক্তন তারকাদের উপস্থিতিতে সচিব কল্যাণ মজুমদার ক্লাবে পতাকা উত্তোলন করেন ৷ বিকেলে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শতবর্ষের অনুষ্ঠান হল ৷ কপিল দেবকে ভারত গৌরব সম্মান দেওয়া হল ৷ জীবনকৃতি সম্মান পেলেন মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য ও ভাস্কর গাঙ্গুলি । তাঁরাও সম্মানিত হলেন দায়সারাভাবে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঝটিকা সফরে লাল-হলুদ মঞ্চে ঘুরে গেলেন । ক্রীড়ামন্ত্রীকে নির্দেশ দিলেন, শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গলকে সংবর্ধিত করতে । ক্রীড়ামন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস বলেন, "বাংলার ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার ইস্টবেঙ্গলের । জেদ স্পর্ধা স্বপ্নের নাম ইস্টবেঙ্গল ।" মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম । তাঁকেও বরণ করা হয় । এরই মধ্যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের সঙ্গে সৌভ্রাতৃত্বের ছবি ফুটে উঠল ৷

প্রধান অতিথি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে বরণ করা হয় । মাঠে খেলা দেখতে আসা ও বন্ধু প্রদীপ ব্যানার্জির কাছ থেকে ময়দানের গল্প শোনার স্মৃতি আওড়ালেন কিংবদন্তি অভিনেতা । একইভাবে সমর্থকদের ভালোবাসা যে একটি প্রতিষ্ঠানকে কতদূর টেনে নিয়ে যেতে পারে তা ভেবে বিস্মিত তিনি ।
সেরা কোচ প্রদীপ ব্যানার্জির সাহচর্যের স্মৃতিতে ভাসলেন সুভাষ ভৌমিক, সুরজিৎ সেনগুপ্তরা । অনুষ্ঠানে মহম্মদ হাবিব উপস্থিত থাকলেও কোনও কথা বলেননি ।অন্যদিকে,লাল-হলুদ পৃথিবীতে নিজের দ্বিতীয় ঘর খুঁজে পাওয়ার গল্প বাইচুং ভুটিয়ার গলায় । নিজেকে ইস্টবেঙ্গলের সন্তান বললেন । সংবর্ধিত সুনীল ছেত্রীর কথায় উঠে এলে লাল-হলুদ জার্সি পরে খেলার স্মৃতি ।

অনুষ্ঠানে মোহনবাগানের তরফে হাজির ছিলেন দেবাশিস দত্ত ৷ পুস্পস্তবক দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষে শুভেচ্ছা জানান । তিনি মঞ্চের ওঠার সময় অবশ্য জয় ইস্টবেঙ্গল ধ্বনি উঠেছিল ৷ মিলনের দিনে তা শুনলেন দেবাশিস ৷ ইস্ট-মোহনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাই যে ভারতীয় ফুটবলকে সমৃদ্ধ করেছে তা জানান ৷ হাজার বিভেদ, প্রতিদ্বন্দ্বিতা সত্ত্বেও দুই দলই একে অপরের কাছে বাঁচার ঠিকানা ৷ তিনি বলেন, "দুটো ক্লাব পরস্পরের পরিপূরক ।" আর মাঝে একবার বলে দিলেন, "জয় মোহনবাগান ।" তখন নেতাজি ইন্ডোর চুপ । পরে অবশ্য ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা করতালি দিতে দিতে স্লোগান তুললেন, "জয় ইস্টবেঙ্গল ।"

কলকাতা, 2 অগাস্ট : সগৌরবে একশো বছর পার করল ইস্টবেঙ্গল ৷ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের বয়সও 130 ছুঁই ছুঁই ৷ দু'দলের সমর্থকদের আবেগ, তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই বাংলার ফুটবলকে পথ দেখিয়েছে মোহন-ইস্ট ৷ গতকাল ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে একথা বললেন মোহনবাগানের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত ৷ বললেন, "মোহনবাগান বাঁচলে ইস্টবেঙ্গল বাঁচবে, ইস্টবেঙ্গল বাঁচলে মোহনবাগান বাঁচবে ৷"

গতকাল সকাল থেকে শতবর্ষ পালনে মেতে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল । প্রথমে প্রতিষ্ঠাতা সুরেশ চৌধুরির বাড়িতে ফলক উন্মোচিত হয় ৷ এরপর প্রাক্তন তারকাদের উপস্থিতিতে সচিব কল্যাণ মজুমদার ক্লাবে পতাকা উত্তোলন করেন ৷ বিকেলে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শতবর্ষের অনুষ্ঠান হল ৷ কপিল দেবকে ভারত গৌরব সম্মান দেওয়া হল ৷ জীবনকৃতি সম্মান পেলেন মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য ও ভাস্কর গাঙ্গুলি । তাঁরাও সম্মানিত হলেন দায়সারাভাবে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঝটিকা সফরে লাল-হলুদ মঞ্চে ঘুরে গেলেন । ক্রীড়ামন্ত্রীকে নির্দেশ দিলেন, শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গলকে সংবর্ধিত করতে । ক্রীড়ামন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস বলেন, "বাংলার ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার ইস্টবেঙ্গলের । জেদ স্পর্ধা স্বপ্নের নাম ইস্টবেঙ্গল ।" মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম । তাঁকেও বরণ করা হয় । এরই মধ্যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের সঙ্গে সৌভ্রাতৃত্বের ছবি ফুটে উঠল ৷

প্রধান অতিথি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে বরণ করা হয় । মাঠে খেলা দেখতে আসা ও বন্ধু প্রদীপ ব্যানার্জির কাছ থেকে ময়দানের গল্প শোনার স্মৃতি আওড়ালেন কিংবদন্তি অভিনেতা । একইভাবে সমর্থকদের ভালোবাসা যে একটি প্রতিষ্ঠানকে কতদূর টেনে নিয়ে যেতে পারে তা ভেবে বিস্মিত তিনি ।
সেরা কোচ প্রদীপ ব্যানার্জির সাহচর্যের স্মৃতিতে ভাসলেন সুভাষ ভৌমিক, সুরজিৎ সেনগুপ্তরা । অনুষ্ঠানে মহম্মদ হাবিব উপস্থিত থাকলেও কোনও কথা বলেননি ।অন্যদিকে,লাল-হলুদ পৃথিবীতে নিজের দ্বিতীয় ঘর খুঁজে পাওয়ার গল্প বাইচুং ভুটিয়ার গলায় । নিজেকে ইস্টবেঙ্গলের সন্তান বললেন । সংবর্ধিত সুনীল ছেত্রীর কথায় উঠে এলে লাল-হলুদ জার্সি পরে খেলার স্মৃতি ।

অনুষ্ঠানে মোহনবাগানের তরফে হাজির ছিলেন দেবাশিস দত্ত ৷ পুস্পস্তবক দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষে শুভেচ্ছা জানান । তিনি মঞ্চের ওঠার সময় অবশ্য জয় ইস্টবেঙ্গল ধ্বনি উঠেছিল ৷ মিলনের দিনে তা শুনলেন দেবাশিস ৷ ইস্ট-মোহনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাই যে ভারতীয় ফুটবলকে সমৃদ্ধ করেছে তা জানান ৷ হাজার বিভেদ, প্রতিদ্বন্দ্বিতা সত্ত্বেও দুই দলই একে অপরের কাছে বাঁচার ঠিকানা ৷ তিনি বলেন, "দুটো ক্লাব পরস্পরের পরিপূরক ।" আর মাঝে একবার বলে দিলেন, "জয় মোহনবাগান ।" তখন নেতাজি ইন্ডোর চুপ । পরে অবশ্য ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা করতালি দিতে দিতে স্লোগান তুললেন, "জয় ইস্টবেঙ্গল ।"

Intro:আবেগ উৎসাহে কম পরেনি, আয়োজনে ত্রুটি ছিল না তা সত্ত্বেও শতবর্ষ অনুষ্ঠান ঘিরে স্পর্ধার মশাল জ্বলে উঠল না। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শতবর্ষ পালনে মেতে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রতিষ্ঠাতা সুরেশ চৌধুরীর বাড়িতে ফলক উন্মোচন ক্লাবে প্রাক্তন তারকাদের উপস্থিতিতে সচিব কল্যান মজুমদারের ক্লাব পতাকা উত্তোলন দেখে মনে হয়েছিল বিকেলে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে শতবর্ষের অনুষ্ঠান দ্যুতি ছড়াবে। ভারত গৌরব সম্মান নিতে আসা কপিল দেবকে ঘিরে উৎসাহ যখন সবে চড়তে শুরু করেছে তখনই অতিরিক্ত বাগাড়ম্বর পুরো অনুষ্ঠানের তাল কাটল।
শতবর্ষ অনুষ্ঠানের সন্মান প্রাপকের সংখ্যা বিরাট। কিন্তু তাদের সংগঠিত ভাবে সম্মান জানানোর পদ্ধতির ভুলে তাল কাটল। কপিলদেবের হাতে কখন ভারত গৌরব সম্মান তুলে দেওয়া হল তা কার্যত বোঝা গেল না। সাধারণত ভারত গৌরব সম্মান আলাদা ভাবে প্রাপকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এবার তা হয়নি। সৌরভ গাঙ্গুলীর সম্মানঞ্জাপনও দায়সারা ভাবে। প্রধান অতিথি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে বরন করা হল। কিংবদন্তি অভিনেতা মাঠে খেলা দেখতে আসা ও বন্ধু ফুটবল ব্যক্তিত্ব প্রদীপ ব্যানার্জি র কাছ থেকে ময়দানের গল্প শোনার স্মৃতি আওড়ালেন। একই ভাবে একটা ক্লাবে র সমর্থক দের ভালোবাসা যে কতদূর প্রতিষ্ঠান কে টেনে নিয়ে যেতে পারে তা ভেবে তিনি বিস্মিত।
সেরা কোচ প্রদীপ ব্যানার্জি র সাহচর্যের স্মৃতিতে ভাসলেন সুভাষ ভৌমিক, সুরজিৎ সেনগুপ্ত রা। অনুষ্ঠানে মহম্মদ হাবিব উপস্থিত থাকলেও কোন কথা বলেন নি।তবে কার্যত দায়সারা ভাবে প্রদীপ ব্যানার্জি কে সম্মানিত করা হল।
লাল হলুদ পৃথিবীতে নিজের দ্বিতীয় ঘর খুজে পাওয়ার গল্প বাইচুং এর গলায়। নিজেকে ইস্টবেঙ্গলের সন্তান বলে দাবি করলেন। সংবর্ধিত সুনীল ছেত্রীর কথায় লাল হলুদ জার্সি পড়ে খেলার স্মৃতি চারন। তার বর্তমান দলের কাছে গ্যালারি ভরা লাল হলুদ জনতা আতঙ্কের তা স্বীকার করেছেন।
জীবনকৃতি সম্মান পেলেন মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য ও ভাস্কর গাঙ্গুলী। তারাও সম্মানিত হলেন দায়সারা ভাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঝটিকা সফরে লাল হলুদ মঞ্চে ঘুরে গেলেন। ক্রীড়ামন্ত্রী কে নির্দেশ দিলেন শতবর্ষ এর ইস্টবেঙ্গলকে সংবর্ধিত করতে। ক্রীড়ামন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস বলেছেন বাংলার ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার ইস্টবেঙ্গলের। জেদ স্পর্ধা স্বপ্নের নাম ইস্টবেঙ্গল। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মহা নাগরিক ববি হাকিম।তাকেও বরন করা হয়। মোহনবাগানের শীর্ষকর্তা দেবাশিস দত্ত পুস্পস্তবক দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষে শুভেচ্ছা জানান। বলেন দুটো ক্লাব পরস্পরের পরিপূরক।
অনুষ্ঠানে বর্তমান দলের ফুটবলার রা থাকলেও তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। অনুপস্থিত বর্ষসেরা ফুটবলার ডানমাওয়াইয়া রালতে। বারবার অনুরোধে আনা যায়নি তুলসী দাস বলরাম ও সুধীর কর্মকারকে। বাইচুং বলছেন বিরোধিতা প্রতি কুলতা ছাপিয়ে একজোট হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু একশোর মঞ্চে অগোছালো চাদরে র হাট দেখতে সদস্য সমর্থকদের বাধভাঙ্গা উপস্থিতি দেখা যায়নি। যারা এসেছিলেন তারাও বিরক্তিকর অনুষ্ঠানে বিব্রত হয়ে স্টেডিয়াম ছেড়েছেন।
28জুলাই এর মশাল মিছিলে যে স্বতস্ফুর্ততা চোখে পড়েছিল তা পয়লা অগস্ট এ দেখা যায়নি।


Body:ইস্টবেঙ্গলে


Conclusion:
Last Updated : Aug 2, 2019, 11:07 AM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.