কলকাতা, 1 অক্টোবর : বাংলা বনাম গোয়া। ডুরান্ড কাপ ফাইনালে মহমেডান স্পোর্টিং ও এফসি গোয়ার দ্বৈরথকে এভাবেই ব্যাখ্যা করছেন ফুটবল ভক্তরা। এই দুই রাজ্যের ফুটবলযুদ্ধ চিরকালীন। সেদিক থেকে রবিবাসরীয় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে দুই দলের লড়াই ঘিরে ময়দানের পারদ চড়তে শুরু করেছে। হাজার চল্লিশ দর্শকের মাঠে প্রবেশের অনুমতি মিলেছে। রেড রোডের পাশে ক্লাব চত্বরে টিকিটের জন্য হাহাকার ৷ সমর্থকদের গ্যালারিতে প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখতে তৈরি মহমেডান স্পোর্টিং।
শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবে ট্রফির ঢোকার সম্ভাবনা জোরালো হতেই নিজেদের নিংড়ে দেওয়ার শপথ নিলেন সাদা-কালো ফুটবলাররা। দলের ম্যানেজার ও প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস বলেন, "তিন ম্যাচ হারের পরে দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফুটবলারদের ভাল খেলার ক্ষমতা রয়েছে ৷ তা ওরা প্রমাণ করেছে। তিন ম্যাচ হারের পরও হতাশ না-হয়ে তাই পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম ৷" গতবারের চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম কেরালাকে হারানো টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করেন দীপেন্দু। সেমিফাইনালে বেঙ্গালেরু ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে মহমেডানের জয় নিয়ে সন্দেহ ছিল না তাঁর। পাশাপাশি কোচের প্রতি আস্থা রেখেছিলেন। কারণ দলের কঠিন সময়েও আস্থা রাখার কথা বলেছিলেন আন্দ্রেই ৷ পরিসংখ্যান দিয়ে বুঝিয়ে ছিলেন, প্রথম চার ম্যাচে 16 গোল দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর দলের রয়েছে । তাই এই ব্যর্থতা সাময়িক।
আরও পড়ুন : ডুরান্ড ফাইনালের টিকিটের জন্য হাহাকার, ময়দানে ফিরল চেনা ছবি
মার্কাস জোসেফ দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন। তাঁর ভাল খেলা প্রতিপক্ষ দলের চিন্তা বলে মনে করছে সাদা-কালো শিবির ৷ দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার শেখ ফৈয়াজ জানান, ডুরান্ড কাপ এই শহরে রেখে দেওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। খারাপ সময় কাটাতে ফুটবলাররা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছিলেন। এবারও এফসি গোয়ার মতো আইএসএল-এর দলের বিরুদ্ধে নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তাঁরা। এছাড়া মাঠে সমর্থকদের উপস্থিতি ট্রফি জয়ের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করেন ফৈয়াজ।