কলকাতা, 30 সেপ্টেম্বর : ক্লাবের স্বার্থ রক্ষা করে ইনভেস্টরের সঙ্গে গাঁটছড়া মহমেডানে । আগামী সপ্তাহের শুরুতে এই বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সংযুক্তির কথা ঘোষণা করা হবে বলে খবর।
শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবটি দীর্ঘদিন ধরে স্পনসর বা ইনভেস্টরহীন। ক্লাবকর্তারা নিজস্ব অর্থ বিনিয়োগ করে ক্লাবকে সচল রেখেছিলেন। চলতি বছরে ক্লাবের প্রশাসনে পরিবর্তন করা হয়েছে। আভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে ক্লাবের ভার এখন তরুণ প্রজন্মের হাতে।
সচিব ওয়াসিম আক্রম,ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাসরা এখন ক্লাবকে পেশাদারিত্বের পথে নিয়ে আসতে চাইছেন। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় ডিভিশন ফুটবল লিগে সাফল্য পাওয়ার জন্য মহমেডান শক্তিশালী দল গড়েছে। উইলিস প্লাজা, কিংসলের মত বিদেশিকে সই করানো ছাড়াও একঝাঁক প্রতিশ্রুতিমান এবং অভিজ্ঞ ফুটবলার সই করানো হয়েছে । তারা কল্যাণীতে ইয়ান ল এর অধীনে আবাসিক শিবিরে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ।
তীর্থঙ্কর সরকারের কোরোনার কারণে আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশন লিগ থেকে ছিটকে যাওয়া ছাড়া সব কিছুই সাদাকালো শিবিরে মসৃণভাবে চলছে । ফলে একটা ইতিবাচক লক্ষ্য নিয়ে এগোনোর চেষ্টা করছে রেড রোডের পাশের ক্লাবটি । সেই লক্ষ্যকে আরও আধুনিক রূপ দিতে ইনভেস্টরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাধতে চলেছে মহমেডান।
মাঝে এই সংযুক্তি নিয়ে মহমেডানের আদি এবং নতুন কর্তাদের মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়েছিল । ক্লাব প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সদস্য সমর্থকরা । ঠিক ছিল 49% শেয়ার বিনিয়োগকারীকে দেওয়া হবে। তাতে রাজি ছিলেন না সাদাকালো কর্তাদের একাংশ। শোনা যাচ্ছে এখন পঞ্চাশ- পঞ্চাশ ভাগাভাগি থাকবে শেয়ার। ফলে সব কিছু মিটে গিয়ে দুই তরফই সমঝোতায় এসেছেন । ক্লাবের স্বার্থ বিঘ্ন না করে বিনিয়োগকারী স্বাগত বলা হয়েছে । নতুন বিনিয়োগ সংস্থার তিনটে দেশে কম্পানি রয়েছে । আপাতত আই লিগের প্রথম ডিভিশনে জায়গা করে নেওয়া পাখির চোখ।
8 অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশন। আই লিগ প্রথম ডিভিশনে জায়গা পাওয়ার পরে ভবিষ্যতে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের মঞ্চে জায়গা করে নিতে চায় তারা। সাদাকালো কর্তারা বলছেন তারা ধাপে ধাপে এগোতে চান। গত কয়েকদিনের যাবতীয় ভুল বোঝাবুঝি এখন অতীত।