লন্ডন, 20 মে: 30 বছর পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জয়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে লিভারপুল । কিন্তু অ্যানফিল্ডের দর্শকদের সেই উত্তেজনা কেড়ে নিয়েছে মারণ ভাইরাস । এদিকে বিশ্বের অন্যান্য লিগের মতো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগও শুরুর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে । লিগ শুরু হলে খেতাব জিততে মাত্র দুটি ম্যাচে জেতার প্রয়োজন রয়েছে লিভারপুলের । 30 বছর পর ঘরে ট্রফি ঢোকা নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই কোচ ক্লপের । কিন্তু লিভারপুলের এই জয়ের সময় থাকবে না সমর্থকদের উত্তেজনা, আনন্দ, জয় উদযাপন । সেখানেই আক্ষেপ তাঁর ।
কোরোনা পরবর্তী সময়ে খেলার মাঠের পরিবেশ অনেকটাই বদলে যেতে চলেছে । গোলের পর দেখা যাবে না চিরাচরিত সেলিব্রেশন । গ্যালারি থেকে শোনা যাবে না দর্শকদের পরিচিত চিৎকার । লিভারপুল কোচ অবশ্য বিষয়টির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কথাই বলছেন । খুব তাড়াতাড়ি স্থগিত হয়ে থাকা প্রিমিয়র লিগের মরশুম শুরু হতে চলেছে । অলরেডসের হেড স্যার বলছেন, অ্যানফিল্ডের দর্শকদের প্রাণখোলা সমর্থন ছাড়াই তাঁর দল প্রিমিয়ার লিগ খেতাব জিতবে । তাঁর কথায়, "দুর্ভাগ্যবশত আমাদের এটা করতেই হবে । বিশ্বের যা পরিস্থিতি তাতে অ্যানফিল্ডের দর্শকদের উত্তেজনা, সমর্থন, চিৎকার ছাড়াই খেলতে হবে । আমার কাছে ফুটবল মানে হচ্ছে কানায় কানায় পূর্ণ অ্যানফিল্ড স্টেডিয়াম, দুটো ভীষণ ভাল টিম, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, দুর্ধর্ষ সব গোল আর সবশেষে লিভারপুলের জয় । আদর্শ ম্যাচ ডে হল এটাই । সবকিছুই হবে কিন্তু দর্শকপূর্ণ জমজমাট অ্যানফিল্ড আর থাকবে না । তবে এটা যে সম্ভব তা জার্মানি ইতিমধ্যেই তা করে দেখিয়েছে ।"
কোরোনার কারণে লিগ স্থগিত হওয়ার আগে 25 পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থানে ছিল লিভারপুল । 30 বছর পর ট্রফি ঘরে তুলতে মাত্র দুটি ম্যাচ জেতার প্রয়োজন ছিল সাদিও মানে, মহম্মদ সালাহদের । কিন্তু তার আগেই লিগ স্থগিত হয়ে যায় । ইতিমধ্যে বুন্দেশলিগা শুরু হয়েছে । স্পেন ও ইট্যালিতেও ফুটবল ম্যাচ শুরু হয়েছে । আর সোমবার একটি বৈঠকে EPL শুরু করার সবুজ সংকেত মিলেছে । তারপরই সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে, ছোটো ছোটো গ্রুপে ভাগ হয়ে 20টি ক্লাব অনুশীলনের অনুমতি পেয়েছে ।