কলকাতা, 18 এপ্রিল : কলকাতা লিগ শুরু হওয়া নিয়ে নানা মুনির নানা মত । এই অবস্থায় বাকি সবার মতোই সমস্যায় পড়েছেন কলকাতার রেফারিরা । কোরোনা ভাইরাসের কারণে দেশজুড়ে লকডাউন । বন্ধ ক্রীড়াদুনিয়া । এই অবস্থায় কলকাতা ফুটবল লিগের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত রাজ্য ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা । পাঁচটি ডিভিশন মিলিয়ে মোট আড়াই হাজার ম্যাচ হয় । সাড়ে চারহাজার ফুটবলারের রুটি-রুজি জড়িয়ে থাকে এই কলকাতা লিগে । এদের পাশাপাশি ম্যাচ পরিচালনা যাঁরা করেন, সেই রেফারিদেরও ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ।
মোট 175 জন রেফারি কলকাতা লিগের ম্যাচ পরিচালনা করেন । কলকাতা রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের ছাতার তলায় ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব সামলান তাঁরা । তাঁরাই IFA- র যাবতীয় ফুটবল খেলা সুষ্টভাবে পরিচালনার অন্যতম কারিগর ।
18 এপ্রিল কলকাতা রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের জন্মদিন । অন্যবার এই দিনে নানারকম অনুষ্ঠান হয়ে থাকে । সেই অনুষ্ঠানে বছরের সেরা রেফারিকে পুরস্কার করা হয় ।
রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট চিত্তদাস মজুমদার বলেন, ‘‘নতুন মরশুমে রেফারিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি চিন্তিত । কারণ অনেকেই রেফারিং করে তাঁদের সংসার চালান । চলতি মরশুমে বল না গড়ালে সেই সব রেফারিদের সংসার চালানো সমস্যা হবে ।’’
ইতিমধ্যে রাজ্য ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার সঙ্গে রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের কথা হয়েছে । IFA- র সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়কে পরিস্থিতি বোঝানো হয়েছে । তবে এই ধরনের সমস্যা নতুন । তাই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে ।
175 জন রেফারির এক ম্যাচ পরিচালনার জন্য পান নূন্যতম 250 টাকা । এরপর গ্রেড অনুসারে 350,450,500 টাকা পান ৷ প্রদর্শনী ম্যাচের পারিশ্রমিক 1000টাকা ।
শুধু তাই নয়,কলকাতা লিগের বাইরে IFA শিল্ড, ডুরান্ড ও আই লিগের খেলা রয়েছে । সর্বভারতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে ম্যাচ ফি বেশি । তাছাড়া এই টুর্নামেন্টগুলোর পারফরম্যান্স রেফারিদের ইন্টারন্যাশনাল এবং ফিফা রেফারির পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দেয় ।
চিত্তদাস মজুমদার বলেন, ‘‘কন্যাশ্রী কাপ, স্কুল টুর্নামেন্টের ম্যাচ পরিচালনা করতে হয় রেফারিদের । ফলে বছর শেষে পঞ্চাশ হাজারের বেশি টাকা রোজগারের সুযোগ থাকে রেফারিদের । এবছর অবস্থার উন্নতি না হলে রেফারিরা এই অর্থ উপার্জনের সুযোগ শুধু হারাবেন না,তাদের একটা বছর কার্যত নষ্ট হবে । যা বড় ধাক্কা ।’’