লিসবন, 24 অগাস্ট : প্রথম একাদশে একটাই পরিবর্তন করেছিলেন বায়ার্ন কোচ হ্যান্সি ফ্লিক ৷ ইভান পেরিসিচের পরিবর্তে নামিয়েছিলেন 24 বছরের উইঙ্গার কিংসলে কোম্যানকে ৷ ফ্লিকের এই একটি সিদ্ধান্তই জার্মান জায়ান্টদের হাতে তুলে দিল ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেতাব ৷ কোম্যানের একমাত্র গোলে নেইমার-এমবাপ্পেদের প্যারিস সাঁ জাঁ-কে হারিয়ে ইউরোপ সেরার খেতাব মুঠোয় পুরেছে বায়ার্ন ৷ সুযোগ পেয়েও প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট মাথায় ওঠেনি ফ্রান্সের দলটির ৷ প্যারিস সাঁ জাঁ-র স্বপ্নভঙ্গের পিছনে যিনি রয়েছেন সেই কোম্যান একটা সময় PSG-র ঘরের ছেলে বলেই পরিচিত ছিলেন ৷
পুরো নাম কিংসলে জুনিয়র কোম্যান ৷ 1996 সালের 13 জুন প্যারিসে জন্ম ৷ প্লাতিনি, জিদানের দেশের ছেলেটি ঠিক করে নিয়েছিলেন বড় হয়ে তাঁকে ফুটবলারই হতে হবে ৷ সেই লক্ষ্যে মাত্র আট বছর বয়সে PSG-র যুব অ্যাকাডেমিতে যোগ দেওয়া কোম্যানের ৷ PSG-র প্রতিভাবান ভবিষ্যৎ ফুটবলার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন ৷ কিন্তু ততদিনে ক্লাবের মালিকানা চলে গেছে কাতারের সংস্থার কাছে ৷ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সহ ইউরোপিয়ান ফুটবলে আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের পিছনে টাকা ঢালতে শুরু করেছে তারা ৷ নেইমার, এমবাপেদের মতো ফুটবলারদের দলে টানার শুরু তখন থেকেই ৷ আর তাতেই হারিয়ে যেতে থাকে ক্লাবের সম্ভাবনাময় ফুটবলাররা ৷ কোম্যান তেমনই একজন ৷
অ্যাকাডেমিতে নয় বছরের প্রশিক্ষণের পর 2013 সালে মাত্র 16 বছর বয়সে প্যারিস সাঁ জাঁর হয়ে অভিষেক হয় কোম্যানের ৷ তবে নিয়মিতভাবে সুযোগ পাচ্ছিলেন না ৷ ফলে পরের বছরই ইতালির ক্লাব জুভেন্তাসে যোগ দেন ৷ তুরিনের ক্লাবটিতে তিন বছর কাটিয়ে কোম্যানকে লোনে নেয় বায়ার্ন মিউনিখ ৷ জার্মান জায়ান্টদের মূল দলে জায়গা করে নেন ৷
প্রাক্তন ক্লাবের বিরুদ্ধে রবিবার রাতের ফাইনালে পেরিসিচের পরিবর্তে সেই কোম্যানকে নামান বায়ার্ন কোচ ৷ ফাইনালে যাবতীয় অঙ্ক ঘোরাফেরা করছিল লেওয়ানডস্কি, মুলারদের নিয়ে ৷ সেখানে নিঃশব্দেই নিজের খেলা চালিয়ে গেলেন PSG-তে পাত্তা না পাওয়া কোম্যান ৷ নেইমার-এমবাপেদের কাঁদিয়ে খেতাব তুলে দিলেন বায়ার্নের হাতে ৷