ETV Bharat / sports

"এক বিরল চরিত্র ছিলেন চুনীদা"

author img

By

Published : Apr 30, 2020, 9:15 PM IST

কেউ বললেন তাঁর খেলা মুগ্ধ হয়ে দেখতেন, কেউ বললেন তিনি সবসময় স্পোর্টস পার্সন । চুনী গোস্বামীর স্মৃতিচারণায় ক্রীড়াব্যক্তিত্বরা ।

চুনী গোস্বামী
চুনী গোস্বামী

কলকাতা, 30 এপ্রিল: 82 বছর বয়সে প্রয়াত চুনী গোস্বামী । শোকের ছায়া নেমে এসেছে কলকাতা ময়দান ও ভারতীয় ফুটবল জগতে । তাঁর মৃত্যুতে ভারতীয় ফুটবলের অপূরণীয় ক্ষতি হল বলে মত তুলসিদাস বলরাম, সুভাষ ভৌমিক, সুব্রত ভট্টাচার্য, লক্ষ্মীরতন শুক্লার মতো ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের ।

তুলসিদাস বলরাম: কী বলব ! কী বলার আছে ? একমাস আগে প্রদীপ চলে গেল । আর এখন চুনী । আমি আর ভাবতে পারছি না । আমরা তিনজন ছিলাম ভারতীয় ফুটবলের হরিহর আত্মা । তিনজনেই দেশের হয়ে খেলেছি । চুনী ছিল আমার অধিনায়ক । 62'তে এশিয়ান গেমসে ওর নেতৃত্বেই সোনা জিতেছিলাম আমরা । ক্লাব ফুটবলে বিপরীত দলে খেললেও ওর ফুটবল আমি তাকিয়ে দেখতাম । এত সুন্দর ফুটবল খেলত যা ইউরোপিয়ান ফুটবলের মানের সমান ছিল বলে আমার মনে হয় । সেই চুনীও আজ চলে গেল । শুনেছিলাম অসুস্থ ছিল । আমার সত্যিই কিছু বলার নেই ।

সুভাষ ভৌমিক: অপূরণীয় ক্ষতি । ভারতীয় ফুটবলের প্রথম তারকা ফুটবলার চুনী গোস্বামী । একটা মানুষ দেশের হয়ে সোনা জিতেছেন, রাজ্যের হয়ে রঞ্জি ট্রফি ক্রিকেট ফাইনাল খেলেছেন । এছাড়া ভালো মানের টেনিস প্লেয়ারও ছিলেন । চুনীদা সবসময় ছিলেন স্পোর্টস পার্সন । গতবছর মোহনবাগান ডে-তে দেখা হয়েছিল । অসুস্থ ছিলেন সে খবর পেয়েছিলাম । কিন্তু আজকেই চলে যাবেন তা ভাবিনি । সময়টা সত্যিই খারাপ যাচ্ছে । একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব । বিনোদন জগতে ইরফান খানের পর আজ ঋষি কাপুর চলে গেলেন । আর খেলার দুনিয়ার চুনী গোস্বামী । সবাইকে একদিন চলে যেতে হয় । কিন্তু এই কঠিন সময় আরও কঠিন করে দিয়ে গেল এঁদের মৃত্যু ।

সুব্রত ভট্টাচার্য: মোহনবাগানে খেলতে এসেই বুঝেছিলাম চুনী গোস্বামীর প্রভাব । তাঁর সঙ্গে খেলিনি কিন্তু খেলা দেখেছি । সবদিক থেকেই একটা বিরল চরিত্র ছিলেন তিনি । দেশ, রাজ্য, ক্লাব এই তিন পর্যায়েই ফুটবল ও ক্রিকেট দুটি খেলাতেই সমান সফল তিনি । এমন একটা মানুষ জমাটি আড্ডা মারতে পারতেন । মোহনবাগান ক্লাবের সচিব ছিলেন । চুনী গোস্বামীর মৃত্যু তাই একটা বিরাট ক্ষতি ।

লক্ষ্মীরতন শুক্লা: হাফ প্যান্ট পরে মাঠে যাওয়ার সময় থেকে চিনি চুনীদাকে । আমাকে টাইগার বলে ডাকতেন । আমি যাতে ভালো খেলি তার জন্য সমর্থন করতেন । মনে আছে, শেষ ক্রিকেট খেলেছি 2015 সালে । তখনও নিয়মিত উনি আমাকে ফোন করতেন এবং মানসিকভাবে সমর্থন করতেন । বাংলার হয়ে খেলা হোক কিংবা ভারতের হয়ে হেরে গেলে ভেঙে পড়তে দিতেন না । ফোন করে বলতেন চিন্তা কোরো না, খেলায় হার-জিত আছেই । পরবর্তীতে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনো । শুধু তাই নয়, খেলোয়াড় হিসেবে তো চুনী গোস্বমীর তুলনাই হয় না । খুব বড় মাপের খেলোয়াড় ছিলেন তিনি । তাঁর খেলা বরাবরই ভারতবাসী এবং বিশ্ববাসীকে মুগ্ধ করেছে । আশা করি ঈশ্বর ওনাকে যত্নে রাখবেন । চুনীদার জন্য আমার প্রণাম রইল ।

কলকাতা, 30 এপ্রিল: 82 বছর বয়সে প্রয়াত চুনী গোস্বামী । শোকের ছায়া নেমে এসেছে কলকাতা ময়দান ও ভারতীয় ফুটবল জগতে । তাঁর মৃত্যুতে ভারতীয় ফুটবলের অপূরণীয় ক্ষতি হল বলে মত তুলসিদাস বলরাম, সুভাষ ভৌমিক, সুব্রত ভট্টাচার্য, লক্ষ্মীরতন শুক্লার মতো ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের ।

তুলসিদাস বলরাম: কী বলব ! কী বলার আছে ? একমাস আগে প্রদীপ চলে গেল । আর এখন চুনী । আমি আর ভাবতে পারছি না । আমরা তিনজন ছিলাম ভারতীয় ফুটবলের হরিহর আত্মা । তিনজনেই দেশের হয়ে খেলেছি । চুনী ছিল আমার অধিনায়ক । 62'তে এশিয়ান গেমসে ওর নেতৃত্বেই সোনা জিতেছিলাম আমরা । ক্লাব ফুটবলে বিপরীত দলে খেললেও ওর ফুটবল আমি তাকিয়ে দেখতাম । এত সুন্দর ফুটবল খেলত যা ইউরোপিয়ান ফুটবলের মানের সমান ছিল বলে আমার মনে হয় । সেই চুনীও আজ চলে গেল । শুনেছিলাম অসুস্থ ছিল । আমার সত্যিই কিছু বলার নেই ।

সুভাষ ভৌমিক: অপূরণীয় ক্ষতি । ভারতীয় ফুটবলের প্রথম তারকা ফুটবলার চুনী গোস্বামী । একটা মানুষ দেশের হয়ে সোনা জিতেছেন, রাজ্যের হয়ে রঞ্জি ট্রফি ক্রিকেট ফাইনাল খেলেছেন । এছাড়া ভালো মানের টেনিস প্লেয়ারও ছিলেন । চুনীদা সবসময় ছিলেন স্পোর্টস পার্সন । গতবছর মোহনবাগান ডে-তে দেখা হয়েছিল । অসুস্থ ছিলেন সে খবর পেয়েছিলাম । কিন্তু আজকেই চলে যাবেন তা ভাবিনি । সময়টা সত্যিই খারাপ যাচ্ছে । একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব । বিনোদন জগতে ইরফান খানের পর আজ ঋষি কাপুর চলে গেলেন । আর খেলার দুনিয়ার চুনী গোস্বামী । সবাইকে একদিন চলে যেতে হয় । কিন্তু এই কঠিন সময় আরও কঠিন করে দিয়ে গেল এঁদের মৃত্যু ।

সুব্রত ভট্টাচার্য: মোহনবাগানে খেলতে এসেই বুঝেছিলাম চুনী গোস্বামীর প্রভাব । তাঁর সঙ্গে খেলিনি কিন্তু খেলা দেখেছি । সবদিক থেকেই একটা বিরল চরিত্র ছিলেন তিনি । দেশ, রাজ্য, ক্লাব এই তিন পর্যায়েই ফুটবল ও ক্রিকেট দুটি খেলাতেই সমান সফল তিনি । এমন একটা মানুষ জমাটি আড্ডা মারতে পারতেন । মোহনবাগান ক্লাবের সচিব ছিলেন । চুনী গোস্বামীর মৃত্যু তাই একটা বিরাট ক্ষতি ।

লক্ষ্মীরতন শুক্লা: হাফ প্যান্ট পরে মাঠে যাওয়ার সময় থেকে চিনি চুনীদাকে । আমাকে টাইগার বলে ডাকতেন । আমি যাতে ভালো খেলি তার জন্য সমর্থন করতেন । মনে আছে, শেষ ক্রিকেট খেলেছি 2015 সালে । তখনও নিয়মিত উনি আমাকে ফোন করতেন এবং মানসিকভাবে সমর্থন করতেন । বাংলার হয়ে খেলা হোক কিংবা ভারতের হয়ে হেরে গেলে ভেঙে পড়তে দিতেন না । ফোন করে বলতেন চিন্তা কোরো না, খেলায় হার-জিত আছেই । পরবর্তীতে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনো । শুধু তাই নয়, খেলোয়াড় হিসেবে তো চুনী গোস্বমীর তুলনাই হয় না । খুব বড় মাপের খেলোয়াড় ছিলেন তিনি । তাঁর খেলা বরাবরই ভারতবাসী এবং বিশ্ববাসীকে মুগ্ধ করেছে । আশা করি ঈশ্বর ওনাকে যত্নে রাখবেন । চুনীদার জন্য আমার প্রণাম রইল ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.