কলকাতা, 29 এপ্রিল: কোরোনা পরিস্থিতি মিলিয়ে দিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবকে । শনিবার একযোগে, এমনকী এক বাসে শহর ছাড়ছেন ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের স্প্যানিশ ফুটবলাররা । বাসে করে সড়কপথে দিল্লি পৌঁছাবেন তাঁরা । দিল্লি থেকে রাত তিনটের সময় আমস্টারডামের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে স্পেনের বিমান ।
অর্ন্তদেশীয় বিমান চলাচল বন্ধ । ট্রেনও চলছে না । এই অবস্থায় স্পেনের দূতাবাসের পাঠানো বিমান ধরতে কিবু ভিকুনা, মারিও রিবেরা, জোসেবা বেইতিয়া, হাইমে স্যান্টোস কোলাডো, ফ্রান গঞ্জালেস, মার্কোস এসপাদা, ফ্রান মোরান্তে, জুয়ান মেরা গঞ্জালেস, কার্লোস নোদারদের সড়কপথে দিল্লি পৌঁছানো ছাড়া উপায় নেই । এদের জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছেন মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বসু এবং অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত । কলকাতা থেকে আসানসোল হয়ে বেনারস পৌঁছাবেন দুই প্রধানের কোচ এবং ফুটবলাররা । সেখানে রাত্রিবাস করে পরদিন লখনউ কানপুর হয়ে দিল্লি পৌঁছাবে বাসটি । দিল্লি থেকে রাত তিনটের সময় আমস্টারডামের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে বিমান ।
এই সংকটজনক পরিস্থিতি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদেশি ফুটবলারদের এক বাসের যাত্রী হতে বাধ্য করেছে । স্পেনে কোরোনা ভাইরাসের প্রকোপ যথেষ্ট । তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চিন্তায় ছিলেন দুই দলের স্প্যানিশ ফুটবলাররা । দেশে ফিরতেও মরিয়া ছিলেন তাঁরা । তাই একবাসে করে দিল্লি যাওয়ার প্রস্তাব আর কেউ নাকচ করেননি ।
ভিসা সমস্যা থাকায় এই মুহূর্তে শহর ছাড়তে পারছেন না কাশিম আইদারা । ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি ফ্রান্স সরকারের বিমানের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে তাঁকে। কোস্টারিকার বিশ্বকাপার ডিফেন্ডার জনি অ্যাকোস্টা ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের আশ্বাসে আস্থা রেখে আরও কিছুদিন কলকাতায় থাকবেন । এদিকে মোহনবাগানের পাপা বাবা দিওয়ারা এবং তুর্সোনভকে ছাড়া দলের বাকি বিদেশিরা দেশে ফেরার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন ।