কলকাতা, 31 মার্চ : সুপার কাপে অংশ না নেওয়া আইলিগের ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে। বৈঠকে বসতে চলেছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের আইলিগ কমিটি। 12 এপ্রিল এই বৈঠক হওয়ার কথা।
লিগ কমিটির সদস্যরা জোটবদ্ধ হয়ে আইলিগের অধিকাংশ ক্লাবের সুপার কাপ বয়কটের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে চায়। একইসঙ্গে পরিস্থিতি বিচারের ভাবনাও রয়েছে। দেশজুড়ে ইয়ুথ লিগের আরও বিস্তার কীভাবে করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। তবে আইলিগের জোটের সুপার কাপে না খেলার বিষয়ে লিগ কমিটি কী পদক্ষেপ নেয় তা আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
ইন্ডিয়ান অ্যারোজ় এবং রিয়াল কাশ্মীর ছাড়া আইলিগের কোনও দল সুপার কাপে অংশ নেয়নি। মোহনবাগান ছাড়া বাকি দলগুলো নাম নথিভুক্ত করেও খেলতে যায়নি। যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্ব ফের শুরু করার দাবিতে অনড় ছিল আইলিগের ক্লাবগুলো। প্রতিযোগিতার সূচি পরিবর্তন সম্ভব নয় বলে ফেডারেশন জানিয়ে দিয়েছিল। তারপর সুপার কাপ থেকে সরে আসে আইলিগের ক্লাবগুলো। ফলে লিগ কমিটির সদস্যরা আইলিগের ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে।
ফলে বিতর্ক শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েও হয়নি। লিগ কমিটি তাদের ক্লাবগুলোর অবস্থানে বিরক্ত। সূত্রের খবর, ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল প্যাটেল ঘনিষ্ঠ মহলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারণ, আইলিগের জোট ফেডারেশন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করার দাবি তুলেছিল। যা মঞ্জুর করে প্রফুল প্যাটেল 10 থেকে 15 এপ্রিলের মধ্যে বৈঠকে বসার কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্টের আশ্বাসের পরও নাম নথিভুক্ত করেও খেলতে না যাওয়ায় ক্লাবগুলো শাস্তি দিতে চায় লিগ কমিটি। সেক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মোহনবাগান যেহেতু নাম নথিভুক্ত করেনি তাই তাদের দোষের মাত্রা তুলনায় কম। তবে শাস্তি দিতে গেলে ফেডারেশনের সমস্যাটা বাড়বে বই কমবে না। কারণ, সুপার কাপের নিয়ম অনুযায়ী কোনও দল আগেই তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলে নিয়ম ভাঙার দায়ে পড়বে না। জোটে থাকা দলগুলো আগেই তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। ফলে নিয়মের ফাঁকে জোটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে না।
পাশাপাশি, মোহনবাগান নাম না পাঠানোয় রবিবার বেঙ্গালুরু FC-কে ভুবনেশ্বর যেতে হবে না। তারা সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে। অন্যদিকে, ফেডারেশন চিঠি দিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে জানিয়ে দিয়েছে প্রেসিডেন্ট একাদশকে সুপার কাপে খেলার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।